alt

বাজেটের আকার কমলেও এনবিআরের টার্গেট বাড়ছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হতে যাচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাজেট ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা।

গত মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র।

অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাজেটের এই কৃচ্ছ্রসাধনের মূল কারণ রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির অভাব, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানে ভাটা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে অপ্রয়োজনীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলো বাদ দেওয়া।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ কমিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে, যেখানে চলতি অর্থবছরের এডিপি ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে মেগা প্রকল্প হাতে না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাজেটের আকার ছোট হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া হচ্ছে বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা। আগামী অর্থবছরে এনবিআরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বছরের মূল লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার চেয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। যদিও এনবিআরের পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকার মধ্যে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

অর্থবিভাগ সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঘাটতির কারণে সংশোধিত বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ধরা হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ বলছে, অভ্যন্তরীণ ঋণ, বিশেষ করে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের ওপর চাপ কমাতে ঘাটতির এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বিদেশি উৎস থেকে এবং বাকিটা দেশীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই দুই সূচকের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৬ শতাংশ। তবে সংশোধিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

ছবি

ব্যাংক মার্জার: এক কাঠামোতে এনে কমছে ৫ ব্যাংকের বেতন

ছবি

ব্যাংক খাতে যে এত ‘রোগ’ আগে জানা-ই যায়নি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ছবি

আরও ৯ ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিলো ডিএসই

ছবি

বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নিয়ে আসুন, সুবিধা দিতে সরকার বাধ্য: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সরকার ব্যবসায়ীদের চিৎকার শুনছে না: আনোয়ার উল আলম চৌধুরী

ডিএসই ও সিএসইর নতুন ব্যবস্থা, এখন অনলাইনেই সব নথি জমা দেয়া যাবে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ভুটানের ট্রানজিটের চতুর্থ চালান খালাস

ছবি

ডিসেম্বরে ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভিস ও আধুনিক ল্যান্ডিং পেজ চালু করবে ডিএসই

ছবি

ঢাকায় প্রথমবারের মতো হচ্ছে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক আর বিএসইসির শীর্ষ ব্যক্তিরাও ব্যাংকের এমডি হতে পারবেন

ছবি

আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই ডিজিটাল সেবার বাইরে

ছবি

খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা

ছবি

অপরিহার্য না হলে নির্বাচন পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা

ছবি

সূচকের পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

ন্যূনতম মজুরি চান ট্যানারিশ্রমিকেরা

ছবি

খসড়া আইপিও রুলস নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

ছবি

বেক্সিমকোর কারখানা- সদর দপ্তর নিলামে তুললো জনতা ব্যাংক

ছবি

দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ: বিশ্বব্যাংক

ছবি

অর্থনৈতিক শুমারিতে বাদ পড়েছিল ৩ লাখ ৬৫ হাজার ইউনিট

ছবি

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে

ছবি

২২৭ কোম্পানির দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাচ্ছে আরও ৮ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান

ছবি

নভেম্বরের মধ্যে খেলাপি হওয়া ঋণের জন্যও নীতি সহায়তা

ছবি

এনবিআরের ১৭ জনের সম্পদ জব্দ, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুদক

ছবি

অ্যামাজন ও আলিবাবায় সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক: ২০২৭ সালের মধ্যে আন্তঃলেনদেনের আওতায় আসবে সব প্রতিষ্ঠান

ছবি

ডিসি-ইউএনও পাঠিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন, প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

পুঁজিবাজারে বড় উত্থান, লেনদেনও বেড়েছে

ছবি

ব্যাংক বন্ধ হলে তাৎক্ষণিক ২ লাখ টাকা পাবেন আমানতকারী

ছবি

কুড়িগ্রাম-গেলেফু করিডোরে আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা

ছবি

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে অর্থনীতি: এমসিসিআই

ছবি

বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ প্রায় ১৩৩ মিলিয়ন ডলার : ডিসিসিআই

রিটার্ন জমার সময় বাড়লো আরও একমাস

ছবি

ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়াল এনবিআর

ছবি

মাস্টারকার্ডের সম্মাননা পেল ১৮ প্রতিষ্ঠান

ছবি

সারা দেশে উদ্যোক্তাদের ৮৭১ শিল্পপ্লট দিচ্ছে বিসিক

tab

বাজেটের আকার কমলেও এনবিআরের টার্গেট বাড়ছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হতে যাচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাজেট ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা।

গত মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র।

অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাজেটের এই কৃচ্ছ্রসাধনের মূল কারণ রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির অভাব, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানে ভাটা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে অপ্রয়োজনীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলো বাদ দেওয়া।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ কমিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে, যেখানে চলতি অর্থবছরের এডিপি ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে মেগা প্রকল্প হাতে না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাজেটের আকার ছোট হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া হচ্ছে বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা। আগামী অর্থবছরে এনবিআরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বছরের মূল লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার চেয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। যদিও এনবিআরের পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকার মধ্যে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

অর্থবিভাগ সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঘাটতির কারণে সংশোধিত বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ধরা হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ বলছে, অভ্যন্তরীণ ঋণ, বিশেষ করে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের ওপর চাপ কমাতে ঘাটতির এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বিদেশি উৎস থেকে এবং বাকিটা দেশীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই দুই সূচকের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৬ শতাংশ। তবে সংশোধিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

back to top