দেশের সরকারি প্রকল্পগুলোতে চীনা ঠিকাদারদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। শুধু চীনা ঋণের প্রকল্প নয়, দেশি ও অন্যান্য দেশের প্রকল্পের কাজও পাচ্ছেন চীনা ঠিকাদারেরা। তাদের খরচের প্রাথমিক অংশ জোগাতে চীন থেকে অর্থ আসা বেড়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থ আনা কমিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদারেরা। যদিও চীনা ঠিকাদারদের বেশ কিছু বড় প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। চীনা ঠিকাদারদের হিসাব আছে এমন ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, চীনাদের সহায়তা দিতে ইস্টার্ন, ইউসিবিসহ কয়েকটি ব্যাংক পৃথক ডেস্ক চালু করেছে। আবার এর বাইরে কোনো কোনো ব্যাংক চীনা নাগরিকদের দিয়ে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।
চীন থেকে আমদানি বেশি রপ্তানি ও বিনিয়োগ কম সাধারণত সরকার কোনো প্রকল্প করার আগে ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান (ইওআই) করে। যে ঠিকাদার কাজ পায়, তাকে সেই প্রকল্প খরচের ১০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত দেশে আনার শর্ত দেয়া হয়, যা তাদের বেতন, মজুরি ও তাৎক্ষণিক ব্যয় হিসেবে খরচ হয়। এছাড়া প্রকল্পের কাঁচামাল কেনার জন্য যে ব্যয় হয়, তারও একটি অংশ ঠিকাদারদের নিজ দেশ থেকে আনতে হয়। এসব শর্ত দরপত্রের মধ্যে যুক্ত থাকে। সরকার কয়েক দফায় প্রকল্প খরচ পরিশোধ করে।
জানা যায়, বেসরকারি খাতের প্রিমিয়ার ব্যাংক চীনা ঠিকাদারদের ৭০ শতাংশ ব্যাংকিং সুবিধা দেয়। তাদের মাধ্যমে চীনা ঠিকাদারদের ডলার আসে, যা টাকায় গ্রহণ করেন ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা। ব্যাংকটি সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতেও ডলার-সংকটে পড়েনি, কারণ চীন থেকে ঠিকাদারদের প্রতি মাসে ৪-৫ কোটি ডলার আসে। পাশাপাশি ব্যাংকটির রপ্তানি আয়ও ভালো। এছাড়া সারাদেশে নেটওয়ার্ক সুবিধার কারণে প্রবাসী আয়ও পায় ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির নথিপত্র বলছে, চলতি বছরের আগস্ট-অক্টোবর সময়ে চীনা ঠিকাদারদের ১১ কোটি ডলার এসেছে, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ কোটি ডলার। আগের কোনো ত্রৈমাসিকে তা ১৫ কোটিও ছাড়িয়েছিল, এখন যা কমে এসেছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক কারণে ঠিকাদারেরা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
দেশের সরকারি প্রকল্পগুলোতে চীনা ঠিকাদারদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। শুধু চীনা ঋণের প্রকল্প নয়, দেশি ও অন্যান্য দেশের প্রকল্পের কাজও পাচ্ছেন চীনা ঠিকাদারেরা। তাদের খরচের প্রাথমিক অংশ জোগাতে চীন থেকে অর্থ আসা বেড়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থ আনা কমিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদারেরা। যদিও চীনা ঠিকাদারদের বেশ কিছু বড় প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। চীনা ঠিকাদারদের হিসাব আছে এমন ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, চীনাদের সহায়তা দিতে ইস্টার্ন, ইউসিবিসহ কয়েকটি ব্যাংক পৃথক ডেস্ক চালু করেছে। আবার এর বাইরে কোনো কোনো ব্যাংক চীনা নাগরিকদের দিয়ে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।
চীন থেকে আমদানি বেশি রপ্তানি ও বিনিয়োগ কম সাধারণত সরকার কোনো প্রকল্প করার আগে ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান (ইওআই) করে। যে ঠিকাদার কাজ পায়, তাকে সেই প্রকল্প খরচের ১০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত দেশে আনার শর্ত দেয়া হয়, যা তাদের বেতন, মজুরি ও তাৎক্ষণিক ব্যয় হিসেবে খরচ হয়। এছাড়া প্রকল্পের কাঁচামাল কেনার জন্য যে ব্যয় হয়, তারও একটি অংশ ঠিকাদারদের নিজ দেশ থেকে আনতে হয়। এসব শর্ত দরপত্রের মধ্যে যুক্ত থাকে। সরকার কয়েক দফায় প্রকল্প খরচ পরিশোধ করে।
জানা যায়, বেসরকারি খাতের প্রিমিয়ার ব্যাংক চীনা ঠিকাদারদের ৭০ শতাংশ ব্যাংকিং সুবিধা দেয়। তাদের মাধ্যমে চীনা ঠিকাদারদের ডলার আসে, যা টাকায় গ্রহণ করেন ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা। ব্যাংকটি সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতেও ডলার-সংকটে পড়েনি, কারণ চীন থেকে ঠিকাদারদের প্রতি মাসে ৪-৫ কোটি ডলার আসে। পাশাপাশি ব্যাংকটির রপ্তানি আয়ও ভালো। এছাড়া সারাদেশে নেটওয়ার্ক সুবিধার কারণে প্রবাসী আয়ও পায় ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির নথিপত্র বলছে, চলতি বছরের আগস্ট-অক্টোবর সময়ে চীনা ঠিকাদারদের ১১ কোটি ডলার এসেছে, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ কোটি ডলার। আগের কোনো ত্রৈমাসিকে তা ১৫ কোটিও ছাড়িয়েছিল, এখন যা কমে এসেছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক কারণে ঠিকাদারেরা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন।