নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘সেলিব্রেটিং ইয়াং মাইনডস ইন রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন’ শিরোনামে এ এস ইসলাম স্কুল অফ লাইফ, স্কুল অফ বায়োইনফরমেটিক্স এবং চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ডের সমাপনী পর্ব। গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পনের জন ক্ষুদে বিজ্ঞানী এবং দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক এবং বিজ্ঞানী অংশ নেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি), গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনলজিস্ট (জেএনওবিবি) এবং মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে তরুণদের গবেষণা নিয়ে এ উদযাপন করা হয়।
এ আয়োজনের শুরুতে ১৫ জন ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাদের গবেষনা নিয়ে তৈরী করা পোস্টার প্রদর্শনী করে। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের সামনে তারা তাদের গবেষণার উদ্দেশ্য থেকে শুরু করে কার্যপ্রণালী এবং কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে। পাশাপাশি উপস্থিত দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেয় তারা। অনুষ্ঠানের মূল পর্বের শুরুতে এই তিন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কি শিখেছে, তাদের গবেষণা নিয়ে ভবিষ্যতে কি করতে চায় এসব কিছু নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা শোনায়। পাশাপাশি এসব গবেষণা নিয়ে তাদের পরিকল্পনাও জানায় তারা। আয়োজনের এক ফাঁকে প্রোগ্রামগুলোর দায়িত্বে থাকা মেন্টর, ভলান্টিয়াররাও তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। অংশ নেয়া সকল শিক্ষার্থীদেরকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
মূল আয়োজনের সমাপনীতে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশে কিভাবে গবেষনা আরো বেশি করা যায় এ নিয়ে মতামত প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী। এ সময় তিনি উপস্থিত সবাইকে নিজের কিছু গবেষণার ইতিহাস এবং গল্প বলেন।
দেশের চলমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেদের গবেষণাকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন জাপানের আইওয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমান।
এ সময় বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াডের সাধারন সম্পাদক সৌমিত্র চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের গবেষণা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন। এ আয়োজনে ঢাবির রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুতে ম্যাসল্যাব এবং এসপিএসবির উদ্যোগে শুরু হয় চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিলো শিশু কিশোরদের ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞান গবেষনায় আগ্রহী করা এবং এ বিষয়ক সহায়তা দেয়া। আগ্রহী দুইশতাধিক শিক্ষার্থীর গবেষনাপত্র থেকে পাঁচজনকে বিজয়ী করা হয় এবং তাদের গবেষণায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়। তারা সকলে সফলভাবে তাদের গবেষণার কাজ শেষ করে।
এ ফান্ডের পাশাপাশি শুরু হয় এ এস ইসলাম স্কুল অফ লাইফ। শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানে আরো আগ্রহী করতে এবং জীব বিজ্ঞানের নানা জানা-অজানা বিষয় নিয়ে তাদের শেখাতে শুরু হয় এই কার্যক্রমটি। জুনিয়র এবং সিনিয়র দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে করানো হয় অনলাইন ক্লাস কর্মশালা। মোট ১৬০ জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয় এবং সেখান থেকে বাছাইকৃত সেরা ২৫ জনকে নিয়ে আয়োজিত হয় চারদিনের অফলাইন কর্মশালা। এ সময় তারা তত্ত্বীয় ক্লাসের পাশাপাশি ব্যাবহারিক প্রশিক্ষনে অংশ নেয়।
চতুর্থ দিনে শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রো বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব পরিদর্শন করানো হয়। এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা ছয়জনকে পরে দেশের বিখ্যাত গবেষণাগারগুলোতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়া হয়। এর পাশাপাশি তারা তাদের গবেষণাপত্রও জমা দেয়। এছাড়া কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বায়োইনফরমেটিক্স এবং জেনোমিক্সের বিস্ময়কর দুনিয়া সম্পর্কে আগ্রহী করতে আয়োজিত হয় স্কুল অব বায়োইনফরমেটিক্স।