সুফল মিলতে পারে মে মাসের মধ্যে
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ইতিবাচক প্রভাব আগামী মে মাস নাগাদ দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, রোজার সময় একটি বড় পরিকল্পনা নেওয়া হবে, যার ফলাফল এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার সম্প্রতি আমদানির ফলসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়েছে, যার ফলে আমদানিকারকরা ফল খালাস বন্ধ রেখেছেন। এক সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতিকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করছেন। তবে বাজেট তৈরির সময় ভ্যাটের বিষয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর অব্যাহতি (এক্সামশন) থেকে বেরিয়ে আসা। অনেক খাতে দীর্ঘদিন ধরে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা বন্ধ করতে হবে। তবে কিছু পণ্য এতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেগুলোর প্রভাব লাঘবের চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির তুলনা অনেকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে করেন, তবে এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার ভাষ্য, যদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষে শ্রীলঙ্কার মতো হতো, তাহলে শ্রীলঙ্কাকে খুঁজেই পাওয়া যেত না।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে কার্যকরভাবে কাজ করছে মাত্র ১২টি, বাকিগুলো ধুঁকছে। তবুও, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার তুলনায় ভালো, কারণ শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলেও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অনেক দুর্বলতা ছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে অনিয়মের কারণে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, তবে সরকার এখন নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে (সিএমএসএমই) ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন, যাকে তারা এনআরবিসি ব্যাংকের অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে, তবে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতার জন্য নতুন চেয়ারম্যানকে দায়ী করা ঠিক হবে না। অতীতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            সুফল মিলতে পারে মে মাসের মধ্যে
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ইতিবাচক প্রভাব আগামী মে মাস নাগাদ দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, রোজার সময় একটি বড় পরিকল্পনা নেওয়া হবে, যার ফলাফল এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার সম্প্রতি আমদানির ফলসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়েছে, যার ফলে আমদানিকারকরা ফল খালাস বন্ধ রেখেছেন। এক সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতিকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করছেন। তবে বাজেট তৈরির সময় ভ্যাটের বিষয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর অব্যাহতি (এক্সামশন) থেকে বেরিয়ে আসা। অনেক খাতে দীর্ঘদিন ধরে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা বন্ধ করতে হবে। তবে কিছু পণ্য এতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেগুলোর প্রভাব লাঘবের চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির তুলনা অনেকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে করেন, তবে এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার ভাষ্য, যদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষে শ্রীলঙ্কার মতো হতো, তাহলে শ্রীলঙ্কাকে খুঁজেই পাওয়া যেত না।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে কার্যকরভাবে কাজ করছে মাত্র ১২টি, বাকিগুলো ধুঁকছে। তবুও, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার তুলনায় ভালো, কারণ শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলেও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অনেক দুর্বলতা ছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে অনিয়মের কারণে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, তবে সরকার এখন নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে (সিএমএসএমই) ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন, যাকে তারা এনআরবিসি ব্যাংকের অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে, তবে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতার জন্য নতুন চেয়ারম্যানকে দায়ী করা ঠিক হবে না। অতীতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।