প্রতিনিধি, বান্দরবান

রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় হলো কুতুপালংয়ের পাশে ট্রানজিট ক্যাম্পে

image

শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় হলো কুতুপালংয়ের পাশে ট্রানজিট ক্যাম্পে

রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রতিনিধি, বান্দরবান

শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে সরকার। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তমুব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) ৩৬ পরিবারের ১৮৬ জনকে সরানো হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি ভোর থেকে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি শুরু হয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে।

পরে বিকেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় ক্যাম্পটি। আগুনে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব তারা। সেই দিনের স্মৃতি মনে পড়তেই আঁতকে উঠেন রোহিঙ্গারা। এমন দুর্দশাগ্রস্ত সময়ে তাদের আশ্রয় দেয়ায় কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের প্রতি। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মিজানুর রহমান বলেন, এখানে আগত যেসব রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাবে, তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হবে। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

সেই কমিটি ২ হাজার ৯৭০ জনের একটি তালিকা তৈরি করে। তাদের প্রথমে উখিয়ার বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসছে। পরে সেখান থেকে যারা আগে থেকেই নিবন্ধিত তাদের উখিয়া-টেকনাফের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। বাকিদের নিবন্ধন করে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হবে। ২০১৭ সালে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও প্রায় ৬৩০ পরিবার ৪ হাজার ৩০০ জন রোহিঙ্গা তুমব্রু শূন্যরেখায় ক্যাম্প গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসলেও গত ১৮ জানুয়ারি দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আগুন দেয়া হলে পুড়ে যায় ক্যাম্পটি। তখন থেকেই ঘুমধুম ইউনিয়নের পার্শ্বে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁবু দিয়ে বসবাস করে আসছিল তারা।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, তুমব্রুতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের গণনা শেষে রোববার (৫ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসন, আরআরআরসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিনিধিরাসহ জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে ৩৬ পরিবারের ১৮৬ জন সদস্যকে ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আইআরসিআরসির সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদ রোহিঙ্গা সংখ্যা গণনার কাজ সম্পন্ন করেছে।’

একজন ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে দুই দিনে মোট আটজন এই জরিপ কাজ পরিচালনা করেছে। এখানে ৫৩৭টি পরিবারে মোট দুই হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে বলে জানান চেয়ারম্যান।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» মানিকগঞ্জে পাঁচ অদম্য নারীকে সম্মাননা

» সুন্দরবনের ৭২ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ৪

» সিলেটে সরকারি চাকরি ছাড়ার হিড়িক

» বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্ত ৪৭ ভারতীয় জেলে

» বাহুবলে ব্যারিকেড দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা

» হবিগঞ্জে দুই পক্ষে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫

» গজারিয়ায় জয় হত্যাকান্ডের দুই সপ্তাহে গ্রেপ্তার নেই

» ঠাকুরগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

» লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন কালের স্বাক্ষী

» সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত

» নাইক্ষ্যংছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

» সিলেটে আসামি ধরতে গিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা আহত

» ডিমলায় বেগম রোকেয়া দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

» দামুড়হুদায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যাস্ত গাছি

» সিরাজগঞ্জে বিদেশি ফল প্যাশন (আনারকলি) চাষে কৃষক জহুরুলের সাফল্য

» ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সিংড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

» রাণীশংকৈলের মোশাররফ এখন বিদেশি পাখির সফল খামারি,

» শেরপুরে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

» প্রসূতীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর

» কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস পালিত