alt

মেলা থেকে বই কিনলে ২৫ শতাংশ, বিকাশ পেমেন্টে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ছাড়

উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়েনি বইয়ের দাম

জাহিদা পারভেজ ছন্দা : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-19.JPG

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীর কাছে উত্তরা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া এখন আর কোনো বিষয় না। কারণ মেট্রোরেল। শুধুমাত্র যাতায়াতের কারণে বইমেলায় যাওয়া হতো না বলছিলেন আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে কাজ করা ফারহান নেওয়াজ। এখন অফিস শেষে আগারগাঁও থেকে মেট্রোতে চাপলেই চোখের পলকে চলে আসেন বই মেলায়। এই কারণে এবার প্রায়ই আসা হচ্ছে বইমেলায়, জানান ফারহান। সবটাই মেট্রোরেলের কল্যাণে হচ্ছে বলতে ভুল্লেন না।

গতকাল ছিল কর্মব্যস্ত দিন। লোকজনের আনাগোনা কিছুটা কম হবে ভেবেই মেলায় এসেছেন ফারহানের মতো আরো অনেকে। সুমি আক্তার বলেন, নিরিবিলি পরিবেশে বই কিনতে সুবিধা। আগামীকাল একুশে ফেব্রুয়ারি আমার তো মনে হয় কাল ঢুকতেই পারবো না। এমনটা ভেবেই গতকাল অফিস শেষে মেলায় এসেছিলেন সুমি সহকর্মীদের সাথে। উপন্যাস, ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ের বই কিনবেন বলে জানালেন তারা।

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-17.JPG

মিরপুর থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছেন শামসুজ্জোহা সুজন। তিনি ছেলেদের জন্য জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন ও মুহম্মদ আসাদুজ্জামানের সম্পাদিত কিশোর রূপাবলী বই খুঁজছিলেন বিশ্ব সাহিত্য ভবনে ৩২ নম্বর প্যাভিলিয়নে। বইয়ের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো কিনি নাই বই। তবে এখন তো চাল, ডাল পিঁয়াজ, মরিচ সব কিছুর দামই বাড়তি। বইয়ের দাম তো বাড়ারই কথা’।

বইয়ের দাম নিয়ে কথাপ্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি রিয়াজ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাগজের দাম বেড়েছে তাই স্বাভাবিকভাবে বইয়ের দাম তো একটু বেশি হবেই। তবে খুব বেশি যে বেড়েছে সেটি মনে হয় না। বইয়ের দাম কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মাঝেই আছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাঁওলী সামরিজা বলেন, ‘বই ত আমরা কিনবোই। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য একটা ছাড় থাকলে খুব ভালো হয়। অনেকেই হোস্টেলে থাকে। তারা কিন্তু খরচ বাঁচিয়ে বই কেনে। তা ছাড়া একটা ছাড় বা অফার শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় ও সংগ্রহে উৎসাহ দিতে খুব ভালো কাজে দেবে বলে মনে হয়’।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামি আহমেদ বলেন, ‘বই প্রকাশে আনুষঙ্গিক সব উপাদানের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। তবে এই দাম বৃদ্ধির বিষয়টা প্রকাশক এবং লেখক নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিলে আমাদের মতো যারা শিক্ষার্থী পাঠক আছি তাদের জন্য ভালো হতো।’

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-16.JPG

‘তারপরও এটা যেহেতু বই-ই তাই দাম বাড়লেও কিছু করার নেই। তবে দাম অতিরিক্ত মনে হয়নি, সহনীয় পর্যায়েই রাখা হয়েছে’ বলে জানান তারা দুজনই।

অন্যান্যবার বইয়ের দাম কাগজ ইত্যাদি নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও এবার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় নাই বলে সংবাদকে জানান ছায়াবিথী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন।

শাহাদাত বলেন, দাম বাড়লেও তা পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে কিন্তু পাঠকের হাতে। কারণ অমর একুশে বইমেলা থেকে বই কিনলে পাঠকরা প্রতি বইয়ে ২৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশ পেমেন্টে থাকছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ছাড়।

ফাতিমা বুলবুল, অন্বেষা প্রকাশনীর সিইও, তিনি বলেন, ‘গতবছরের তুলনায় কাগজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। সেই অনুযায়ী আমরা দাম বাড়াইনি। যে পরিমাণ বাড়ালে ন্যূনতম লাভ করা যায় বইয়ের দাম আমরা তার চেয়ে কম রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রকাশনীতে ১২০ টাকা দিয়েও বই পাওয়া যায়। এরচেয়ে কম দামে আর কি হতে পারে।

