alt

অর্থ-বাণিজ্য

# বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কৃষি ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি বেশ খানিকটা কমেছে। তবে শিল্প খাতে বেড়েছে

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সংকটের মধ্যেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এই তিন মাসে স্থিরমূল্যে এই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থবছরের সাড়ে সাত মাস চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত বৃহস্পতিবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রথম তিন মাসের এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তার আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এই হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এই তিন মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়েছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে স্থিরমূল্যে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ১০ লাখ ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কৃষি ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি বেশ খানিকটা কমেছে। তবে শিল্প খাতে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষি খাতে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা কমে দশমিক ৮৪ শতাংশে নেমে এসেছে। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে উঠেছে। আর সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশে নেমেছে।

চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থনীতির চলমান এ অবস্থায় তা অর্জিত হওয়া নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বাজেট ঘোষণার পর থেকেই সংশয় প্রকাশ করে আসছেন।

অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতায় অর্থমন্ত্রণালয় জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কমানো হবে বলে জানিয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রান্তিকভিত্তিক (তিন মাস পরপর) জিডিপি হিসাব প্রকাশ করছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করা হয়। এরপর ২১ নভেম্বর ২০১৫-১৬ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দিয়েই শুরু করল পরিসংখ্যান ব্যুরো।

এর ফলে এখন প্রতি অর্থবছরে চারবার জিডিপির হিসাব পাওয়া যাবে। প্রতিবার আগের তিন মাসের জিডিপির গতিপ্রকৃতির চিত্র মিলবে। পরে বছর শেষে তা গড় করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপির হিসাব করার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন দেশের গবেষক ও অর্থনীতিবিদেরা। দুই বছর আগে এ নিয়ে উদ্যোগও গ্রহণ করে বিবিএস। এজন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনুমোদনও নেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি (৪.৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এই ঋণের দুই কিস্তি ইতোমধ্যে পেয়েছে সরকার।

ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ বলেছে, তিন মাস পরপর জিডিপির হালনাগাদ হিসাব প্রস্তুত করতে হবে। পাশাপাশি শ্রমশক্তি জরিপও প্রান্তিকভিত্তিক করতে হবে। সেই শর্ত পূরণের অংশ হিসেবেই বিবিএস প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপির হিসাব প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ শুরু হয়েছে।

এতদিন পুরো এক বছরের হিসাব দিয়ে দুইবার জিডিপির তথ্য প্রকাশ করত বিবিএস। সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের প্রথম ছয়-সাত মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রথমে জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধিসহ সাময়িক হিসাব দেয়া হতো। পরে পুরো বছরের তথ্য নিয়ে প্রকাশ করা হতো জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব।

প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপির হিসাব প্রকাশের নানা ধরনের সুবিধা আছে। সাধারণত কৃষি, শিল্প ও সেবাÑ এই তিন খাতের মূল্য সংযোজন দিয়ে জিডিপির হিসাব করা হয়। এজন্য মোটাদাগে ১৯টি খাতের তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়। এ তালিকায় আছে কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কলকারখানা, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা, নির্মাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পরিবহন, শিল্প-সংস্কৃতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ইত্যাদি। তিন মাস পরপর হিসাব প্রকাশ করা হলে এসব খাতের মূল্য সংযোজন কত হলো, তা জানা যাবে। কোনো খাতের মূল্য সংযোজন কমে গেলে, সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া যাবে।

ছবি

বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস-এর প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন

ছবি

পুষ্টিগ্রাম: বাড়ির আঙিনায় নিরাপদ সবজি চাষে ভাগ্যবদল

ছবি

বাজারে চাঁদাবাজি করলে ডিসিদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি : অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

চলতি বছরে সোনার দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ, কেনা বন্ধ রেখেছে চীন

ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামছে রিজার্ভ

‘আশা সবাই দেখায়, আসলে আমরা বলির পাঁঠা’,‘চারিদিকের অবস্থা খারাপ’

ছবি

বেক্সিমকো গ্রুপের সম্পদ দেখভালে রিসিভার নিয়োগে উচ্চ আদালতের রুল

ছবি

বন্যা ও অচলাবস্থার কারণে পণ্যবাজারে স্বস্তি দিতে শুল্ক ছাড়

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে এস আলম

ছবি

শেয়ারবাজারে ইতিহাস, ৪১০০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে লিন্ডে বিডি

ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি: আমানতকারীদের স্বার্থে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ঋণ খেলাপি নিয়ন্ত্রণে তিনটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত

ছবি

বড় ঋণ খেলাপিদের সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে ঋণ আদায়ে উদ্যোগ: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

পোশাক কারখানা খুলে দিতে বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত, যৌথ অভিযান শুরু

