হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং সুবিধাসহ ৯ দফা দাবিতে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
রোববার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় এ পরিবহন ধর্মঘট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে দূরপাল্লার যাত্রীরা আসেন পৌর বাস টার্মিনালে। কোনো যানবাহন না পেয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন তারা। অনেকে বিদেশগামী যাত্রী ও চাকরির ইন্টারভিউর জন্য গন্তব্যে যেতে এসে চরম বিপাকে পড়েছেন।
তাদের অভিযোগ, কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই এ অযৌক্তিক ধর্মঘট ডাকায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
ধর্মঘটকারীরা জানান, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে অন্তত ৪০টি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহন করে আসছে। সম্প্রতি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে জরুরি সেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করে আসছে, জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি। এ ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। শনিবার রাতে এক জরুরি সভা করে তারাও গোটা জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যত্রতত্র অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। আশঙ্কাজনক অনেক রোগী নিয়ে কোনো যানবাহন জরুরি বিভাগে যথাসময়ে আসতে পারে না। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং সুবিধাসহ ৯ দফা দাবিতে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
রোববার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় এ পরিবহন ধর্মঘট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে দূরপাল্লার যাত্রীরা আসেন পৌর বাস টার্মিনালে। কোনো যানবাহন না পেয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন তারা। অনেকে বিদেশগামী যাত্রী ও চাকরির ইন্টারভিউর জন্য গন্তব্যে যেতে এসে চরম বিপাকে পড়েছেন।
তাদের অভিযোগ, কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই এ অযৌক্তিক ধর্মঘট ডাকায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
ধর্মঘটকারীরা জানান, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে অন্তত ৪০টি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহন করে আসছে। সম্প্রতি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে জরুরি সেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করে আসছে, জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি। এ ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। শনিবার রাতে এক জরুরি সভা করে তারাও গোটা জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যত্রতত্র অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। আশঙ্কাজনক অনেক রোগী নিয়ে কোনো যানবাহন জরুরি বিভাগে যথাসময়ে আসতে পারে না। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।