alt

বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও ক্ষমতার পালাবদলের পর উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো থেকে ঋণের মৌখিক আশ্বাস মিললেও এর সুফল মিলছে না।

বিদেশি অর্থছাড়েও গতি ফেরেনি। ফলে এ সময়ে দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, সুদ ও আসল মিলিয়ে পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরের বিদেশি ঋণের অর্থছাড় ও বিদেশি ঋণের তথ্য বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

কোনো ঋণ আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পর উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, অর্থায়নকারী দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হলে তা প্রতিশ্রুতি হিসেবে ধরা হয়।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৩ শতাংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে যেখানে ৩৬২ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি মিলেছে, সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পাওয়া গেছে ২৫ কোটি ৪৫ ডলারের; যা শতাংশে ৯৩ শতাংশ কম।

হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উম্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিদেশি ঋণ ও অনুদানের মধ্যে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ১৬২ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এ হিসেবে ৪২ কোটি ৪১ লাখ ডলারের অর্থছাড় কম হয়েছে, শতাংশের হিসেবে ২৬ দশমিক ০৮ শতাংশ কম।

একই সময়ে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ ২৩ কোটি ডলারের বেশি ছিল; যা দেশে ছাড় হওয়া বৈদেশিক ঋণের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।

সাধারণত অর্থছাড়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমই থাকে, আগের দুই অর্থবছরের চিত্র এমনটাই ছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৮৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এসময় বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে জুলাই ও অগাস্টের বড় অংশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের উত্তাল সময় দেখেছে দেশ। আন্দোলনে সহিংসতায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে প্রকল্পের কার্যক্রম। কর্মকর্তারা বলছেন, এর প্রভাব পড়েছে অর্থছাড়ে।

ছবি

পণ্য পরিবহন নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন চায় বিসিভিওএ-কোয়াব

ছবি

মিডল্যান্ড ব্যাংক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সামির উদ্দিনের যোগদান

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর রোড শো অনুষ্ঠিত

ছবি

টানা পতনে ১৭ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারালো শেয়ারবাজার

ছবি

এ বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কমেছে ১৪ শতাংশ

ছবি

৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে ১ হাজার কোটি পাচ্ছে আইসিবি

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হলেন কায়সার আলম

ছবি

ক্লাইমেট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিটি ব্যাংক

ছবি

দুই মাস বন্ধ থাকার পর টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ছবি

রিয়েলমি সি৮৫ প্রো’র সেল শুরু

ছবি

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমেছে

ছবি

আইএমএফ থেকে পরের কিস্তি পাওয়ার আলোচনা হবে নতুন সরকারের সঙ্গে

ছবি

পাঁচ ব্যাংক নয়, সরকারের টাকা পাবে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

ছবি

খেলাপি হার ২০ শতাংশ হলেও তহবিল পরিচালনায় যোগ্য হবে ব্যাংক

ছবি

এবার স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৫ হাজার টাকা

ছবি

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা অনুমোদন

ছবি

ঠিকায় কাজ করা পোশাক কারখানাও প্রণোদনা পাবে

ছবি

রমজান-নির্বাচন উপলক্ষে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর তাগিদ

ছবি

বাকিতে আমদানি করা যাবে রোজার পণ্য

ছবি

সুমিটোমো থার্ড টার্মিনালের অপারেশনস-মেইটেনেন্স কাজ করতে আগ্রহী জাপান

ছবি

চলমান গ্যাস সংকট কমাতে দীর্ঘ পরিকল্পনা পেট্রোবাংলার

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফায় ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

ছবি

সয়াবিন তেল ও চিনি কিনছে সরকার

ছবি

১৬৪ টাকায় সয়াবিন তেল, ৯৪ টাকায় চিনি কিনবে সরকার

ছবি

ভারতে মূল্যস্ফীতি শূন্যের কাছাকাছি

ছবি

সিএমএসএমইর তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল

ছবি

সরকারের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ, অর্থবিভাগ-এর সাথে সর্বজনীন পেনশন স্কিমসমুহে রেজিস্ট্রেশন

ছবি

মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা নিয়ে গেজেট, থাকছে না মেয়াদি ফান্ড

ছবি

মেট্রোরেল প্রকল্প বাতিল হয়নি, ব্যয় কমানোর চেষ্টা চলছে: ডিএমটিসিএল এমডি

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে চিঠি

ছবি

নতুন পে-স্কেলের ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবে বর্তমান সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

চট্টগ্রামে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল: ৩০ বছর চালাবে ডেনমার্কের কোম্পানি

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ প্রশাসকদের

ছবি

বৃহস্পতিবার দোকান ও বিপণিবিতান খোলা রাখার ঘোষণা ব্যবসায়ীদের

ছবি

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

তিন শতাধিক শেয়ারের দরপতনে তলানিতে লেনদেন শেয়ারবাজারে

tab

বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও ক্ষমতার পালাবদলের পর উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো থেকে ঋণের মৌখিক আশ্বাস মিললেও এর সুফল মিলছে না।

বিদেশি অর্থছাড়েও গতি ফেরেনি। ফলে এ সময়ে দেশে যত বিদেশি ঋণ এসেছে, সুদ ও আসল মিলিয়ে পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরের বিদেশি ঋণের অর্থছাড় ও বিদেশি ঋণের তথ্য বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

কোনো ঋণ আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পর উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, অর্থায়নকারী দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হলে তা প্রতিশ্রুতি হিসেবে ধরা হয়।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৩ শতাংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে যেখানে ৩৬২ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি মিলেছে, সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পাওয়া গেছে ২৫ কোটি ৪৫ ডলারের; যা শতাংশে ৯৩ শতাংশ কম।

হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উম্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিদেশি ঋণ ও অনুদানের মধ্যে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ১৬২ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এ হিসেবে ৪২ কোটি ৪১ লাখ ডলারের অর্থছাড় কম হয়েছে, শতাংশের হিসেবে ২৬ দশমিক ০৮ শতাংশ কম।

একই সময়ে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ ২৩ কোটি ডলারের বেশি ছিল; যা দেশে ছাড় হওয়া বৈদেশিক ঋণের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।

সাধারণত অর্থছাড়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমই থাকে, আগের দুই অর্থবছরের চিত্র এমনটাই ছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৮৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এসময় বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে জুলাই ও অগাস্টের বড় অংশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের উত্তাল সময় দেখেছে দেশ। আন্দোলনে সহিংসতায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে প্রকল্পের কার্যক্রম। কর্মকর্তারা বলছেন, এর প্রভাব পড়েছে অর্থছাড়ে।

back to top