alt

বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে বিশ্বমানের সিরামিক পণ্য

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

একসময় ঘর সাজাতে, বাড়ি তৈরিতে ও অতিথি আপ্যায়নে বিদেশ থেকে সিরামিকের পণ্য আনা হতো। তবে দেশেই এখন বিশ্বমানের সিরামিক তৈরি হচ্ছে। শুধু দেশের চাহিদাই মেটাচ্ছে না, রপ্তানি করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এ খাতে বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাঁচ লাখেরও বেশি দক্ষ লোকবল কাজ করছেন। অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এক সময়ের ছোট একটি খাত হাটি হাটি পা পা করে অনেক বড় হয়েছে বাংলাদেশে।

গত এক দশকে দেশে সিরামিক পণ্যের বাজারে এসেছে বড় পরিবর্তন। একটি বৃহৎ শিল্পে রূপ নিয়েছে বাংলাদেশের সিরামিক খাত। দেশে গড়ে উঠেছে ৬৮টি সিরামিক ফ্যাক্টরি। সম্প্রতি এ খাতের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কথা জানান পা-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাহবুব আলম। সিরামিক শিল্পের অতীত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এসএম মাহবুব আলম বলেন, এক সময়ে অভিজাত মানুষের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে সিরামিক পণ্য আমদানি করা হতো। পাকিস্তান আমলে মিরপুরে ১৯৫৮ সালে প্রথম দেশে সিরামিক কারখানা গড়ে উঠে। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা বিকশিত হতে পারেনি। তবে আশির দশকের পর টেবিল সিরামিকে পিপলস, মন্নু সিরামিক, সাইনপুকুর আসার পরে স্থানীয় বাজার শুরু হয়। প্রথমে তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত এভাবে বিভিন্ন সমস্যায় শিরামিককে চলতে হয়েছে। দেশের সিরামিক খাতে বিশেষ করে বেকারত্ব দূর, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আমদানি নির্ভরতা কমানো তথা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি। পা-ওয়াংয়ের রোমা টাইলস এখন বেশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের এ টাইলস সৃষ্টিশীলতা, আধুনিকতা এবং রুচি ও আভিজাত্যের প্রতীক।

বাংলাদেশে সিরামিকের বাজারের আকার কত বড় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অল্প সময়ে এটার বিকাশ ঘটেছে। ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকটিক্যাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এর ফলে বাংলাদেশের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে ভালো অবস্থানের দিকে এগুচ্ছে। সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকটি সাবসেক্টর রয়েছে। এগুলো হলো- বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি (টাইলস, স্যানিটারিওয়্যার), টেবিল ওয়্যারের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাডভান্স সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি। বিল্ডিং ম্যাটারিয়ালস বলতে ফ্লোর বা ওয়াল টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার। টেবিলওয়্যার সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি বলতে থালা-বাসন, কাপ-পিরিচ, ডাইনিংয়ে ব্যবহারযোগ্য সিরামিক পণ্য। আর অ্যাডভান্স সিরামিকের মধ্যে রয়েছে টেলিভিশনের পার্টস থেকে কৃত্রিম দাঁতসহ স্পেস ক্রাফটের মতো কিছু স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশ।

সিরামিক পণ্য রপ্তানির প্রধান বাধাগুলো চিহ্নিত করে মাহবুব আলম বলেন, এক্ষেত্রে অন্য দেশের তুলনায় আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি। অন্য দেশের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটি পৌঁছে দিতে আমাদের খরচ অনেক বেশি হয়। কাঁচামাল আমদানিতে ৩২ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। বিদেশে সরাসরি ও দ্রুত পণ্য পৌঁছানোর যথাযথ কোন ব্যবস্থা নেই। এ মুহূর্তে সিরামিক পণ্যে সবমিলে ৩৮ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন ১০০ টাকার পণ্যে ৩৮ টাকা সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়। বাকি ৬২ টাকার মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল, লোকজনের বেতন, কারখানার খরচ। তারপর লাভের হিসাব। এভাবে বেশি ট্যাক্সের কারণে টেকা মুসকিল। তাই ২০ শতাংশ ট্যাক কমানো দরকার বলে জানান তিনি।

পা-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে জানতে চাইলে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথমে একটু কম করে উৎপাদন করা হচ্ছে। চীনে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে তার প্রভাব পড়েছে। কারণ, আমরা বিদেশ থেকে অনেক কাঁচামাল আমদানি করে থাকি। অন্যান্য শিল্পের মতো সিরামিক শিল্পের উৎপাদনও এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। কেউ কেউ তিন মাস পরই অপারেশন শুরু করে দিয়েছে। তবে সরকার ছুটি তুলে নিলে আবার কারখানা চালু করা হয়েছে। স্যানিটারি পণ্য বিশেষ করে টাইলসে আমাদের কোয়ালিটি বিশ্বমানের। পা-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি রোমা ব্রান্ড-এর লাক্সারিয়াস টাইলস উৎপাদন করে। বিদেশ থেকে যে পণ্যগুলো দেশে আসছে আমরা ঠিক সেই মানের পণ্য উৎপাদন করি। ওয়াটার ট্রিটমেন্টসহ আধুনিক সব প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে এখানে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম সিরামিক কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালে। নাম ছিল তাজমা সিরামিক। তাজমার উৎপাদন খুব সীমিত ছিল। ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু করে পাকিস্তান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে নাম পাল্টে পিপলস সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ হয়।

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ২৬ ঘণ্টা ভোগান্তি

ছবি

২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ

ছবি

অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

অক্টোবরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি জাতিসংঘকে জানাতে হবে

ছবি

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

tab

বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে বিশ্বমানের সিরামিক পণ্য

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

একসময় ঘর সাজাতে, বাড়ি তৈরিতে ও অতিথি আপ্যায়নে বিদেশ থেকে সিরামিকের পণ্য আনা হতো। তবে দেশেই এখন বিশ্বমানের সিরামিক তৈরি হচ্ছে। শুধু দেশের চাহিদাই মেটাচ্ছে না, রপ্তানি করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এ খাতে বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাঁচ লাখেরও বেশি দক্ষ লোকবল কাজ করছেন। অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এক সময়ের ছোট একটি খাত হাটি হাটি পা পা করে অনেক বড় হয়েছে বাংলাদেশে।

গত এক দশকে দেশে সিরামিক পণ্যের বাজারে এসেছে বড় পরিবর্তন। একটি বৃহৎ শিল্পে রূপ নিয়েছে বাংলাদেশের সিরামিক খাত। দেশে গড়ে উঠেছে ৬৮টি সিরামিক ফ্যাক্টরি। সম্প্রতি এ খাতের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কথা জানান পা-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাহবুব আলম। সিরামিক শিল্পের অতীত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এসএম মাহবুব আলম বলেন, এক সময়ে অভিজাত মানুষের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে সিরামিক পণ্য আমদানি করা হতো। পাকিস্তান আমলে মিরপুরে ১৯৫৮ সালে প্রথম দেশে সিরামিক কারখানা গড়ে উঠে। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা বিকশিত হতে পারেনি। তবে আশির দশকের পর টেবিল সিরামিকে পিপলস, মন্নু সিরামিক, সাইনপুকুর আসার পরে স্থানীয় বাজার শুরু হয়। প্রথমে তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত এভাবে বিভিন্ন সমস্যায় শিরামিককে চলতে হয়েছে। দেশের সিরামিক খাতে বিশেষ করে বেকারত্ব দূর, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আমদানি নির্ভরতা কমানো তথা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি। পা-ওয়াংয়ের রোমা টাইলস এখন বেশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের এ টাইলস সৃষ্টিশীলতা, আধুনিকতা এবং রুচি ও আভিজাত্যের প্রতীক।

বাংলাদেশে সিরামিকের বাজারের আকার কত বড় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অল্প সময়ে এটার বিকাশ ঘটেছে। ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকটিক্যাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এর ফলে বাংলাদেশের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে ভালো অবস্থানের দিকে এগুচ্ছে। সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকটি সাবসেক্টর রয়েছে। এগুলো হলো- বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি (টাইলস, স্যানিটারিওয়্যার), টেবিল ওয়্যারের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাডভান্স সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি। বিল্ডিং ম্যাটারিয়ালস বলতে ফ্লোর বা ওয়াল টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার। টেবিলওয়্যার সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি বলতে থালা-বাসন, কাপ-পিরিচ, ডাইনিংয়ে ব্যবহারযোগ্য সিরামিক পণ্য। আর অ্যাডভান্স সিরামিকের মধ্যে রয়েছে টেলিভিশনের পার্টস থেকে কৃত্রিম দাঁতসহ স্পেস ক্রাফটের মতো কিছু স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশ।

সিরামিক পণ্য রপ্তানির প্রধান বাধাগুলো চিহ্নিত করে মাহবুব আলম বলেন, এক্ষেত্রে অন্য দেশের তুলনায় আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি। অন্য দেশের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটি পৌঁছে দিতে আমাদের খরচ অনেক বেশি হয়। কাঁচামাল আমদানিতে ৩২ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। বিদেশে সরাসরি ও দ্রুত পণ্য পৌঁছানোর যথাযথ কোন ব্যবস্থা নেই। এ মুহূর্তে সিরামিক পণ্যে সবমিলে ৩৮ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন ১০০ টাকার পণ্যে ৩৮ টাকা সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়। বাকি ৬২ টাকার মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল, লোকজনের বেতন, কারখানার খরচ। তারপর লাভের হিসাব। এভাবে বেশি ট্যাক্সের কারণে টেকা মুসকিল। তাই ২০ শতাংশ ট্যাক কমানো দরকার বলে জানান তিনি।

পা-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে জানতে চাইলে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথমে একটু কম করে উৎপাদন করা হচ্ছে। চীনে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দেশের সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে তার প্রভাব পড়েছে। কারণ, আমরা বিদেশ থেকে অনেক কাঁচামাল আমদানি করে থাকি। অন্যান্য শিল্পের মতো সিরামিক শিল্পের উৎপাদনও এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। কেউ কেউ তিন মাস পরই অপারেশন শুরু করে দিয়েছে। তবে সরকার ছুটি তুলে নিলে আবার কারখানা চালু করা হয়েছে। স্যানিটারি পণ্য বিশেষ করে টাইলসে আমাদের কোয়ালিটি বিশ্বমানের। পা-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি রোমা ব্রান্ড-এর লাক্সারিয়াস টাইলস উৎপাদন করে। বিদেশ থেকে যে পণ্যগুলো দেশে আসছে আমরা ঠিক সেই মানের পণ্য উৎপাদন করি। ওয়াটার ট্রিটমেন্টসহ আধুনিক সব প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে এখানে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম সিরামিক কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালে। নাম ছিল তাজমা সিরামিক। তাজমার উৎপাদন খুব সীমিত ছিল। ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু করে পাকিস্তান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে নাম পাল্টে পিপলস সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ হয়।

back to top