ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে, যদি প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধ না করা হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানির এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় এক ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।
আগের মাসগুলোতে ৯-১০ কোটি ডলারের বিলের বিপরীতে বাংলাদেশ আদানিকে ২-৫ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল। অক্টোবর মাসে প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হলেও আদানি পাওয়ারের মতে, তাদের আরও ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র পরিশোধ বাকি রয়েছে, যা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চুক্তি অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে সম্মত ছিল। তবে ডলার সংকটের কারণে পিডিবি এটি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের চেষ্টা করে, যা আদানি চুক্তির শর্তের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় গ্রহণ করেনি।
এই সংকটের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের লোডশেডিং বেড়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মোট সক্ষমতা ১৪৯৬ মেগাওয়াট হলেও বর্তমানে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এদিকে, কয়লার সংকটের কারণে রামপাল এবং এসএস পাওয়ার ওয়ান বিদ্যুৎ কেন্দ্রও তাদের ক্ষমতার অর্ধেকেরও কম উৎপাদন করছে, ফলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও সংকটে পড়েছে।
আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, আদানি পাওয়ারের এমন আচরণ দুঃখজনক। বাংলাদেশ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে এবং গ্রাহকদের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি না বদলালে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবসায়িক সফলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে, যদি প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধ না করা হয়। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানির এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় এক ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।
আগের মাসগুলোতে ৯-১০ কোটি ডলারের বিলের বিপরীতে বাংলাদেশ আদানিকে ২-৫ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল। অক্টোবর মাসে প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হলেও আদানি পাওয়ারের মতে, তাদের আরও ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র পরিশোধ বাকি রয়েছে, যা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চুক্তি অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে সম্মত ছিল। তবে ডলার সংকটের কারণে পিডিবি এটি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের চেষ্টা করে, যা আদানি চুক্তির শর্তের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় গ্রহণ করেনি।
এই সংকটের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের লোডশেডিং বেড়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মোট সক্ষমতা ১৪৯৬ মেগাওয়াট হলেও বর্তমানে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এদিকে, কয়লার সংকটের কারণে রামপাল এবং এসএস পাওয়ার ওয়ান বিদ্যুৎ কেন্দ্রও তাদের ক্ষমতার অর্ধেকেরও কম উৎপাদন করছে, ফলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও সংকটে পড়েছে।
আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, আদানি পাওয়ারের এমন আচরণ দুঃখজনক। বাংলাদেশ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে এবং গ্রাহকদের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি না বদলালে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবসায়িক সফলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।