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি), গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনলজিস্ট (জেএনওবিবি) এবং মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে তরুণদের গবেষণা নিয়ে এই তিনটি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘সেলিব্রেটিং ইয়াং মাইনডস ইন রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন’ শিরোনামে এ এস ইসলাম স্কুল অফ লাইফ, স্কুল অফ বায়োইনফরমেটিক্স এবং চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ডের সমাপনী পর্ব। গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পনের জন ক্ষুদে বিজ্ঞানী এবং দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক এবং বিজ্ঞানী অংশ নেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি), গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনলজিস্ট (জেএনওবিবি) এবং মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে তরুণদের গবেষণা নিয়ে এ উদযাপন করা হয়।
এ আয়োজনের শুরুতে ১৫ জন ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাদের গবেষনা নিয়ে তৈরী করা পোস্টার প্রদর্শনী করে। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের সামনে তারা তাদের গবেষণার উদ্দেশ্য থেকে শুরু করে কার্যপ্রণালী এবং কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে। পাশাপাশি উপস্থিত দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেয় তারা। অনুষ্ঠানের মূল পর্বের শুরুতে এই তিন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কি শিখেছে, তাদের গবেষণা নিয়ে ভবিষ্যতে কি করতে চায় এসব কিছু নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা শোনায়। পাশাপাশি এসব গবেষণা নিয়ে তাদের পরিকল্পনাও জানায় তারা। আয়োজনের এক ফাঁকে প্রোগ্রামগুলোর দায়িত্বে থাকা মেন্টর, ভলান্টিয়াররাও তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। অংশ নেয়া সকল শিক্ষার্থীদেরকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
মূল আয়োজনের সমাপনীতে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশে কিভাবে গবেষনা আরো বেশি করা যায় এ নিয়ে মতামত প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী। এ সময় তিনি উপস্থিত সবাইকে নিজের কিছু গবেষণার ইতিহাস এবং গল্প বলেন।
দেশের চলমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেদের গবেষণাকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন জাপানের আইওয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমান।
এ সময় বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াডের সাধারন সম্পাদক সৌমিত্র চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের গবেষণা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন। এ আয়োজনে ঢাবির রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুতে ম্যাসল্যাব এবং এসপিএসবির উদ্যোগে শুরু হয় চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিলো শিশু কিশোরদের ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞান গবেষনায় আগ্রহী করা এবং এ বিষয়ক সহায়তা দেয়া। আগ্রহী দুইশতাধিক শিক্ষার্থীর গবেষনাপত্র থেকে পাঁচজনকে বিজয়ী করা হয় এবং তাদের গবেষণায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়। তারা সকলে সফলভাবে তাদের গবেষণার কাজ শেষ করে।
এ ফান্ডের পাশাপাশি শুরু হয় এ এস ইসলাম স্কুল অফ লাইফ। শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানে আরো আগ্রহী করতে এবং জীব বিজ্ঞানের নানা জানা-অজানা বিষয় নিয়ে তাদের শেখাতে শুরু হয় এই কার্যক্রমটি। জুনিয়র এবং সিনিয়র দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে করানো হয় অনলাইন ক্লাস কর্মশালা। মোট ১৬০ জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয় এবং সেখান থেকে বাছাইকৃত সেরা ২৫ জনকে নিয়ে আয়োজিত হয় চারদিনের অফলাইন কর্মশালা। এ সময় তারা তত্ত্বীয় ক্লাসের পাশাপাশি ব্যাবহারিক প্রশিক্ষনে অংশ নেয়।
চতুর্থ দিনে শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রো বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব পরিদর্শন করানো হয়। এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা ছয়জনকে পরে দেশের বিখ্যাত গবেষণাগারগুলোতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়া হয়। এর পাশাপাশি তারা তাদের গবেষণাপত্রও জমা দেয়। এছাড়া কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বায়োইনফরমেটিক্স এবং জেনোমিক্সের বিস্ময়কর দুনিয়া সম্পর্কে আগ্রহী করতে আয়োজিত হয় স্কুল অব বায়োইনফরমেটিক্স।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি), গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনলজিস্ট (জেএনওবিবি) এবং মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে তরুণদের গবেষণা নিয়ে এই তিনটি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।