চলতি বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। কিন্তু কিভাবে কমবে সেটা স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেছেন, ‘বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি, যাতে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো চাপ না পড়ে। এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য কি কি কৌশল নেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সুদের হার বাড়ানোসহ অন্যান্য কৌশলের কথা বার বার উল্লেখ করেছেন, যেগুলো অনেক আগেই নেয়া হয়েছে। তারপরও মূল্যস্ফীতি কমেনি।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ৬ জন মন্ত্রী, একজন উপদেষ্টা, দুইজন প্রতিমন্ত্রী এবং চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকার আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে অর্থমন্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজে দিয়েছেন। আর কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের দিতে বলেছেন। ব্যাংকে তারল্য সংকটের সময় বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, এতে ব্যাংকে তারল্য সংকট হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া এটা সব বাজেটেই সব অর্থমন্ত্রীরা করে থাকেন। সব সরকার করে থাকেন। উন্নত দেশগুলো আরও অনেক বেশি নিয়ে থাকে, আমরা তো মাত্র ৫ শতাংশের মধ্যে এটা ধরে রেখেছি। কাজেই এটা এতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
মূল্যস্ফীতির এ সময়ে বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা একই রেখেছেন- এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমি বাজেট বক্তব্যে বলেছি। আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। দেখা যাক চেষ্টা তো করতে হবে। এবার আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো চাপ না পড়ে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখনও ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য এটা কারণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার নিয়েছি। আরও যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন নেবো। আশা করি মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।’
ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ‘ব্যাংকে মানুষ টাকা জমা রাখছে। ব্যাংক সেজন্য সুদ দেয়। ব্যাংক যদি সেই টাকাটা কোথাও বিনিয়োগ করতে না পারে, তাহলে ব্যাংক তো বন্ধ হবে। ব্যাংক বন্ধ করা কোনো সরকারের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাংকের পারফরমেন্স ও নন-পারফরমেন্স লোনের অংকটা একদিনের নয় এবং এগুলো বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। মূলত অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রাখা এবং ব্যাংকের সুস্থ পরিচালনা করা। এই দুটোর ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। সরকার এ বিষয়ে সচেতন।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জনবল বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘জনবল নিয়োগের বিষয়ে এনবিআর থেকে চিঠি এসেছিল। আমরা জনবল বৃদ্ধি করেছি। আশা করছি সামনে আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিষয়টি শুরু হয়েছে। অর্থবিভাগ থেকে আমরা জনবল নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন পেয়েছি।
সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে বাজেটে কোনো উদ্যোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সুনীল অর্থনীতির গবেষণায় ও অন্যান্য বিষয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমবে। সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যাতে করে প্রেসার না পড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রেখেছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়া হয়। আমরা মনে করেছি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহ করা সম্ভব না। এ কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ব্যাংক ঋণের সঙ্গে ব্যাংকের টাকা সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘রমজান মাসের পর থেকে এখনও তেল-চিনির দাম ভারসাম্য অবস্থায় আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই-এক শতাংশ করা হয়েছে বাজেটে। এখন এক কোটি নাগরিক ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেয়ার কাজ চলছে। এটা হলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।’
কালো টাকার প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘নানান কারণে কালো টাকা হয়। রিটার্ন জমা না দিলে, ভুলবশত নানান কারণে কালো টাকা হয়। এটা সত্য যে জমি বেচাকেনায় কালো টাকা ব্যবহার করা হয়। অনেক পক্ষের মতামত ছিল কিছু অপদর্শিত টাকা অনেকে সাদা করতে চায়, এ জন্য সুযোগ দেয়া। কালো টাকা যারা তৈরি করেন তারা এটা বাইরে নিয়ে ভোগবিলাস করেন। এই অপ্রদর্শিত আয় দেশে রাখার জন্য বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।’
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করা প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ‘এই টাকা কেইসে (মামলায়) পড়ে গেছে, এটা কীভাবে সাদা হবে। এখন ফৌজদারি মামলা চলছে।’ ১৫ শতাংশ কর দিলে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কালো টাকা সাদা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
বেনজীর আহমেদের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেছেন, উনার বিচার হবে না এটা কেউ বলেননি। দুদক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ না করে তাকে জেলে বা ফাঁসি দেবো বিষয়টি এমন নয়, কারণ উনি তো এ দেশের মানুষ। বেনজীর বিদেশে আছেন, দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন।’
শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪
