ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুরের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের অর্থনীতি বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ভ্যাট এবং ট্যাক্স হার বাড়নোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এ অবস্থাকে আরো চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যয় ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুদ হার সহনীয় পর্যায়ে রাখার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও হ্রাস পেতে পারে। সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীমের সুবিধা পেতে প্রায় ৩১টি ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে তাঁরা অনেক সময় ঋণ সুবিধা প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হয়, বিষয়টি সহজীকরনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি জোর দাবী জানান। দেশের অর্থনীতির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরনের সময়সীমা ৩ মাস হতে কমপক্ষে আরো ৩-৬ মাস বাড়ানোর দাবী জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি। এছাড়াও দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস স্থাপনের বিদ্যমান কঠোর নীতিমালা কিছুটা হলেও শিথীল করা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। যার মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়বে, সেই সাথে বেগবান হবে অর্থনীতি। তাছাড়া দেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়বদ্ধতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেন শীঘ্রই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত হবে। তিনি বলেন, আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানিতে কোন ধরনের মার্জিন ছাড়াই এলসি খুলতে ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, এ মুহূর্তে বাজারে ডলারের তেমন কোন সংকট নেই এবং ডলারের মূল্য বেশ স্থিতিশীল, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করবে না, এটা নির্ধারিত হবে ডলারের আমদানি ও চাহিদার ভিত্তিতে। আগামী জুন-জুলাইতে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরো হ্রাস করা সম্ভব হবে। ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরনের সময়সীমা বর্তমানে ৩ মাস হতে বাড়ানো যায় কিনা, তা বিবেচনা করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্ণর। তাছাড়াও দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস খোলার বিদ্যমান শর্তাবলী আরো শিথীল করার বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ইতিবাচক, রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী এবং রিজার্ভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই এর সুফল শীঘ্রই আমরা ভোগ করতে পারব। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স অনুসরণের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুরের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের অর্থনীতি বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ভ্যাট এবং ট্যাক্স হার বাড়নোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এ অবস্থাকে আরো চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যয় ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুদ হার সহনীয় পর্যায়ে রাখার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও হ্রাস পেতে পারে। সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীমের সুবিধা পেতে প্রায় ৩১টি ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে তাঁরা অনেক সময় ঋণ সুবিধা প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হয়, বিষয়টি সহজীকরনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি জোর দাবী জানান। দেশের অর্থনীতির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরনের সময়সীমা ৩ মাস হতে কমপক্ষে আরো ৩-৬ মাস বাড়ানোর দাবী জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি। এছাড়াও দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস স্থাপনের বিদ্যমান কঠোর নীতিমালা কিছুটা হলেও শিথীল করা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। যার মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়বে, সেই সাথে বেগবান হবে অর্থনীতি। তাছাড়া দেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়বদ্ধতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেন শীঘ্রই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত হবে। তিনি বলেন, আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানিতে কোন ধরনের মার্জিন ছাড়াই এলসি খুলতে ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, এ মুহূর্তে বাজারে ডলারের তেমন কোন সংকট নেই এবং ডলারের মূল্য বেশ স্থিতিশীল, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করবে না, এটা নির্ধারিত হবে ডলারের আমদানি ও চাহিদার ভিত্তিতে। আগামী জুন-জুলাইতে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরো হ্রাস করা সম্ভব হবে। ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরনের সময়সীমা বর্তমানে ৩ মাস হতে বাড়ানো যায় কিনা, তা বিবেচনা করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্ণর। তাছাড়াও দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস খোলার বিদ্যমান শর্তাবলী আরো শিথীল করার বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ইতিবাচক, রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী এবং রিজার্ভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই এর সুফল শীঘ্রই আমরা ভোগ করতে পারব। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স অনুসরণের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।