alt

বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে কেঁচো সার ব্যবহার

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ : শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

মানিকগঞ্জ জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা সবজীসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে জমিতে কেঁচো সার ব্যহার করে বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফসল উৎপাদন করছেন। অল্প টাকা খরচ করে হাট-বাজারে ভালো দামে বিক্রি করছে বিভিন্ন প্রকার ফসল। ফলে এলাকার অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে।

জানা গেছে, ঘিওর, দৌলতপুর. শিবালয়, হরিরামপুর, সিংগাইর, সাটুরিয়া বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে কেঁচোসারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঘিওর উপজেলার নলকুড়িয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুস সামাদ ও মহিরুল ইসলামের নিজের বাড়ির আঙ্গীনায় ভার্মি কম্পোট সার উৎপাদন করে নিজেদের ৭/৮ বিঘা জমিতে ব্যবহার করছেন। ধান, পাট,শরিষা আবাদের পাশাপাশি পুঁইশাক, লাল শাক, ডাটা ক্ষেতে কেঁচো সার দিয়ে বপন করেন। প্রতিটি জমিতে তিনি কেঁচো সার ব্যবহার করেন। জমিতে ব্যবহার করে বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনসহ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে সে আত্মবিশ্বাসী। ভার্মি কম্পোট সার তৈরি করে ইতো মধ্যে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। কেঁচো সার যার বৈজ্ঞানিক নাম ভার্মি কম্পোট জেলার প্রতিটি উপজেলাতে কৃষি অফিস থেকে ৩০ জন কৃষক কয়েক দফায় প্রশিক্ষণ নিয়ে সিআইজি পুরুষ (ফসল) সমবায় সমিতি গড়ে তুলেন। ঘিওরের বাইলজুরী গ্রামের আওলাদ হোসেন, ইয়াকুব মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, মঞ্জুর হোসেন, মোরর্শেদ হোসেন, মাহাবুবুর রহমান,জাহাঙ্গীর খান, ইউনুছ আলীসহ প্রায় ৩০ জন কৃষক কেঁচো সার তৈরি করে বিভিন্ন ফসলি জমিতে ব্যবহার করে তারা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলার ভররা গ্রামের কৃষক মোজ্জাম্মেল হক, সাত্তার প্রধান, আ. বাতেনসহ অনেকে জানান, কেঁচো সার জমিতে দেয়ার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলন ভালো হয় এবং চারাগুলো মোটা ও শক্তিশালী হয়ে উঠে।

শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল বাতেন তার নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় কেঁচো সার তৈরির জন্য গোবর শুকিয়ে গোল চাকের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ দিন রাখেন। গোবরের গ্যাস বের হবার পরে কেঁচো দিতে হয়। কেঁচো দেবার পরে চট কিংবা ছালা দিয়ে ঢেকে রাখার একমাস পরে সার তৈরি হয়। প্রতি কেজি সার ৫০ টাকা এবং প্রতি কেজি কেঁচো এক হাজার থেকে ১২শ থেকে ১৪শ টাকা বিক্রি হয়। তবে প্রথমে কেঁচো টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থেকে আনতে হয়। রেড কিং নামে এ কেঁচো দেশের বাইরে থেকেই মূলত আনতে হয়। তবে এদের বাড়তি কোন খাবার প্রয়োজন হয়না। গোবর থেকেই কেঁচোর খাবার তৈরি হয়ে যায়।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিলীপ চন্দ্র সরকার জানান, নলকুড়িয়া গ্রামে ৩০/৩৫ জন কৃষককে সিআইজি সমবায় সমিতির মাধ্যমে আর্মি কম্পোট সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে তারা নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনায় সার তৈরি শুরু করে। নিজেদের জমিতে এই সার ব্যবহার করে ভাল ফলাফল পাওয়ার পরে তারা এখন অন্যদের কাছে কেঁচো সার বিক্রি করছে। তবে আগামীতে বিষমুক্ত ফসলের জন্য কেঁচো সারের বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।

পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু

ছবি

পটুয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

ছবি

টাঙ্গাইলের মগড়ায় বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

ভাঙ্গার কুমার নদে কিশোর-তরুণদের অস্ত্র প্রদর্শনের মহড়া

ছবি

জয়পুরহাটে ৭ ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার

ছবি

কালীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

ছবি

রংপুর বিভাগের গুণী প্রধান শিক্ষক উলিপুরের মাহবুবার রহমান

ছবি

কোটি টাকার স্বর্ণবারসহ পাচারকারী আটক

ছবি

থানচিতে নির্মাণের দুই বছরেই সড়ক মৃত্যুফাঁদ!

