বেআইনিভাবে কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ, অবস্থান, বর্তমান কর্মচারীদের শারীরিক লাঞ্ছনা ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসি কর্তৃপক্ষ। ২১ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ অক্টোবর কোম্পানী কার্যালয়ে সাবেক কর্মচারীরা বর্তমান কর্মচারীদের শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে বর্তমান কর্মচারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সেনাসদস্যদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। এমতাবস্থায় কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের সাথেও সাবেক কর্মচারীরা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও আক্রমণাত্মক আচরণে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে সেনাসদস্যরা তাদেরকে প্রধান ফটকের বাইরে সরিয়ে দেয়। তবে সেনাসদস্যরা কার্যালয় প্রাঙ্গন ত্যাগের পরপরই প্রাক্তন কর্মচারীরা আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে এবং প্রধান ফটকের তালা ভেঙে পুনরায় কার্যালয়ের ভিতর অবস্থান গ্রহণ করে। তারা কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানরত নিরাপত্তাকর্মী ও অফিস সহকারীকে মারধর করে। অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সাইনোভিয়া কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাইনোভিয়া ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার মুঈন উদ্দিন মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর হেড অব এইচআর সৈয়দ মাসউদুল হাসান, মার্কেটিং ডিরেক্টর সৈয়দ এ. বি. তাহমিদ, সিএফও গোলাম রাব্বানী আকন্দ এবং পরিচালক বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড সাপোর্ট রেনেসা আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সানোফি বাংলাদেশ থেকে প্যারিসভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি গ্রুপের মালিকানাধীন ৫৪.৬% শেয়ার বিক্রির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিক্রয় প্রতিনিধিদের একটি অংশ সাময়িক কর্মবিরতিতে যায়। মালিকানা পরিবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি হতে কোম্পানির ৯০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ৩০০ বিক্রয় প্রতিনিধি পরিপূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে যায়। কর্মবিরতিকালীন তারা সানোফি গ্রুপের নিকট মালিকানা প্রত্যাহারের কারণে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং আরও নানাবিধ দাবি দাওয়া উত্থাপন করে। এই অবস্থায় কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মচারীরা লেবার কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে (মামলা নং ৭০৪/২০২১)।
সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসি (পূর্বের সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড) ৬৫ বছরের বেশী সময় ধরে দেশের বাজারে বহুবিধ জরুরী ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করে যাচ্ছে। এটি একটি যৌথ মালিকানায় চালিত প্রতিষ্ঠান যেখানে বাংলাদেশ সরকারের ৪৫.৪% শেয়ার রয়েছে (বিসিআইসি ২০% এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ২৫.৪%)। বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসির পরিচালনা পর্ষদেরও চেয়ারম্যান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব কোম্পানী পরিচালনা পর্ষদে প্রতিনিধিত্ব করেন।
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
বেআইনিভাবে কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ, অবস্থান, বর্তমান কর্মচারীদের শারীরিক লাঞ্ছনা ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসি কর্তৃপক্ষ। ২১ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ অক্টোবর কোম্পানী কার্যালয়ে সাবেক কর্মচারীরা বর্তমান কর্মচারীদের শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে বর্তমান কর্মচারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সেনাসদস্যদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। এমতাবস্থায় কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের সাথেও সাবেক কর্মচারীরা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও আক্রমণাত্মক আচরণে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে সেনাসদস্যরা তাদেরকে প্রধান ফটকের বাইরে সরিয়ে দেয়। তবে সেনাসদস্যরা কার্যালয় প্রাঙ্গন ত্যাগের পরপরই প্রাক্তন কর্মচারীরা আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে এবং প্রধান ফটকের তালা ভেঙে পুনরায় কার্যালয়ের ভিতর অবস্থান গ্রহণ করে। তারা কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানরত নিরাপত্তাকর্মী ও অফিস সহকারীকে মারধর করে। অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সাইনোভিয়া কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাইনোভিয়া ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার মুঈন উদ্দিন মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর হেড অব এইচআর সৈয়দ মাসউদুল হাসান, মার্কেটিং ডিরেক্টর সৈয়দ এ. বি. তাহমিদ, সিএফও গোলাম রাব্বানী আকন্দ এবং পরিচালক বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড সাপোর্ট রেনেসা আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সানোফি বাংলাদেশ থেকে প্যারিসভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি গ্রুপের মালিকানাধীন ৫৪.৬% শেয়ার বিক্রির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিক্রয় প্রতিনিধিদের একটি অংশ সাময়িক কর্মবিরতিতে যায়। মালিকানা পরিবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি হতে কোম্পানির ৯০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ৩০০ বিক্রয় প্রতিনিধি পরিপূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে যায়। কর্মবিরতিকালীন তারা সানোফি গ্রুপের নিকট মালিকানা প্রত্যাহারের কারণে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং আরও নানাবিধ দাবি দাওয়া উত্থাপন করে। এই অবস্থায় কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মচারীরা লেবার কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে (মামলা নং ৭০৪/২০২১)।
সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসি (পূর্বের সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড) ৬৫ বছরের বেশী সময় ধরে দেশের বাজারে বহুবিধ জরুরী ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করে যাচ্ছে। এটি একটি যৌথ মালিকানায় চালিত প্রতিষ্ঠান যেখানে বাংলাদেশ সরকারের ৪৫.৪% শেয়ার রয়েছে (বিসিআইসি ২০% এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ২৫.৪%)। বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসির পরিচালনা পর্ষদেরও চেয়ারম্যান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব কোম্পানী পরিচালনা পর্ষদে প্রতিনিধিত্ব করেন।