ছবি

স্পট মার্কেট থেকে ২০ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন

ছবি

রেজার ক্যাপিটালের ‘সিরিজ এ’ বিনিয়োগ পেল আইফার্মার

ছবি

বিকাশে আইডিএলসি লোনের কিস্তি পরিশোধের সুযোগ

ছবি

সরানো হল সালমান এফ রহমানকে, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহমুদ হোসেন

ছবি

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছয় মাসে খেলাপি ঋণ বাড়লো ৬৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা আল আরাফাহ ও কমার্স ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন

ছবি

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ রেকর্ড পরিমাণে, জুন শেষে ছাড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি

ছবি

পর্ষদ পুনর্গঠন করা ব্যাংকের সংকট নিয়ে বসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

বিএসইসির কমিশনার হলেন ফারজানা লালারুখ

ছবি

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গুঁড়া দুধ ছাড়া সব পণ্য আমদানির অনুমতি

ছবি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন, নিয়োগ পেলেন সাত স্বতন্ত্র পরিচালক

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সিআইডির অনুসন্ধান

ছবি

সেপ্টেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম কমালো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

ছবি

এক্সিম ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন

ছবি

ডিমের দাম বেড়েছে, কমেছে সবজির

ছবি

বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্যামসাংয়ের নতুন রেফ্রিজারেটর

ছবি

দেশের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি: বিবিএসের জরিপ

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা ১৫,১০০ কোটি টাকা

ছবি

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব আকিজ উদ্দিনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

সালমান এফ রহমান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

# বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কৃষি ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি বেশ খানিকটা কমেছে। তবে শিল্প খাতে বেড়েছে

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সংকটের মধ্যেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এই তিন মাসে স্থিরমূল্যে এই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থবছরের সাড়ে সাত মাস চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত বৃহস্পতিবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রথম তিন মাসের এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তার আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এই হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এই তিন মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়েছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে স্থিরমূল্যে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ১০ লাখ ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কৃষি ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি বেশ খানিকটা কমেছে। তবে শিল্প খাতে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষি খাতে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা কমে দশমিক ৮৪ শতাংশে নেমে এসেছে। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে উঠেছে। আর সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশে নেমেছে।

চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থনীতির চলমান এ অবস্থায় তা অর্জিত হওয়া নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বাজেট ঘোষণার পর থেকেই সংশয় প্রকাশ করে আসছেন।

অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতায় অর্থমন্ত্রণালয় জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কমানো হবে বলে জানিয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রান্তিকভিত্তিক (তিন মাস পরপর) জিডিপি হিসাব প্রকাশ করছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করা হয়। এরপর ২১ নভেম্বর ২০১৫-১৬ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দিয়েই শুরু করল পরিসংখ্যান ব্যুরো।

এর ফলে এখন প্রতি অর্থবছরে চারবার জিডিপির হিসাব পাওয়া যাবে। প্রতিবার আগের তিন মাসের জিডিপির গতিপ্রকৃতির চিত্র মিলবে। পরে বছর শেষে তা গড় করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপির হিসাব করার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন দেশের গবেষক ও অর্থনীতিবিদেরা। দুই বছর আগে এ নিয়ে উদ্যোগও গ্রহণ করে বিবিএস। এজন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনুমোদনও নেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি (৪.৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এই ঋণের দুই কিস্তি ইতোমধ্যে পেয়েছে সরকার।

ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ বলেছে, তিন মাস পরপর জিডিপির হালনাগাদ হিসাব প্রস্তুত করতে হবে। পাশাপাশি শ্রমশক্তি জরিপও প্রান্তিকভিত্তিক করতে হবে। সেই শর্ত পূরণের অংশ হিসেবেই বিবিএস প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপির হিসাব প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ শুরু হয়েছে।

এতদিন পুরো এক বছরের হিসাব দিয়ে দুইবার জিডিপির তথ্য প্রকাশ করত বিবিএস। সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের প্রথম ছয়-সাত মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রথমে জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধিসহ সাময়িক হিসাব দেয়া হতো। পরে পুরো বছরের তথ্য নিয়ে প্রকাশ করা হতো জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব।

প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপির হিসাব প্রকাশের নানা ধরনের সুবিধা আছে। সাধারণত কৃষি, শিল্প ও সেবাÑ এই তিন খাতের মূল্য সংযোজন দিয়ে জিডিপির হিসাব করা হয়। এজন্য মোটাদাগে ১৯টি খাতের তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়। এ তালিকায় আছে কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কলকারখানা, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা, নির্মাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পরিবহন, শিল্প-সংস্কৃতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ইত্যাদি। তিন মাস পরপর হিসাব প্রকাশ করা হলে এসব খাতের মূল্য সংযোজন কত হলো, তা জানা যাবে। কোনো খাতের মূল্য সংযোজন কমে গেলে, সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া যাবে।

back to top