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-20.JPG

শিক্ষার্থীদের বই কেনা নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘শুনতে খারাপ লাগবে, তারপরও বলছি- আমাদের শিক্ষার্থীরা অনায়াসে ২০০ টাকায় বার্গার, কফি খেয়ে ফেলেন। কিন্তু বইয়ের দাম দুই শ টাকা দেখলে তারা সেটি কিনতে চান না। তবে এবার কিন্তু বই কিনছে শিক্ষার্থীরা।

মৃদুল প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী বলেন, ‘গত বছরের শুরুতে একটা কাগজের রিম ছিল ১৬০০-১৭০০ টাকা। একই কাগজের দাম এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০০-৩৮০০ টাকা। সে অনুযায়ী দাম না বাড়িয়ে গতবছর যে বইয়ের দাম ছিল ১৫০ টাকা এবছর সেই বইয়ের দাম রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা।’

কাগজের দামের সঙ্গে বইয়ের দামের ব্যালান্স করা হয় কীভাবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানই কিন্তু লস দিয়ে ব্যবসা করে না। প্রকাশনা মালিকের একটা লাভের জায়গা থাকে। আর লেখক একটা রয়্যালটি পায়। লাভ এবং রয়্যালটি থেকে পাঁচ শতাংশ করে ছাড় দিয়েই এই ব্যালান্সটা আসলে করা হয়।’

একই কথা বলেছেন ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জহিরুল আবেদীন জুয়েল বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এই বছর বইয়ের কাগজের দাম না বাড়লেও বই প্রকাশে আনুষঙ্গিক সব উপাদানের দাম বেড়েছে। তারপরও আমরা এই বছর নতুন করে কোন বইয়ের দাম বাড়াইনি। গত বছর যা ছিল এ বছরও দাম সেটাই রাখা হয়েছে। এ বছরও দাম বাড়ালে পাঠকদের কাছে সেটা অসহনীয় হয়ে যেতো।’

এই স্টলে তরুণ লেখক মুবাশশিরা তাসনিম মৌমিতার ‘ছায়াঘর’ বইটি কিনতে আসেন চিকিৎসক নাফিসা এখলাস। এই বই নিয়ে তিনি বলেন, মেয়েটি মেডিকেল প্রথম বর্ষের ছাত্রি। একই তো বাচ্চা মেয়ে তার ওপর চিকিৎসক - কেমন লিখেছে তা জানতেই মূলত বইটা কিনলাম। আমার কাছে তো বইয়ের দাম কমই মনে হচ্ছে’।

তবে প্রায় প্রকাশকই বলেন বিভিন্ন উপাদানের দাম বাড়ানো হলেও তারা এ বছর নতুন করে বইয়ের দাম বাড়াননি।

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ

সেমিনারে বক্তারা, সুদের হার না কমালে বিনিয়োগ বাড়বে না

ছবি

বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন: ২ কোটি ২৩ লাখ টাকার সুফল নেই

ছবি

প্রযুক্তিগত পরিবর্তন কর্মীদের মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে

ছবি

ডিসিসিআইর সঙ্গে ডিএসইর চুক্তি সই

ছবি

বিকাশ ৯ মাসে ৫০৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে

ছবি

বিদ্যুৎ আমদানির অর্থ পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না

ছবি

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

ছবি

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ ২ নভেম্বর

ছবি

৭৮ শতাংশ পোশাক শ্রমিক পর্যাপ্ত খাদ্য জোগাতে পারেন না

ছবি

বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইসিএসবির সাক্ষাৎ

ছবি

সোনার দাম ভরিপ্রতি তিন দিনে কমেছে ১৫ হাজার টাকার বেশি

ছবি

ওয়ালটনের ১৯তম এজিএম অনুষ্ঠিত, ১৭৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ডে সন্তুষ্ট ওয়ালটনের বিনিয়োগকারীরা

ছবি

২০ জনে ট্রেড ইউনিয়ন হলে পোশাক শিল্প ‘অস্থিতিশীল হবে’: বিজিএমইএ

ছবি

৩ মাস ২৬ দিনে পৌনে ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

ছবি

যানবাহন ক্রয় বন্ধই থাকবে, সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণে লাগাম

ছবি

বিদ্যুৎ আমদানির অর্থ পরিশোধে নিয়ম সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এক সপ্তাহে ৮ শতাংশ কমলো