চলতি বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। কিন্তু কিভাবে কমবে সেটা স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেছেন, ‘বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি, যাতে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো চাপ না পড়ে। এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য কি কি কৌশল নেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সুদের হার বাড়ানোসহ অন্যান্য কৌশলের কথা বার বার উল্লেখ করেছেন, যেগুলো অনেক আগেই নেয়া হয়েছে। তারপরও মূল্যস্ফীতি কমেনি।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ৬ জন মন্ত্রী, একজন উপদেষ্টা, দুইজন প্রতিমন্ত্রী এবং চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকার আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে অর্থমন্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজে দিয়েছেন। আর কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের দিতে বলেছেন। ব্যাংকে তারল্য সংকটের সময় বাজেটে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, এতে ব্যাংকে তারল্য সংকট হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া এটা সব বাজেটেই সব অর্থমন্ত্রীরা করে থাকেন। সব সরকার করে থাকেন। উন্নত দেশগুলো আরও অনেক বেশি নিয়ে থাকে, আমরা তো মাত্র ৫ শতাংশের মধ্যে এটা ধরে রেখেছি। কাজেই এটা এতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
মূল্যস্ফীতির এ সময়ে বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা একই রেখেছেন- এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমি বাজেট বক্তব্যে বলেছি। আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। দেখা যাক চেষ্টা তো করতে হবে। এবার আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো চাপ না পড়ে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখনও ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য এটা কারণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার নিয়েছি। আরও যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন নেবো। আশা করি মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।’
ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ‘ব্যাংকে মানুষ টাকা জমা রাখছে। ব্যাংক সেজন্য সুদ দেয়। ব্যাংক যদি সেই টাকাটা কোথাও বিনিয়োগ করতে না পারে, তাহলে ব্যাংক তো বন্ধ হবে। ব্যাংক বন্ধ করা কোনো সরকারের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাংকের পারফরমেন্স ও নন-পারফরমেন্স লোনের অংকটা একদিনের নয় এবং এগুলো বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। মূলত অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রাখা এবং ব্যাংকের সুস্থ পরিচালনা করা। এই দুটোর ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। সরকার এ বিষয়ে সচেতন।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জনবল বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘জনবল নিয়োগের বিষয়ে এনবিআর থেকে চিঠি এসেছিল। আমরা জনবল বৃদ্ধি করেছি। আশা করছি সামনে আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিষয়টি শুরু হয়েছে। অর্থবিভাগ থেকে আমরা জনবল নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন পেয়েছি।
সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে বাজেটে কোনো উদ্যোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সুনীল অর্থনীতির গবেষণায় ও অন্যান্য বিষয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমবে। সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যাতে করে প্রেসার না পড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রেখেছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়া হয়। আমরা মনে করেছি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহ করা সম্ভব না। এ কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ব্যাংক ঋণের সঙ্গে ব্যাংকের টাকা সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘রমজান মাসের পর থেকে এখনও তেল-চিনির দাম ভারসাম্য অবস্থায় আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই-এক শতাংশ করা হয়েছে বাজেটে। এখন এক কোটি নাগরিক ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেয়ার কাজ চলছে। এটা হলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।’
কালো টাকার প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘নানান কারণে কালো টাকা হয়। রিটার্ন জমা না দিলে, ভুলবশত নানান কারণে কালো টাকা হয়। এটা সত্য যে জমি বেচাকেনায় কালো টাকা ব্যবহার করা হয়। অনেক পক্ষের মতামত ছিল কিছু অপদর্শিত টাকা অনেকে সাদা করতে চায়, এ জন্য সুযোগ দেয়া। কালো টাকা যারা তৈরি করেন তারা এটা বাইরে নিয়ে ভোগবিলাস করেন। এই অপ্রদর্শিত আয় দেশে রাখার জন্য বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।’
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করা প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ‘এই টাকা কেইসে (মামলায়) পড়ে গেছে, এটা কীভাবে সাদা হবে। এখন ফৌজদারি মামলা চলছে।’ ১৫ শতাংশ কর দিলে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কালো টাকা সাদা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
বেনজীর আহমেদের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেছেন, উনার বিচার হবে না এটা কেউ বলেননি। দুদক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ না করে তাকে জেলে বা ফাঁসি দেবো বিষয়টি এমন নয়, কারণ উনি তো এ দেশের মানুষ। বেনজীর বিদেশে আছেন, দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন।’