বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আগামী ছয় মাসে বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। রোববার এক অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
গভর্নর বলেন, “বর্তমানে অফিসিয়ালভাবে খেলাপি ঋণের হার সাড়ে ১২ শতাংশ হলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। এটি আগামী ছয় মাসে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক জানান, নীতি পরিবর্তন ও আদালতে রিট খারিজ হওয়া এর প্রধান কারণ।
২০১৯ সালে গৃহীত নীতিমালার আওতায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলেও বর্তমানে সেই সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগের বকেয়া কিস্তিগুলো খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।
গভর্নর উল্লেখ করেন, “বর্তমান খেলাপি ঋণের অর্ধেকই বড় বড় স্ক্যাম থেকে এসেছে। এস আলম গ্রুপ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ কয়েকটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা পাচার করেছে। এই প্রবণতা ২০১৭ সালের পর থেকে বেড়েছে।”
গভর্নর খেলাপি ঋণ কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে নিয়ম-নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করানো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে সম্পদের মান নিরীক্ষা শুরু করার কথাও জানান।
১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ১২টি এবং পরে আরও ২০টি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা নিরীক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, “আমরা আমানতকারীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে ব্যাংক বাঁচানো আমার কাজ নয়। ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
আইনি ব্যবস্থা এবং অর্থ ফেরত আনার পরিকল্পনা
অর্থ পাচার বন্ধ এবং খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। নতুন আইনের মাধ্যমে সম্পদের মান যাচাই করে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ ও অর্থ পুনরুদ্ধার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান তিনি।
“যদিও এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া, তবুও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব,” যোগ করেন গভর্নর।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আগামী ছয় মাসে বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। রোববার এক অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
গভর্নর বলেন, “বর্তমানে অফিসিয়ালভাবে খেলাপি ঋণের হার সাড়ে ১২ শতাংশ হলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। এটি আগামী ছয় মাসে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক জানান, নীতি পরিবর্তন ও আদালতে রিট খারিজ হওয়া এর প্রধান কারণ।
২০১৯ সালে গৃহীত নীতিমালার আওতায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলেও বর্তমানে সেই সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগের বকেয়া কিস্তিগুলো খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।
গভর্নর উল্লেখ করেন, “বর্তমান খেলাপি ঋণের অর্ধেকই বড় বড় স্ক্যাম থেকে এসেছে। এস আলম গ্রুপ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ কয়েকটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা পাচার করেছে। এই প্রবণতা ২০১৭ সালের পর থেকে বেড়েছে।”
গভর্নর খেলাপি ঋণ কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে নিয়ম-নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করানো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে সম্পদের মান নিরীক্ষা শুরু করার কথাও জানান।
১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ১২টি এবং পরে আরও ২০টি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা নিরীক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, “আমরা আমানতকারীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে ব্যাংক বাঁচানো আমার কাজ নয়। ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
আইনি ব্যবস্থা এবং অর্থ ফেরত আনার পরিকল্পনা
অর্থ পাচার বন্ধ এবং খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। নতুন আইনের মাধ্যমে সম্পদের মান যাচাই করে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ ও অর্থ পুনরুদ্ধার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান তিনি।
“যদিও এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া, তবুও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব,” যোগ করেন গভর্নর।