ছবি

খুড়ে রাখা সড়কে হাঁটু পানি ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

ছবি

রুমায় সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

রায়গঞ্জে পাখির তাড়াতে ধান খেতে নেট ব্যবহার

ছবি

কুষ্টিয়ায় দুর্গাপূজায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ

ছবি

যশোরের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক শার্শার খাদিজা খাতুন

ছবি

রিয়াদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে ২২ মাস ধরে বন্ধ উত্তরা এ´প্রেস ট্রেন

ছবি

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

বরুড়ায় আখের ভাল ফলনে চাষী ও বিক্রেতা উভয়েই খুশি

ছবি

মোল্লাহাটে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

জাল সনদে ১২ বছর চাকরি, বেরোবির ইরিনা নাহার বরখাস্ত

ছবি

৫০ হাজার শিশুরা পাচ্ছেন বিনামূল্যে টাইফয়েড প্রতিরোধ টিকা

ছবি

ধ্বংসের পথে শরৎচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কাশিপুর জমিদার বাড়ি

ছবি

দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ভোগান্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

ছবি

দশমিনায় মাচায় লাউ আবাদ বাড়ছে

ছবি

মোরেলগঞ্জে সরকারি ভাতা বঞ্চিত হানিফের সংসার চলে বিলের শাপলায়

ছবি

চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ছবি

মহাদেবপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ

ছবি

আলোচনা সভায় বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

চাঁদপুর শহরের খেলার মাঠসমূহ খেলাধুলার উপযোগী করার দাবি

ছবি

সস কারখানার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

পূর্বাচল এলাকায় পরিবহনে হিজড়াদের চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১২

ছবি

আমার জীবন আমার স্বপ্ন উদযাপন

ছবি

১০ টাকা কেজি ইলিশ বিক্রি, জনতার চাপে পালালেন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী

ছবি

লড়াই ষাঁড়ের আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

tab

বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে কেঁচো সার ব্যবহার

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

মানিকগঞ্জ জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা সবজীসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে জমিতে কেঁচো সার ব্যহার করে বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফসল উৎপাদন করছেন। অল্প টাকা খরচ করে হাট-বাজারে ভালো দামে বিক্রি করছে বিভিন্ন প্রকার ফসল। ফলে এলাকার অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে।

জানা গেছে, ঘিওর, দৌলতপুর. শিবালয়, হরিরামপুর, সিংগাইর, সাটুরিয়া বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে কেঁচোসারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঘিওর উপজেলার নলকুড়িয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুস সামাদ ও মহিরুল ইসলামের নিজের বাড়ির আঙ্গীনায় ভার্মি কম্পোট সার উৎপাদন করে নিজেদের ৭/৮ বিঘা জমিতে ব্যবহার করছেন। ধান, পাট,শরিষা আবাদের পাশাপাশি পুঁইশাক, লাল শাক, ডাটা ক্ষেতে কেঁচো সার দিয়ে বপন করেন। প্রতিটি জমিতে তিনি কেঁচো সার ব্যবহার করেন। জমিতে ব্যবহার করে বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনসহ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে সে আত্মবিশ্বাসী। ভার্মি কম্পোট সার তৈরি করে ইতো মধ্যে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। কেঁচো সার যার বৈজ্ঞানিক নাম ভার্মি কম্পোট জেলার প্রতিটি উপজেলাতে কৃষি অফিস থেকে ৩০ জন কৃষক কয়েক দফায় প্রশিক্ষণ নিয়ে সিআইজি পুরুষ (ফসল) সমবায় সমিতি গড়ে তুলেন। ঘিওরের বাইলজুরী গ্রামের আওলাদ হোসেন, ইয়াকুব মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, মঞ্জুর হোসেন, মোরর্শেদ হোসেন, মাহাবুবুর রহমান,জাহাঙ্গীর খান, ইউনুছ আলীসহ প্রায় ৩০ জন কৃষক কেঁচো সার তৈরি করে বিভিন্ন ফসলি জমিতে ব্যবহার করে তারা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলার ভররা গ্রামের কৃষক মোজ্জাম্মেল হক, সাত্তার প্রধান, আ. বাতেনসহ অনেকে জানান, কেঁচো সার জমিতে দেয়ার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলন ভালো হয় এবং চারাগুলো মোটা ও শক্তিশালী হয়ে উঠে।

শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল বাতেন তার নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় কেঁচো সার তৈরির জন্য গোবর শুকিয়ে গোল চাকের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ দিন রাখেন। গোবরের গ্যাস বের হবার পরে কেঁচো দিতে হয়। কেঁচো দেবার পরে চট কিংবা ছালা দিয়ে ঢেকে রাখার একমাস পরে সার তৈরি হয়। প্রতি কেজি সার ৫০ টাকা এবং প্রতি কেজি কেঁচো এক হাজার থেকে ১২শ থেকে ১৪শ টাকা বিক্রি হয়। তবে প্রথমে কেঁচো টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থেকে আনতে হয়। রেড কিং নামে এ কেঁচো দেশের বাইরে থেকেই মূলত আনতে হয়। তবে এদের বাড়তি কোন খাবার প্রয়োজন হয়না। গোবর থেকেই কেঁচোর খাবার তৈরি হয়ে যায়।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিলীপ চন্দ্র সরকার জানান, নলকুড়িয়া গ্রামে ৩০/৩৫ জন কৃষককে সিআইজি সমবায় সমিতির মাধ্যমে আর্মি কম্পোট সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে তারা নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনায় সার তৈরি শুরু করে। নিজেদের জমিতে এই সার ব্যবহার করে ভাল ফলাফল পাওয়ার পরে তারা এখন অন্যদের কাছে কেঁচো সার বিক্রি করছে। তবে আগামীতে বিষমুক্ত ফসলের জন্য কেঁচো সারের বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।

back to top