টানা বৃষ্টি, বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নামছে পাহাড়ি ঢল
সিলেট : অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। নগরবাসীর দুর্ভোগ, বাড়ছে পানি, বন্যার পদধ্বনি। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের সামনে জলাবদ্ধতায় বিপাকে রোগীরা -সংবাদ
গত বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি ভোলার আগেই সিলেটে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বেড়ে চলছে নদ-নদীর পানি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টির ফলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল নামছে। ঢল আর বৃষ্টিতে নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে চলতি সপ্তাহেই মাঝারি ধরনের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে নগরীতে। বাসা-বাড়িতে উঠে পরছেপানি। এমতাবস্থায় সরকার থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
গত বছর সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে তলিয়ে যায় সিলেটের ৭০ শতাংশ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার প্রায় সব মানুষ। বন্যায় ভেঙে যায় প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। গতবারের বন্যার ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা।
গত বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৬ জুন) সকালের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর অনেক এলাকা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে।
তবে সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘সিলেটে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পূর্বাভাস রয়েছে আগামী ১৫ দিন সিলেটজুড়ে
অতিবৃষ্টি হবে। এই কদিনে ১৪শ’ মিলিমিটারের বৃষ্টিপাত হতে পারে সিলেট জেলায়। ফলে সিলেটে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যা হলে এর ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। এই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জেলার সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা
ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছি। সকলের কাছ থেকে নিজ নিজ উপজেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, ‘নদীবেষ্টিত উপজেলাগুলোর নদীতে গত কয়েকদিনে বেশ পানি বেড়েছে। তবে এখনো বিপদসীমার উপরে উঠেনি। তারা (নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান) জানিয়েছেন, নিজ নিজ উপজেলায় নগদ অর্থ ও চাল মজুত রয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। নতুন করে চাহিদা পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে বৃষ্টির কারণে নগরের প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে নগরী। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নগরের বেশির ভাগ এলাকা। জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অথচ নগরের জলাবদ্ধতা নিসরনে এ পর্যন্ত হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ পেয়েছে সিটি করপোরেশন। তবু জলাবদ্ধতা থেকে নিস্তার মিলছে না। ফলে জলবাদ্ধতা নিরসনের বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছরই জলাবদ্ধতা নিরসনে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এরপর ২০১৪ সালে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ২০১৫ সালে আরও ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। আর ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি বরাদ্দে ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ২০১৯ সালে ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে বরাদ্দ আসে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় করা হয়
২৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় অন্যান্য কাজের সঙ্গে ৩২৭ কিলোমিটার ড্রেন ও ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়।
এত বিপুল ব্যয় সত্ত্বেও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বেশি পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। সিটি করপোরেশনের টিম কাজ করছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে, তবে বৃষ্টি থামলেই পানি নেমে যাবে।’
নগরে অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না দাবি করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন হওয়ায় নগরবাসী এসব কাজের কোন সুফল পাচ্ছে না; বরং টাকার অপচয়
হয়েছে।’ এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অপরিকল্পিত উন্নয়নের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রকল্প গ্রহণের পর সরকারের বিভিন্ন তা পাস করে। ফলে অপরিকল্পিত হলে মন্ত্রণালয় থেকে তা পাস হওয়ার কথা না। তাছাড়া সর্বশেষ
১২শ’ কোটি টাকার প্রকল্পে সব টাকা এখনো পাইনি। ৫০০ কোটি টাকার মতো পেয়েছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
টানা বৃষ্টি, বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নামছে পাহাড়ি ঢল
সিলেট : অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। নগরবাসীর দুর্ভোগ, বাড়ছে পানি, বন্যার পদধ্বনি। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের সামনে জলাবদ্ধতায় বিপাকে রোগীরা -সংবাদ
শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
গত বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি ভোলার আগেই সিলেটে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বেড়ে চলছে নদ-নদীর পানি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টির ফলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল নামছে। ঢল আর বৃষ্টিতে নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে চলতি সপ্তাহেই মাঝারি ধরনের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে নগরীতে। বাসা-বাড়িতে উঠে পরছেপানি। এমতাবস্থায় সরকার থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
গত বছর সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে তলিয়ে যায় সিলেটের ৭০ শতাংশ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার প্রায় সব মানুষ। বন্যায় ভেঙে যায় প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। গতবারের বন্যার ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা।
গত বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৬ জুন) সকালের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর অনেক এলাকা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে।
তবে সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘সিলেটে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পূর্বাভাস রয়েছে আগামী ১৫ দিন সিলেটজুড়ে
অতিবৃষ্টি হবে। এই কদিনে ১৪শ’ মিলিমিটারের বৃষ্টিপাত হতে পারে সিলেট জেলায়। ফলে সিলেটে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যা হলে এর ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। এই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জেলার সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা
ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছি। সকলের কাছ থেকে নিজ নিজ উপজেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, ‘নদীবেষ্টিত উপজেলাগুলোর নদীতে গত কয়েকদিনে বেশ পানি বেড়েছে। তবে এখনো বিপদসীমার উপরে উঠেনি। তারা (নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান) জানিয়েছেন, নিজ নিজ উপজেলায় নগদ অর্থ ও চাল মজুত রয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। নতুন করে চাহিদা পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে বৃষ্টির কারণে নগরের প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে নগরী। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নগরের বেশির ভাগ এলাকা। জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অথচ নগরের জলাবদ্ধতা নিসরনে এ পর্যন্ত হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ পেয়েছে সিটি করপোরেশন। তবু জলাবদ্ধতা থেকে নিস্তার মিলছে না। ফলে জলবাদ্ধতা নিরসনের বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছরই জলাবদ্ধতা নিরসনে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এরপর ২০১৪ সালে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ২০১৫ সালে আরও ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। আর ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি বরাদ্দে ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ২০১৯ সালে ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে বরাদ্দ আসে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় করা হয়
২৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় অন্যান্য কাজের সঙ্গে ৩২৭ কিলোমিটার ড্রেন ও ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়।
এত বিপুল ব্যয় সত্ত্বেও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বেশি পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। সিটি করপোরেশনের টিম কাজ করছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে, তবে বৃষ্টি থামলেই পানি নেমে যাবে।’
নগরে অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না দাবি করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন হওয়ায় নগরবাসী এসব কাজের কোন সুফল পাচ্ছে না; বরং টাকার অপচয়
হয়েছে।’ এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অপরিকল্পিত উন্নয়নের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রকল্প গ্রহণের পর সরকারের বিভিন্ন তা পাস করে। ফলে অপরিকল্পিত হলে মন্ত্রণালয় থেকে তা পাস হওয়ার কথা না। তাছাড়া সর্বশেষ
১২শ’ কোটি টাকার প্রকল্পে সব টাকা এখনো পাইনি। ৫০০ কোটি টাকার মতো পেয়েছি।