শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এতে পতন থেকে বেরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বাড়তে শুরু করেছে।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেন বেড়ে সাড়ে চার’শ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে গেছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে বাজারটিতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো উভয় শেয়ারবাজার।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ‘এ’ গ্রুপের ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০১টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৭৮টির এবং ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ৫১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ২২টি এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে পাঁচটির কমেছে এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৯টির এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো ও মাঝারি মানের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার দিনে ডিএসইতে লেনদেন শেষে সব খাত মিলিয়ে ১৯১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪০টির। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাচারি, লিন্ডে বাংলাদেশ, ফু-ওয়াং ফুড, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, রবি এবং হাক্কানী পাল্প।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এতে পতন থেকে বেরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বাড়তে শুরু করেছে।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেন বেড়ে সাড়ে চার’শ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে গেছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে বাজারটিতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো উভয় শেয়ারবাজার।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ‘এ’ গ্রুপের ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০১টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৭৮টির এবং ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ৫১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ২২টি এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে পাঁচটির কমেছে এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৯টির এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো ও মাঝারি মানের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার দিনে ডিএসইতে লেনদেন শেষে সব খাত মিলিয়ে ১৯১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪০টির। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাচারি, লিন্ডে বাংলাদেশ, ফু-ওয়াং ফুড, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, রবি এবং হাক্কানী পাল্প।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।