alt

রাষ্ট্রীয় মালিকানায় বন্ধ পাটকল ফের চালুর আহ্বান শ্রমিক নেতাদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

অব্যাহত লোকসানের কারণ দেখিয়ে গত জুন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে অবসরে পাঠিয়ে এগুলো বন্ধ করে দেয় সরকার। ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এসব পাটকলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে দাবি করে এগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পুনরায় চালুর আহ্বান জানিয়েছেন পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান।

প্রবীণ এই শ্রমিক নেতা বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা যখন বাড়ছে, তখনই সরকার পাটকলগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দেখানো হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভুল তথ্য ও ধারণার ওপর করা হয়েছে। এছাড়া লোকসানের জন্য পাট সময় মতো না কেনা, যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন না করাসহ আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করে আসছেন শ্রমিক নেতারা।

ঢাকার লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সহিদুল্লাহর মতে, পাটকলগুলো বন্ধ করার মানে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম উপাদানকে ধ্বংস করা। ভুল নীতি ও দুর্নীতি পরিহার করে সঠিক নীতি, পদ্ধতি ও কর্মপন্থা ঠিক করতে পারলে দেশের পাটগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০১০ সালে প্রবর্তিত মোড়ক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন হলে দেশের ভেতরেই পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা সৃষ্টি হবে। এছাড়া নতুন যন্ত্রপাতি কিনে পাটকলগুলো চালু করা হলে গড় উৎপাদন ৬০ ভাগ বেড়ে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি। এই শ্রমিক নেতা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করায় স্থায়ী, বদলি ও ক্যাজুয়াল সব মিলিয়ে প্রায় ৫১ হাজার পাটকল শ্রমিক বেকার হয়েছে। পাট চাষ, প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও পাট জাতীয় বিভিন্ন উপকরণ তৈরি ও বাণিজ্যের সঙ্গে প্রায় চার কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তাই আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো পুনরায় চালুর দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পিপিপি বা লিজ না দিয়ে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিযোগের মাধ্যমে আধুনিকায়নের মাধ্যমে পাটকলগুলো লাভজনক করা সম্ভব। ‘পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ’ আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান, আসলাম খান, শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মছিউদদ্দৌলা, হাফিজ জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কেএফডি শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল করিম, আমিন জুট মিলস শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, আমিন জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, আমিন পাটকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, এশিয়াটিক কটন মিলস শ্রমিক লীগ সভাপতি যদু মোহন দাশ, সিজিএমসিএল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছাড়া মিলবে না মার্জিন ঋণ

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত, যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা

ছবি

অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

ই-কমার্স রপ্তানির সীমা দ্বিগুণ, ওয়ালেটে অর্থ আনার সুবিধা

ছবি

পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির প্রস্তাব

ছবি

তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসক পাঁচ ব্যাংক একীভূত করবে, আমানতকারীরা নিরাপদ

ছবি

মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে, ৩৯ মাসে সর্বনিম্ন

ছবি

ডিএসইএক্স সূচক ৪ মাস পর পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে

ছবি

আর্থিক সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড বাতিল

ছবি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন না হলে খাদ্য সংকট বাড়বে: কর্মশালায় বক্তারা

ছবি

জার্মান রাষ্ট্রদূত ও বিজিএমইএ সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

বন্ড ছেড়ে ২৫০০ কোটি টাকা তুলবে সরকার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারে সয়াবিন কিনবে তিন প্রতিষ্ঠান

ছবি

জাপানি উপকরণ ও প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ শুরু

ছবি

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে জটিলতার সমাধান চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা তিন মাস কমলো দেশের পণ্য রপ্তানি

ছবি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয় ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার টেকসই হবে না, আলোচনায় বক্তারা

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

ছবি

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

বাজারে রেসি ব্র্যান্ডের হাই ক্যাপাসিটি পাওয়ার ব্যাংক

ছবি

মৌসুমের দ্বিতীয় দিনেও সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের উপস্থিতি নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ছবি

চালু হলো এমএফএস ও ব্যাংক আন্তলেনদেন

ছবি

ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন, লেনদেন ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ-শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ ৩ মাস স্থগিত

ছবি

‘বিডাকে দ্রুত পরিবর্তিত বিনিয়োগ পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে’

tab

রাষ্ট্রীয় মালিকানায় বন্ধ পাটকল ফের চালুর আহ্বান শ্রমিক নেতাদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

অব্যাহত লোকসানের কারণ দেখিয়ে গত জুন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে অবসরে পাঠিয়ে এগুলো বন্ধ করে দেয় সরকার। ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এসব পাটকলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে দাবি করে এগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পুনরায় চালুর আহ্বান জানিয়েছেন পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান।

প্রবীণ এই শ্রমিক নেতা বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা যখন বাড়ছে, তখনই সরকার পাটকলগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দেখানো হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভুল তথ্য ও ধারণার ওপর করা হয়েছে। এছাড়া লোকসানের জন্য পাট সময় মতো না কেনা, যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন না করাসহ আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করে আসছেন শ্রমিক নেতারা।

ঢাকার লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সহিদুল্লাহর মতে, পাটকলগুলো বন্ধ করার মানে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম উপাদানকে ধ্বংস করা। ভুল নীতি ও দুর্নীতি পরিহার করে সঠিক নীতি, পদ্ধতি ও কর্মপন্থা ঠিক করতে পারলে দেশের পাটগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০১০ সালে প্রবর্তিত মোড়ক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন হলে দেশের ভেতরেই পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা সৃষ্টি হবে। এছাড়া নতুন যন্ত্রপাতি কিনে পাটকলগুলো চালু করা হলে গড় উৎপাদন ৬০ ভাগ বেড়ে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি। এই শ্রমিক নেতা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করায় স্থায়ী, বদলি ও ক্যাজুয়াল সব মিলিয়ে প্রায় ৫১ হাজার পাটকল শ্রমিক বেকার হয়েছে। পাট চাষ, প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও পাট জাতীয় বিভিন্ন উপকরণ তৈরি ও বাণিজ্যের সঙ্গে প্রায় চার কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তাই আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো পুনরায় চালুর দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পিপিপি বা লিজ না দিয়ে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিযোগের মাধ্যমে আধুনিকায়নের মাধ্যমে পাটকলগুলো লাভজনক করা সম্ভব। ‘পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ’ আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান, আসলাম খান, শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মছিউদদ্দৌলা, হাফিজ জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কেএফডি শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল করিম, আমিন জুট মিলস শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, আমিন জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, আমিন পাটকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, এশিয়াটিক কটন মিলস শ্রমিক লীগ সভাপতি যদু মোহন দাশ, সিজিএমসিএল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

back to top