alt

রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসের শুরুতে ২১ বিলিয়নের ঘরে উঠলেও মাসটির মাঝামাঝি সময়ে আকুর বিল পরিশোধের পর তা কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে যায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে তা ২০ বিলিয়নের কাছাকাছি অবস্থান করে। অবশেষে আবারও বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে চলে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বুধবার পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ২০ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারে উঠেছে। একই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাব মতে, দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২ হাজার ৫৫৪ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে ২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৭ কোটি (১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন) ডলার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা হিসাব মতে, মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩১ কোটি (২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসাবে ৬ দিনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না। সে হিসাবটি শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ১৫ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণের প্রথমটি হলো- বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ আরও কয়েকটি তহবিল রয়েছে। দ্বিতীয় হিসাবটির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি। এ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে গঠিত তহবিল ধরা হয়। এর বাইরে যে হিসাবটি রয়েছে সেটি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। ওই সময় বৈদেশিক ঋণ ও ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনা হয়েছিল। তবে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের সময়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে, বিপরীতে বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বেড়েছে।

তাছাড়া দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে প্রবাসী আয়। এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। গত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

বিদায়ী ২০২৪ সালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বছরজুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ২৬ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন, এর আগে কোনো বছর এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের বড় ঘাটতি নিয়ে শেষ হয়েছিল বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছর। তবে সুখবর বয়ে এনেছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অথচ এক মাস আগেও চলতি হিসাবে ১৯ কেটি ১০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিল। আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল প্রায় ৩৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে চলতি হিসাবে ঘাটতি ১১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ২৩২ কোটি ৪ লাখ ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৮ লাখ ডলারের পণ্য। এর ফলে ৯৭৬ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এক মাস আগে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭৯৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ১৮২ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল এক হাজার ৮৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে।

এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছাড়া মিলবে না মার্জিন ঋণ

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত, যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা

ছবি

অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

ই-কমার্স রপ্তানির সীমা দ্বিগুণ, ওয়ালেটে অর্থ আনার সুবিধা

ছবি

পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির প্রস্তাব

ছবি

তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসক পাঁচ ব্যাংক একীভূত করবে, আমানতকারীরা নিরাপদ

ছবি

মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে, ৩৯ মাসে সর্বনিম্ন

ছবি

ডিএসইএক্স সূচক ৪ মাস পর পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে

ছবি

আর্থিক সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড বাতিল

ছবি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন না হলে খাদ্য সংকট বাড়বে: কর্মশালায় বক্তারা

ছবি

জার্মান রাষ্ট্রদূত ও বিজিএমইএ সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

বন্ড ছেড়ে ২৫০০ কোটি টাকা তুলবে সরকার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারে সয়াবিন কিনবে তিন প্রতিষ্ঠান

ছবি

জাপানি উপকরণ ও প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ শুরু

ছবি

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে জটিলতার সমাধান চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা তিন মাস কমলো দেশের পণ্য রপ্তানি

ছবি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয় ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার টেকসই হবে না, আলোচনায় বক্তারা

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

ছবি

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

বাজারে রেসি ব্র্যান্ডের হাই ক্যাপাসিটি পাওয়ার ব্যাংক

ছবি

মৌসুমের দ্বিতীয় দিনেও সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের উপস্থিতি নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ছবি

চালু হলো এমএফএস ও ব্যাংক আন্তলেনদেন

ছবি

ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন, লেনদেন ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ-শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ ৩ মাস স্থগিত

ছবি

‘বিডাকে দ্রুত পরিবর্তিত বিনিয়োগ পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে’

tab

রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসের শুরুতে ২১ বিলিয়নের ঘরে উঠলেও মাসটির মাঝামাঝি সময়ে আকুর বিল পরিশোধের পর তা কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে যায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে তা ২০ বিলিয়নের কাছাকাছি অবস্থান করে। অবশেষে আবারও বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে চলে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বুধবার পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ২০ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারে উঠেছে। একই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাব মতে, দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২ হাজার ৫৫৪ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে ২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৭ কোটি (১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন) ডলার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা হিসাব মতে, মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩১ কোটি (২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসাবে ৬ দিনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না। সে হিসাবটি শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ১৫ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণের প্রথমটি হলো- বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ আরও কয়েকটি তহবিল রয়েছে। দ্বিতীয় হিসাবটির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি। এ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে গঠিত তহবিল ধরা হয়। এর বাইরে যে হিসাবটি রয়েছে সেটি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। ওই সময় বৈদেশিক ঋণ ও ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনা হয়েছিল। তবে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের সময়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে, বিপরীতে বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বেড়েছে।

তাছাড়া দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে প্রবাসী আয়। এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। গত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

বিদায়ী ২০২৪ সালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বছরজুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ২৬ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন, এর আগে কোনো বছর এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের বড় ঘাটতি নিয়ে শেষ হয়েছিল বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছর। তবে সুখবর বয়ে এনেছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অথচ এক মাস আগেও চলতি হিসাবে ১৯ কেটি ১০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিল। আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল প্রায় ৩৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে চলতি হিসাবে ঘাটতি ১১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ২৩২ কোটি ৪ লাখ ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৮ লাখ ডলারের পণ্য। এর ফলে ৯৭৬ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এক মাস আগে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭৯৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ১৮২ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল এক হাজার ৮৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে।

back to top