শান্তির প্রতীক কবুতর সখের পাখী এখন বানিজ্যিক পণ্যে রূপ নিয়েছে। কবুতর বেচা কেনা আর কবুতর প্রেমীকের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় দেশী-বিদেশী হরেক রকমের পোষা পাখি ও কবুতরের হাট। শহরের মাথাভাঙ্গা নদীসংলগ্নএ হাটে নানা প্রজাতির রং-বেরঙয়ের পাখির দেখা মিলে । বিভিন্ন জাতের শখের পোষা পাখি ও কবুতরের সাপ্তাহিক হাটটি বসছে প্রত্যেক শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।
‘ঝুঁকি কম-লাভ বেশী, শখের বসে কবুতর পুষি’ এমন শ্লোগান নিয়ে সৌখিন পাখি পালনকারীদের বাণিজ্যিক খামার করতে উৎসাহিত করার জন্যই এ হাট চালু করা হয়েছে। যা পাখি ও কবুতর খামারীরা নিজ উদ্যোগে বসিয়েছেন। সাদা, কালো, ধূসর, বাদামী, লাল পাখিদের নামও নানা রকম। কোনো কোনো পাখি দেশী আবার কোনোটি বিদেশী। ককটেল, বাজরিকা, জাভা, লাভবার্ড, অস্ট্রোলিয়ান ঘুঘু আর নানা জাতের কবুতর, কাকাতুয়ার দেখা মিলছে এ হাটে। পাওয়া যাচ্ছে বিদেশী ও ছাগলা জাতের খরগোশ।
জেলার ৪০ জন খামারী একত্রিত হয়ে বিভিন্ন জাতের পোষা কবুতর ও দেশী-বিদেশী পাখি নিয়ে এ হাট বসায়। এখানে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার খামারী এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটে। ন্যায্য দামে পশু-পাখি পাওয়া যাওয়ায় দিন দিন এ হাটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
এই হাটে দেশী কবুতর ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, লাক্কা বা ময়ূরী ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, বাচ্চা ২৫০ টাকা, বোম্বায় ১ হাজার টাকা, রেছার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, কালদোম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সিরাজী ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মূক্ষী ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গ্রীভাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশী ঘুঘু ৪০০ টাকা, অফ্রিকার ঘুঘু ৭০০ টাকা, অস্ট্রোলিয়ান ঘুঘু ৪০০ টাকা, তিতি মুরগীর বাচ্চা ৪০০ টাকা, বাজরীকা পাখি ৩০০ টাকা, কোয়েল ২০০ টাকা, দেশী-বিদেশী খরগোশের বাচ্চা ৪০০ ও বয়স্ক ১ হাজার টাকা, ছাগলা খরগোশ ৬০০ টাকা জোড়ায় বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার খামারী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কবুতর কেনার উদ্দেশ্যে এ হাটে এসেছি। এখান থেকে ২০ থেকে ৩০ টি কবুতর কেনার টার্গেট রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৬ টি কবুতর কেনা হয়েছে। বাড়িতে একটি কবুতরের খামার রয়েছে সেখানে এসব কবুতর ছেড়ে দেব। এছাড়া যারা কবুতর পোষে তাদের কাছে বিক্রি করব।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা হাজরাহাটীর ব্যবসায়ী সোনা মিয়া জানান, দাম কম হওয়ায় এই হাটে বেশী ক্রেতা পাওয়া যায়। এখানে কবুতরসহ নানা জাতের পাখি বিক্রি হয়ে থাকে।
হাটে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, এ হাটে স্বল্প দামে দেশী কবুতর, লাক্কা বা ময়ূরী, কালদোম ও সিরাজীসহ দেশী-বিদেশী কবুতর পাওয়া যায়। কোয়েল পাখি, ঘুঘু ও নানা জাতের খরগোশ এই হাটে পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দর ব্যবস্থাপনায় থাকায় এই হাট প্রশংসনীয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুঁইয়া বলেন, অস্থায়ী হাটকে স্থায়ীভাবে বসানোর জন্য খামারীদের নির্দিষ্ট স্থান করে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে পাখি বিক্রি যে একটা শিল্প, তা গড়ে উঠুক। এছাড়াও পাখি পালনে যুব সমাজ আকৃষ্ট হলে তারাও মাদক থেকে অনেক দূরে থাকবে। অন্য দিকে এ ধরনের খামার তৈরি করে তারা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ মশিউর রহমান বলেন, শহরের বড় বাজার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে স্বল্প পরিসরে পোষা পাখির হাট বসছে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এ হাট ভুমিকা রাখবে। আমরা প্রাণী সম্পদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করবো।
বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শান্তির প্রতীক কবুতর সখের পাখী এখন বানিজ্যিক পণ্যে রূপ নিয়েছে। কবুতর বেচা কেনা আর কবুতর প্রেমীকের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় দেশী-বিদেশী হরেক রকমের পোষা পাখি ও কবুতরের হাট। শহরের মাথাভাঙ্গা নদীসংলগ্নএ হাটে নানা প্রজাতির রং-বেরঙয়ের পাখির দেখা মিলে । বিভিন্ন জাতের শখের পোষা পাখি ও কবুতরের সাপ্তাহিক হাটটি বসছে প্রত্যেক শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।
‘ঝুঁকি কম-লাভ বেশী, শখের বসে কবুতর পুষি’ এমন শ্লোগান নিয়ে সৌখিন পাখি পালনকারীদের বাণিজ্যিক খামার করতে উৎসাহিত করার জন্যই এ হাট চালু করা হয়েছে। যা পাখি ও কবুতর খামারীরা নিজ উদ্যোগে বসিয়েছেন। সাদা, কালো, ধূসর, বাদামী, লাল পাখিদের নামও নানা রকম। কোনো কোনো পাখি দেশী আবার কোনোটি বিদেশী। ককটেল, বাজরিকা, জাভা, লাভবার্ড, অস্ট্রোলিয়ান ঘুঘু আর নানা জাতের কবুতর, কাকাতুয়ার দেখা মিলছে এ হাটে। পাওয়া যাচ্ছে বিদেশী ও ছাগলা জাতের খরগোশ।
জেলার ৪০ জন খামারী একত্রিত হয়ে বিভিন্ন জাতের পোষা কবুতর ও দেশী-বিদেশী পাখি নিয়ে এ হাট বসায়। এখানে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার খামারী এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটে। ন্যায্য দামে পশু-পাখি পাওয়া যাওয়ায় দিন দিন এ হাটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
এই হাটে দেশী কবুতর ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, লাক্কা বা ময়ূরী ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, বাচ্চা ২৫০ টাকা, বোম্বায় ১ হাজার টাকা, রেছার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, কালদোম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সিরাজী ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মূক্ষী ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গ্রীভাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশী ঘুঘু ৪০০ টাকা, অফ্রিকার ঘুঘু ৭০০ টাকা, অস্ট্রোলিয়ান ঘুঘু ৪০০ টাকা, তিতি মুরগীর বাচ্চা ৪০০ টাকা, বাজরীকা পাখি ৩০০ টাকা, কোয়েল ২০০ টাকা, দেশী-বিদেশী খরগোশের বাচ্চা ৪০০ ও বয়স্ক ১ হাজার টাকা, ছাগলা খরগোশ ৬০০ টাকা জোড়ায় বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার খামারী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কবুতর কেনার উদ্দেশ্যে এ হাটে এসেছি। এখান থেকে ২০ থেকে ৩০ টি কবুতর কেনার টার্গেট রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৬ টি কবুতর কেনা হয়েছে। বাড়িতে একটি কবুতরের খামার রয়েছে সেখানে এসব কবুতর ছেড়ে দেব। এছাড়া যারা কবুতর পোষে তাদের কাছে বিক্রি করব।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা হাজরাহাটীর ব্যবসায়ী সোনা মিয়া জানান, দাম কম হওয়ায় এই হাটে বেশী ক্রেতা পাওয়া যায়। এখানে কবুতরসহ নানা জাতের পাখি বিক্রি হয়ে থাকে।
হাটে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, এ হাটে স্বল্প দামে দেশী কবুতর, লাক্কা বা ময়ূরী, কালদোম ও সিরাজীসহ দেশী-বিদেশী কবুতর পাওয়া যায়। কোয়েল পাখি, ঘুঘু ও নানা জাতের খরগোশ এই হাটে পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দর ব্যবস্থাপনায় থাকায় এই হাট প্রশংসনীয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুঁইয়া বলেন, অস্থায়ী হাটকে স্থায়ীভাবে বসানোর জন্য খামারীদের নির্দিষ্ট স্থান করে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে পাখি বিক্রি যে একটা শিল্প, তা গড়ে উঠুক। এছাড়াও পাখি পালনে যুব সমাজ আকৃষ্ট হলে তারাও মাদক থেকে অনেক দূরে থাকবে। অন্য দিকে এ ধরনের খামার তৈরি করে তারা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ মশিউর রহমান বলেন, শহরের বড় বাজার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে স্বল্প পরিসরে পোষা পাখির হাট বসছে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এ হাট ভুমিকা রাখবে। আমরা প্রাণী সম্পদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করবো।