alt

পরিবেশ তৈরি আছে, এখন প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন: পরিকল্পনামন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা বিদেশি বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছি। এখন প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমাদের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ যুবগোষ্ঠী। সড়কে বিশাল অবকাঠামোয় নজর দিয়েছি। জলপথেও শক্তিশালী যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের যোগাযোগের হাব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কমনওয়েলথ মিনিস্টারিয়াল প্যানেল: অ্যাটরাক্টিং ইনভেস্টমেন্ট, কমনওয়েলথ এক্সপারটাইজ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুনসহ উগান্ডার বাণিজ্যমন্ত্রীসহ বিদেশি কমনওয়েলথের সদস্যরা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা বিডা, বেজাসহ সব সংস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগ চাই। বিদেশি পুঁজিকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে এখানে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছি। শ্রম ছাড়া পুঁজি চলতে পারে না। শ্রমিকের যেন চলাচল মুক্ত হয়। পুঁজিবান্ধব আইন আছে, এটিকে সবসময় আরও উন্নত করার চেষ্টা করি।

এম এ মান্নান বলেন, আমরা বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসেছি। জ্বালানি ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসছি ধীরে ধীরে।

তিনি বলেন, পাসপোর্ট-ভিসার জটিলতার মাধ্যমে এসময়ে নিষ্ঠুরভাবে শ্রম দিতে হচ্ছে। কাজের জন্য গিয়ে ইউরোপে ভূমধ্যসাগরে শ্রমিকরা ডুবে মরছে। অর্থনৈতিক অভিবাসী তারা। পুঁজির মত শ্রমেরও বিশ্বায়ন হওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, চলাফেরায় পাসপোর্ট-ভিসায় মানুষের যে যন্ত্রণা সেটি যেন ধীরে ধীরে সরানো হয়। আমাদের ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক অভিবাসী হয়েছেন। সে দিক থেকে বাংলাদেশ শক্তিশালী ভিসা ও পাসপোর্টের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত।

খাতভিত্তিক বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাপড়ের ম্যানুফ্যাকচারিং করতে আমরা নিজেরাই সক্ষম। এখন আমাদের চামড়া, পাট, ইলেকট্রনিক ও ওষুধ শিল্পে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। ওষুধে ভালো ও দক্ষ কর্মী আছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিশেষত যারা ক্যানসারের প্রতিরোধের মত উচ্চ পর্যায়ের ওষুধ তৈরি করেন তারা আসলে এখানে ভালো করবেন।

তিনি বলেন, এখানে যারা এসেছেন তারা বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের লোক। কিন্তু কোনো পুঁজিপতি বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এখানে আসেনি। উগান্ডা, টোগো ও ট্রুভ্যালুর মন্ত্রীদের সঙ্গে এখানে কথা হয়েছে। আমরা যারা এখানে এসেছি, পুঁজির চলাচল কীভাবে আরও সহজ করেছি তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাদের বলেছি, আমাদের এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃত্রিম কোনো বাধা নেই।

এসময় বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ পরবর্তী চীন হতে যাচ্ছে। আমাদের মেধাবী জনগোষ্ঠী আছে। বিশ্বের নবম শীর্ষ ভোক্তা বাজার আমাদের। আমাদের পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে ১৫০টি আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাছ উৎপাদনকারী দেশ। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আমাদের গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে। জাইকার অর্থায়নে করা এ বন্দরের কার্যক্রম ২০২৭ সালের মধ্যে পুরোপুরিভাবে শুরু করতে পারবো। এসময় বেজার চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন বলেন, বাংলাদেশে এখন অর্থনৈতিক সংস্কার হচ্ছে। আমাদের এখন স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। বেজা সব বিনিয়োগকারীদের সমানভাবে সুযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমাদের অর্থনৈতিক জোনগুলো তৈরী হচ্ছে। এরমধ্যে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল জি টু জি ভিত্তিতে হচ্ছে। ভারত, জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া সেখানে বিনিয়োগ করেছে।

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ২৬ ঘণ্টা ভোগান্তি

ছবি

২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ

ছবি

অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

অক্টোবরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি জাতিসংঘকে জানাতে হবে

ছবি

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

tab

পরিবেশ তৈরি আছে, এখন প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন: পরিকল্পনামন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা বিদেশি বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছি। এখন প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমাদের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ যুবগোষ্ঠী। সড়কে বিশাল অবকাঠামোয় নজর দিয়েছি। জলপথেও শক্তিশালী যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের যোগাযোগের হাব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কমনওয়েলথ মিনিস্টারিয়াল প্যানেল: অ্যাটরাক্টিং ইনভেস্টমেন্ট, কমনওয়েলথ এক্সপারটাইজ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুনসহ উগান্ডার বাণিজ্যমন্ত্রীসহ বিদেশি কমনওয়েলথের সদস্যরা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা বিডা, বেজাসহ সব সংস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগ চাই। বিদেশি পুঁজিকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে এখানে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছি। শ্রম ছাড়া পুঁজি চলতে পারে না। শ্রমিকের যেন চলাচল মুক্ত হয়। পুঁজিবান্ধব আইন আছে, এটিকে সবসময় আরও উন্নত করার চেষ্টা করি।

এম এ মান্নান বলেন, আমরা বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসেছি। জ্বালানি ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসছি ধীরে ধীরে।

তিনি বলেন, পাসপোর্ট-ভিসার জটিলতার মাধ্যমে এসময়ে নিষ্ঠুরভাবে শ্রম দিতে হচ্ছে। কাজের জন্য গিয়ে ইউরোপে ভূমধ্যসাগরে শ্রমিকরা ডুবে মরছে। অর্থনৈতিক অভিবাসী তারা। পুঁজির মত শ্রমেরও বিশ্বায়ন হওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, চলাফেরায় পাসপোর্ট-ভিসায় মানুষের যে যন্ত্রণা সেটি যেন ধীরে ধীরে সরানো হয়। আমাদের ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক অভিবাসী হয়েছেন। সে দিক থেকে বাংলাদেশ শক্তিশালী ভিসা ও পাসপোর্টের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত।

খাতভিত্তিক বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাপড়ের ম্যানুফ্যাকচারিং করতে আমরা নিজেরাই সক্ষম। এখন আমাদের চামড়া, পাট, ইলেকট্রনিক ও ওষুধ শিল্পে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। ওষুধে ভালো ও দক্ষ কর্মী আছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিশেষত যারা ক্যানসারের প্রতিরোধের মত উচ্চ পর্যায়ের ওষুধ তৈরি করেন তারা আসলে এখানে ভালো করবেন।

তিনি বলেন, এখানে যারা এসেছেন তারা বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের লোক। কিন্তু কোনো পুঁজিপতি বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এখানে আসেনি। উগান্ডা, টোগো ও ট্রুভ্যালুর মন্ত্রীদের সঙ্গে এখানে কথা হয়েছে। আমরা যারা এখানে এসেছি, পুঁজির চলাচল কীভাবে আরও সহজ করেছি তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাদের বলেছি, আমাদের এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃত্রিম কোনো বাধা নেই।

এসময় বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশ পরবর্তী চীন হতে যাচ্ছে। আমাদের মেধাবী জনগোষ্ঠী আছে। বিশ্বের নবম শীর্ষ ভোক্তা বাজার আমাদের। আমাদের পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে ১৫০টি আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাছ উৎপাদনকারী দেশ। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আমাদের গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে। জাইকার অর্থায়নে করা এ বন্দরের কার্যক্রম ২০২৭ সালের মধ্যে পুরোপুরিভাবে শুরু করতে পারবো। এসময় বেজার চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন বলেন, বাংলাদেশে এখন অর্থনৈতিক সংস্কার হচ্ছে। আমাদের এখন স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। বেজা সব বিনিয়োগকারীদের সমানভাবে সুযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমাদের অর্থনৈতিক জোনগুলো তৈরী হচ্ছে। এরমধ্যে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল জি টু জি ভিত্তিতে হচ্ছে। ভারত, জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া সেখানে বিনিয়োগ করেছে।

back to top