ছবি

এসডোর গবেষণা : নিম্নমানের রঙে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসা

ছবি

সূচকের বড় পতন শেয়ারবাজারে, লেনদেন ৩০০ কোটির ঘরে

ছবি

১৩ শতাংশ পোশাকশ্রমিক এখনো বর্ধিত মজুরি পাননি: গবেষণা

ছবি

একীভূত ব্যাংকের নাম হবে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

ছবি

প্রকল্পের এক টাকাও খরচ করতে পারেনি ৩ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ

ছবি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে টিকে থাকতে দরকার স্মার্ট মানবসম্পদ: ডিসিসিআই

ছবি

দেশের সর্ববৃহৎ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এখন ওয়ালটনে

ছবি

দেশেই তৈরি হবে সব ধরনের কীটনাশক

ছবি

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন গ্রামীণফোনের সিইওসহ ৩ জন

ছবি

আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন ফারইস্ট লাইফের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

ছবি

আয়কর রিটার্ন এখন আরও সহজ, আপলোড করতে হবে না কাগজপত্র

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেন ও সূচক

ছবি

রিজার্ভ বৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলো আইএমএফ

ছবি

ঢাকা জেলায় মাথাপিছু আয় ৫১৬৩ ডলার: ডিসিসিআই

ছবি

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা

ছবি

রাজনৈতিক অস্থিরতা, এক বছরে চট্টগ্রামে বন্ধ ২২ পোশাক কারখানা

ছবি

শেয়ারবাজারের মূলধনে যোগ হলো ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যসংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশ: আইএমএফ

tab

মেলা থেকে বই কিনলে ২৫ শতাংশ, বিকাশ পেমেন্টে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ছাড়

উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়েনি বইয়ের দাম

জাহিদা পারভেজ ছন্দা

মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-19.JPG

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীর কাছে উত্তরা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া এখন আর কোনো বিষয় না। কারণ মেট্রোরেল। শুধুমাত্র যাতায়াতের কারণে বইমেলায় যাওয়া হতো না বলছিলেন আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে কাজ করা ফারহান নেওয়াজ। এখন অফিস শেষে আগারগাঁও থেকে মেট্রোতে চাপলেই চোখের পলকে চলে আসেন বই মেলায়। এই কারণে এবার প্রায়ই আসা হচ্ছে বইমেলায়, জানান ফারহান। সবটাই মেট্রোরেলের কল্যাণে হচ্ছে বলতে ভুল্লেন না।

গতকাল ছিল কর্মব্যস্ত দিন। লোকজনের আনাগোনা কিছুটা কম হবে ভেবেই মেলায় এসেছেন ফারহানের মতো আরো অনেকে। সুমি আক্তার বলেন, নিরিবিলি পরিবেশে বই কিনতে সুবিধা। আগামীকাল একুশে ফেব্রুয়ারি আমার তো মনে হয় কাল ঢুকতেই পারবো না। এমনটা ভেবেই গতকাল অফিস শেষে মেলায় এসেছিলেন সুমি সহকর্মীদের সাথে। উপন্যাস, ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ের বই কিনবেন বলে জানালেন তারা।

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-17.JPG

মিরপুর থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছেন শামসুজ্জোহা সুজন। তিনি ছেলেদের জন্য জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন ও মুহম্মদ আসাদুজ্জামানের সম্পাদিত কিশোর রূপাবলী বই খুঁজছিলেন বিশ্ব সাহিত্য ভবনে ৩২ নম্বর প্যাভিলিয়নে। বইয়ের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো কিনি নাই বই। তবে এখন তো চাল, ডাল পিঁয়াজ, মরিচ সব কিছুর দামই বাড়তি। বইয়ের দাম তো বাড়ারই কথা’।

বইয়ের দাম নিয়ে কথাপ্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি রিয়াজ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাগজের দাম বেড়েছে তাই স্বাভাবিকভাবে বইয়ের দাম তো একটু বেশি হবেই। তবে খুব বেশি যে বেড়েছে সেটি মনে হয় না। বইয়ের দাম কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মাঝেই আছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাঁওলী সামরিজা বলেন, ‘বই ত আমরা কিনবোই। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য একটা ছাড় থাকলে খুব ভালো হয়। অনেকেই হোস্টেলে থাকে। তারা কিন্তু খরচ বাঁচিয়ে বই কেনে। তা ছাড়া একটা ছাড় বা অফার শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় ও সংগ্রহে উৎসাহ দিতে খুব ভালো কাজে দেবে বলে মনে হয়’।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামি আহমেদ বলেন, ‘বই প্রকাশে আনুষঙ্গিক সব উপাদানের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। তবে এই দাম বৃদ্ধির বিষয়টা প্রকাশক এবং লেখক নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিলে আমাদের মতো যারা শিক্ষার্থী পাঠক আছি তাদের জন্য ভালো হতো।’

