অন্তর্বর্তী সরকারের পঞ্চম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হবে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৬৩২ কোটি ১ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ২০৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) একনেকের চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে অবহিত করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ইতোমধ্যে অনুমোদিত ৯টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন। সেগুলো হলো:
১) রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজির বাংলো নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।
২) সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৩) উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুবিধাবঞ্চিত ৮৬টি এলাকা ও নদীবিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৪) সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৫) মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত)।
৬) আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প।
৭) পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলাধীন বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বাঁ তীর সংরক্ষণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৮) বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার (দ্বিতীয় পর্যায়), এবং
৯) আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট, দ্বিতীয় পর্যায় (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহণ, সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। যুব, ক্রীড়া ও এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নৌপরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একনেক সভায় যোগ দেন।
সভায় ‘চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হয়, যার মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারিত। প্রকল্পটির খরচ হবে ৪৩৭.০৭ কোটি টাকা এবং এটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
মোংলা বন্দরে ‘পশুর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং’ প্রকল্পও পরিকল্পনায় রয়েছে, যা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১৫৩৮.১৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৩৮৪.৩৭ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১৫৩.৮২ কোটি টাকা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে হবে। ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ৭৬৭.২৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯৩৬.৫৬ কোটি টাকা হবে। এটি বাস্তবায়ন করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মেয়াদকাল জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।
এছাড়া, ‘গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম এবং ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস)’ প্রকল্পটি ১১৩.৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯৩২.৬০ কোটি টাকা হয়েছে, যা নৌপরিবহণ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদি।
‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি ২২৩.৭৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬১৫.৭৫ কোটি টাকা হয়েছে, যা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।
‘ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ বাস্তবায়িত হবে ২৬৫.৭৮ কোটি টাকায়, যা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) পরিচালনা করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল নভেম্বর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত।
‘সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি ৪৯৯.৯৯ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করবে বিএডিসি। এর মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত।
‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৭৩.৪০ কোটি টাকা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত।
‘ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ প্রকল্পটি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) বাস্তবায়ন করবে, এবং এর ব্যয় হবে ৬৪৬.৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদকাল অক্টোবর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত।
শেষে, ‘নেপালের লুম্বিনি সংরক্ষণ এলাকায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ মঠ কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৬৮.০৮ কোটি টাকা, যা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের পঞ্চম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হবে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৬৩২ কোটি ১ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ২০৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) একনেকের চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে অবহিত করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ইতোমধ্যে অনুমোদিত ৯টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন। সেগুলো হলো:
১) রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজির বাংলো নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।
২) সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৩) উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুবিধাবঞ্চিত ৮৬টি এলাকা ও নদীবিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৪) সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৫) মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত)।
৬) আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প।
৭) পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলাধীন বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বাঁ তীর সংরক্ষণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
৮) বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার (দ্বিতীয় পর্যায়), এবং
৯) আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট, দ্বিতীয় পর্যায় (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহণ, সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। যুব, ক্রীড়া ও এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নৌপরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একনেক সভায় যোগ দেন।
সভায় ‘চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হয়, যার মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারিত। প্রকল্পটির খরচ হবে ৪৩৭.০৭ কোটি টাকা এবং এটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
মোংলা বন্দরে ‘পশুর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং’ প্রকল্পও পরিকল্পনায় রয়েছে, যা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১৫৩৮.১৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৩৮৪.৩৭ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১৫৩.৮২ কোটি টাকা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে হবে। ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ৭৬৭.২৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯৩৬.৫৬ কোটি টাকা হবে। এটি বাস্তবায়ন করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মেয়াদকাল জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।
এছাড়া, ‘গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম এবং ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস)’ প্রকল্পটি ১১৩.৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯৩২.৬০ কোটি টাকা হয়েছে, যা নৌপরিবহণ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদি।
‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি ২২৩.৭৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬১৫.৭৫ কোটি টাকা হয়েছে, যা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।
‘ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ বাস্তবায়িত হবে ২৬৫.৭৮ কোটি টাকায়, যা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) পরিচালনা করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল নভেম্বর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত।
‘সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি ৪৯৯.৯৯ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করবে বিএডিসি। এর মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত।
‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৭৩.৪০ কোটি টাকা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত।
‘ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ প্রকল্পটি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) বাস্তবায়ন করবে, এবং এর ব্যয় হবে ৬৪৬.৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদকাল অক্টোবর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত।
শেষে, ‘নেপালের লুম্বিনি সংরক্ষণ এলাকায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ মঠ কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৬৮.০৮ কোটি টাকা, যা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।