alt

অর্থ-বাণিজ্য

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা

রমজান আলী : বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪

খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বরং এতে আরও উল্টে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা আগের তিন মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের জন্য দেয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের একটি হলো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলেছে সংস্থাটি। কিন্তু খেলাপি না কমে উল্টো বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন চারটি ব্যাংককে চলতি জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক চারটি হলো-সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। তবে মার্চ পর্যন্ত কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এই সীমার মধ্যে আসেনি। কারণ, কোন কৌশলে খেলাপি ঋণ কমানো হবে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে সরকারি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে ঋণ স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। সেখানে খেলাপি ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এর মানে প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। যেখানে ঋণ বেড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৮৪ হাজার ২২১ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ২১ শতাংশ।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মার্চ পর্যন্ত ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৮৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ৭০ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৬৬ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে, যা বিতরণকৃত ঋণের ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে ছিল ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের ৪০ হাজার ৩২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তিন মাস আগে যা ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল।

খেলাপি ঋণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘খেলাপি ঋণ যা প্রকাশ করেছে, এটা প্রকৃত তথ্য না। আমি বরাবরই বলি খেলাপি ঋণ এর চাইতেও বেশি। অর্থ ঋণ আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলোতে আটকে থাকা খেলাপি ঋণকে জাস্টিফাইড ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। ৬৫ হাজার কোটি টাকা যেটা রাইট অব করা হয়েছে, পাঁচ বছরের পুরনো মন্দ ঋণ সেটা কিন্তু খেলাপি ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এই দুটোকে যোগ করলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’

ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সরকার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে কঠোর না হয় এবং একটা স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় করার ব্যবস্থা না করে, তাহলে এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাব না।’

ছবি

ইউসিবি ও এসএমই ফাউন্ডেশনের মধ্যে চুক্তি

ছবি

রিয়েলমি ঈদ ক্যাম্পেইন বিজয়ী পেলেন মোটরসাইকেল

ছবি

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের মার্কেট শেয়ারে ইনফিনিক্সের প্রবৃদ্ধি অর্জন

ছবি

সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

বাংলাদেশের জন্য ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ

ছবি

কক্সবাজার-ময়মনসিংহে প্রিয়শপের হাব চালু

ছবি

১০ মাসে বিদেশি ঋণের সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে জাপান

ছবি

ছাগল কান্ডঃ মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড থেকেও সরানো হয়েছে

ছবি

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে সংশয়

ছবি

বিশ্বব্যাংক ৯০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে

সব ধরনের সবজিসহ মাছ-মাংসের বাজারও উত্তপ্ত

ছবি

কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা, বেড়েছে আলু-শসার দাম

বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে চামড়ার দাম কম

ছবি

ধারাবাহিক পতনে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা মূলধন কমল ডিএসইতে

ছবি

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের অফিসিয়াল পার্টনার ভিভো

ছবি

উত্তরাঞ্চলে এগ্রিটেক স্টার্টআপ ‘ফসল’ ও ‘সেফ’ এর ফারমার্স সেন্টার চালু

ছবি

বাংলাদেশে হুয়াওয়ের ওয়াই-ফাই ৭ ব্যবহার উপযোগী অ্যাকসেস পয়েন্ট পণ্য উন্মোচন

ছবি

এক সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে ৫৪ কোটি ডলার

বাজেটের অর্থায়ন নিয়ে সংশয় অর্থনীতিবিদদের

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৮ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ

ছবি

ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনে বাইক জিতলেন গাজীপুরের রাসেল

ছবি

ইউসিবি এখন এসএমই খাতে বেশি জোর দিচ্ছে : এমডি আরিফ কাদরী

ছবি

চট্টগ্রাম ও সিলেটের সেরা পাঠাও হিরোরা পুরস্কৃত

ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ‘শিথিল’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার প্রায় শতভাগ

ছবি

নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা না গেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না: প্রতিমন্ত্রী পলক

ছবি

নাটোরের সিংড়ার পশুরহাটে ক্যাশলেস লেনদেনে নগদ

হজযাত্রীদের বিনামূল্যে ২৪ ঘণ্টা জরুরি ডাক্তারের পরামর্শ সেবা প্রদান করবে মেটলাইফ

ছবি

বাজেটে রপ্তানি খাতে প্রস্তাবনার প্রতিফলন ঘটেনি : ইএবি

ছবি

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন, ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক

ছবি

বিক্রয় বিরাট হাট ২০২৪ ক্যাম্পেইন শুরু

ছবি

টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই আর্থিক নীতির তাগিদ দিয়েছে ফিকি

ছবি

দেশ ‘অনৈতিক’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে ‘যাচ্ছে’

ছবি

প্রস্তাবিত বাজেট বে-নজির বাজেট : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ছবি

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ভূমিকা রাখছে ‘কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেচ উন্নয়ন প্রকল্প’

ছবি

বাজেটের পর প্রথমদিনেই শেয়ারবাজারে বড় পতন

tab

অর্থ-বাণিজ্য

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা

রমজান আলী

বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪

খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বরং এতে আরও উল্টে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা আগের তিন মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের জন্য দেয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের একটি হলো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলেছে সংস্থাটি। কিন্তু খেলাপি না কমে উল্টো বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন চারটি ব্যাংককে চলতি জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক চারটি হলো-সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। তবে মার্চ পর্যন্ত কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এই সীমার মধ্যে আসেনি। কারণ, কোন কৌশলে খেলাপি ঋণ কমানো হবে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে সরকারি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে ঋণ স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। সেখানে খেলাপি ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এর মানে প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। যেখানে ঋণ বেড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৮৪ হাজার ২২১ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ২১ শতাংশ।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মার্চ পর্যন্ত ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৮৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ৭০ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৬৬ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে, যা বিতরণকৃত ঋণের ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে ছিল ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের ৪০ হাজার ৩২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তিন মাস আগে যা ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল।

খেলাপি ঋণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘খেলাপি ঋণ যা প্রকাশ করেছে, এটা প্রকৃত তথ্য না। আমি বরাবরই বলি খেলাপি ঋণ এর চাইতেও বেশি। অর্থ ঋণ আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলোতে আটকে থাকা খেলাপি ঋণকে জাস্টিফাইড ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। ৬৫ হাজার কোটি টাকা যেটা রাইট অব করা হয়েছে, পাঁচ বছরের পুরনো মন্দ ঋণ সেটা কিন্তু খেলাপি ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এই দুটোকে যোগ করলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’

ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সরকার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে কঠোর না হয় এবং একটা স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় করার ব্যবস্থা না করে, তাহলে এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাব না।’

back to top