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-16.JPG

‘তারপরও এটা যেহেতু বই-ই তাই দাম বাড়লেও কিছু করার নেই। তবে দাম অতিরিক্ত মনে হয়নি, সহনীয় পর্যায়েই রাখা হয়েছে’ বলে জানান তারা দুজনই।

অন্যান্যবার বইয়ের দাম কাগজ ইত্যাদি নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও এবার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় নাই বলে সংবাদকে জানান ছায়াবিথী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন।

শাহাদাত বলেন, দাম বাড়লেও তা পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে কিন্তু পাঠকের হাতে। কারণ অমর একুশে বইমেলা থেকে বই কিনলে পাঠকরা প্রতি বইয়ে ২৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশ পেমেন্টে থাকছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ছাড়।

ফাতিমা বুলবুল, অন্বেষা প্রকাশনীর সিইও, তিনি বলেন, ‘গতবছরের তুলনায় কাগজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। সেই অনুযায়ী আমরা দাম বাড়াইনি। যে পরিমাণ বাড়ালে ন্যূনতম লাভ করা যায় বইয়ের দাম আমরা তার চেয়ে কম রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রকাশনীতে ১২০ টাকা দিয়েও বই পাওয়া যায়। এরচেয়ে কম দামে আর কি হতে পারে।

https://sangbad.net.bd/images/2024/February/20Feb24/news/az-20.JPG

শিক্ষার্থীদের বই কেনা নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘শুনতে খারাপ লাগবে, তারপরও বলছি- আমাদের শিক্ষার্থীরা অনায়াসে ২০০ টাকায় বার্গার, কফি খেয়ে ফেলেন। কিন্তু বইয়ের দাম দুই শ টাকা দেখলে তারা সেটি কিনতে চান না। তবে এবার কিন্তু বই কিনছে শিক্ষার্থীরা।

মৃদুল প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী বলেন, ‘গত বছরের শুরুতে একটা কাগজের রিম ছিল ১৬০০-১৭০০ টাকা। একই কাগজের দাম এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০০-৩৮০০ টাকা। সে অনুযায়ী দাম না বাড়িয়ে গতবছর যে বইয়ের দাম ছিল ১৫০ টাকা এবছর সেই বইয়ের দাম রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা।’

কাগজের দামের সঙ্গে বইয়ের দামের ব্যালান্স করা হয় কীভাবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানই কিন্তু লস দিয়ে ব্যবসা করে না। প্রকাশনা মালিকের একটা লাভের জায়গা থাকে। আর লেখক একটা রয়্যালটি পায়। লাভ এবং রয়্যালটি থেকে পাঁচ শতাংশ করে ছাড় দিয়েই এই ব্যালান্সটা আসলে করা হয়।’

একই কথা বলেছেন ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জহিরুল আবেদীন জুয়েল বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এই বছর বইয়ের কাগজের দাম না বাড়লেও বই প্রকাশে আনুষঙ্গিক সব উপাদানের দাম বেড়েছে। তারপরও আমরা এই বছর নতুন করে কোন বইয়ের দাম বাড়াইনি। গত বছর যা ছিল এ বছরও দাম সেটাই রাখা হয়েছে। এ বছরও দাম বাড়ালে পাঠকদের কাছে সেটা অসহনীয় হয়ে যেতো।’

এই স্টলে তরুণ লেখক মুবাশশিরা তাসনিম মৌমিতার ‘ছায়াঘর’ বইটি কিনতে আসেন চিকিৎসক নাফিসা এখলাস। এই বই নিয়ে তিনি বলেন, মেয়েটি মেডিকেল প্রথম বর্ষের ছাত্রি। একই তো বাচ্চা মেয়ে তার ওপর চিকিৎসক - কেমন লিখেছে তা জানতেই মূলত বইটা কিনলাম। আমার কাছে তো বইয়ের দাম কমই মনে হচ্ছে’।

তবে প্রায় প্রকাশকই বলেন বিভিন্ন উপাদানের দাম বাড়ানো হলেও তারা এ বছর নতুন করে বইয়ের দাম বাড়াননি।

back to top