দেশের ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সাতটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪.৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিমের চাহিদা ও সরবরাহের বর্তমান পরিস্থিতি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে বাজারে ডিমের সংকট ও দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জন্য ডিম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই সরকার সাময়িক সময়ের জন্য ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
অনুমতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও তাদের কোটা
আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন পরিমাণ ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও তাদের জন্য বরাদ্দ করা ডিমের পরিমাণ নিম্নরূপ:
মিম এন্টারপ্রাইজ (দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা) - ১ কোটি ডিম।
হিমালয় (মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা) - ১ কোটি ডিম।
প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশ (শান্তিনগর, ঢাকা) - ৫০ লাখ ডিম।
জামান ট্রেডার্স (তেজকুনিপাড়া, ঢাকা) - ৫০ লাখ ডিম।
তাওসিন ট্রেডার্স (চৌরাস্তা মোড়, যশোর) - ১ কোটি ডিম।
সুমন ট্রেডার্স (লবশা, সাতক্ষীরা) - ২০ লাখ ডিম।
আলিফ ট্রেডার্স (ভগী, রংপুর) - ৩০ লাখ ডিম।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ক নির্দেশনা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অনুমতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি সপ্তাহে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি চালানের সঙ্গে রপ্তানিকারক দেশের পক্ষ থেকে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু) এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। এই সনদ পণ্যগুলোর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আগের পদক্ষেপসমূহ
এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে সেই দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ভারত থেকে আমদানি ও প্রভাব
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৬২ হাজার ডিমের একটি চালান দেশে পৌঁছানোর পর পাইকারিতে ডিমের দাম কিছুটা কমেছিল। প্রতিটি ডিমের পাইকারি দাম ৮০ পয়সা কমে গিয়েছিল এবং এক পর্যায়ে ডজনপ্রতি দাম ১২০ টাকার আশেপাশে নেমে আসে। তবে পরে দাম আবার বাড়তে শুরু করে এবং বর্তমানে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৭০ টাকায় পৌঁছেছে।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি
বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিটি ডিমের খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করেছিল, যাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে এখনো ডিমের দাম ১৭০ টাকার নিচে নামেনি, যা সরকার ও ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
ভবিষ্যতের পদক্ষেপ ও আশার আলো
সরকার আশা করছে যে, আমদানির এই নতুন চালানগুলোর মাধ্যমে ডিমের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং দাম কমবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগতে পারে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত বাজার মনিটরিং চালিয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
দেশের ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সাতটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪.৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিমের চাহিদা ও সরবরাহের বর্তমান পরিস্থিতি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে বাজারে ডিমের সংকট ও দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জন্য ডিম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই সরকার সাময়িক সময়ের জন্য ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
অনুমতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও তাদের কোটা
আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন পরিমাণ ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও তাদের জন্য বরাদ্দ করা ডিমের পরিমাণ নিম্নরূপ:
মিম এন্টারপ্রাইজ (দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা) - ১ কোটি ডিম।
হিমালয় (মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা) - ১ কোটি ডিম।
প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশ (শান্তিনগর, ঢাকা) - ৫০ লাখ ডিম।
জামান ট্রেডার্স (তেজকুনিপাড়া, ঢাকা) - ৫০ লাখ ডিম।
তাওসিন ট্রেডার্স (চৌরাস্তা মোড়, যশোর) - ১ কোটি ডিম।
সুমন ট্রেডার্স (লবশা, সাতক্ষীরা) - ২০ লাখ ডিম।
আলিফ ট্রেডার্স (ভগী, রংপুর) - ৩০ লাখ ডিম।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ক নির্দেশনা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অনুমতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি সপ্তাহে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি চালানের সঙ্গে রপ্তানিকারক দেশের পক্ষ থেকে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু) এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। এই সনদ পণ্যগুলোর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আগের পদক্ষেপসমূহ
এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে সেই দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ভারত থেকে আমদানি ও প্রভাব
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৬২ হাজার ডিমের একটি চালান দেশে পৌঁছানোর পর পাইকারিতে ডিমের দাম কিছুটা কমেছিল। প্রতিটি ডিমের পাইকারি দাম ৮০ পয়সা কমে গিয়েছিল এবং এক পর্যায়ে ডজনপ্রতি দাম ১২০ টাকার আশেপাশে নেমে আসে। তবে পরে দাম আবার বাড়তে শুরু করে এবং বর্তমানে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৭০ টাকায় পৌঁছেছে।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি
বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিটি ডিমের খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করেছিল, যাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে এখনো ডিমের দাম ১৭০ টাকার নিচে নামেনি, যা সরকার ও ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
ভবিষ্যতের পদক্ষেপ ও আশার আলো
সরকার আশা করছে যে, আমদানির এই নতুন চালানগুলোর মাধ্যমে ডিমের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং দাম কমবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগতে পারে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত বাজার মনিটরিং চালিয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।