alt

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থসম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে আপাতত নতুন করে কোনো লকার বরাদ্দ না দেওয়া এবং আগের লকারগুলো আপাতত না খোলার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। সংস্থাটির সন্দেহ, এসব লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ছাড়া অন্য কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার ফ্রিজ করতে পারে না। দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, যেন আপাতত নতুন করে কোনো লকার বরাদ্দ না দেওয়া হয়। পাশাপাশি আগের লকারগুলো যেন আপাতত খোলা না হয় সে বিষয়েও অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেফ ডিপোজিট (লকার) হিসেবে তাদের সম্পদ এ লকারে রাখতে পারেন। কর্মকর্তাদের যেসব সম্পদ বাসায় রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বা ডাকাতির ভয় আছে মূলত সেসব সম্পদই সেফ ডিপোজিট হিসেবে সিলগালা করে রাখা হয়।

এর আগে দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের সই করা এক চিঠিতে লকার ফ্রিজের অনুরোধ জানানো হয়। ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা এসব লকারের সম্পদ ফ্রিজের সম্মতি দেন।

ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়,২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।

এত আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক’ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থ-সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, ‘বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তারাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এ অবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেফ ডিপোজিট খোলার আবেদন আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’

শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ওই সব লকার খোলা, অর্থ-সম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।

ছবি

এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বাড়লো ৪০ টাকা, সবজি কিছুটা নিম্নমুখী

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীর ক্ষতিপূরণ বিবেচনা করতে পারে সরকার

ছবি

সমন্বিত ঋণ ব্যবস্থাপনা অফিস প্রতিষ্ঠার সুপারিশ আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের

ছবি

নভেম্বরের প্রথম পাঁচ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৮ কোটি ডলার

ছবি

কানাডায় তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়াতে এক সঙ্গে কাজ করবে বিবিসিসি ও বিজিএমইএ

ছবি

নগদ লভ্যাংশ পেল বীমা খাতের বিনিয়োগকারীরা

ছবি

বিএসইসির নতুন মার্জিন রুলসের গেজেট প্রকাশ

ছবি

মিরসরাইয়ে চার প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি ডলারের বিনিয়োগ

এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছাড়া মিলবে না মার্জিন ঋণ

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত, যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা

ছবি

অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

ই-কমার্স রপ্তানির সীমা দ্বিগুণ, ওয়ালেটে অর্থ আনার সুবিধা

ছবি

পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির প্রস্তাব

ছবি

তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসক পাঁচ ব্যাংক একীভূত করবে, আমানতকারীরা নিরাপদ

ছবি

মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে, ৩৯ মাসে সর্বনিম্ন

ছবি

ডিএসইএক্স সূচক ৪ মাস পর পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে

ছবি

আর্থিক সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড বাতিল

ছবি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন না হলে খাদ্য সংকট বাড়বে: কর্মশালায় বক্তারা

ছবি

জার্মান রাষ্ট্রদূত ও বিজিএমইএ সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

বন্ড ছেড়ে ২৫০০ কোটি টাকা তুলবে সরকার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারে সয়াবিন কিনবে তিন প্রতিষ্ঠান

ছবি

জাপানি উপকরণ ও প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ শুরু

ছবি

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে জটিলতার সমাধান চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা তিন মাস কমলো দেশের পণ্য রপ্তানি

ছবি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয় ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার টেকসই হবে না, আলোচনায় বক্তারা

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

tab

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থসম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে আপাতত নতুন করে কোনো লকার বরাদ্দ না দেওয়া এবং আগের লকারগুলো আপাতত না খোলার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। সংস্থাটির সন্দেহ, এসব লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ছাড়া অন্য কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার ফ্রিজ করতে পারে না। দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, যেন আপাতত নতুন করে কোনো লকার বরাদ্দ না দেওয়া হয়। পাশাপাশি আগের লকারগুলো যেন আপাতত খোলা না হয় সে বিষয়েও অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেফ ডিপোজিট (লকার) হিসেবে তাদের সম্পদ এ লকারে রাখতে পারেন। কর্মকর্তাদের যেসব সম্পদ বাসায় রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বা ডাকাতির ভয় আছে মূলত সেসব সম্পদই সেফ ডিপোজিট হিসেবে সিলগালা করে রাখা হয়।

এর আগে দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের সই করা এক চিঠিতে লকার ফ্রিজের অনুরোধ জানানো হয়। ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা এসব লকারের সম্পদ ফ্রিজের সম্মতি দেন।

ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়,২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।

এত আরও বলা হয়, তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক’ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গভর্নরকে দেওয়া দুদকের চিঠি ও অর্থ উপদেষ্টার সম্মতি থাকায় ভল্টের সব লকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে এর মালিকরা তাদের লকার থেকে কোনো ধরনের অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে পারবেন না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সব লকার খোলা ও লকারে থাকা অর্থ-সম্পদের তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে দুদক।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, ‘বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তারাও সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন দাখিলের সদয় অনুমতি দিয়েছেন। এ অবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে সেফ ডিপোজিট খোলার আবেদন আদালতে দাখিল করার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’

শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ওই সব লকার খোলা, অর্থ-সম্পদ গণনা ও তালিকা তৈরির জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জমা দেবে দুদক।

back to top