প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ছয় লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান)। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্র, এফডিআর ও ডিপিএসের ওপর থেকে ভ্যাট, কর ও সার্চ চার্জ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব বোর্ড ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনায় বি-স্ক্যানের পক্ষে মাহফুজ রাকীব এসব দাবি তুলে ধরেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে বি-স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব জানান, এনবিআর প্রতিবছর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিয়োগে ৩ শতাংশ কর রেয়াত, হুইলচেয়ারসহ শ্রবণযন্ত্রের ব্যাটারি, ব্রেইল প্রিন্টার আমদানির ক্ষেত্রে কর রেয়াত এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুবিধা উল্লেখযোগ্য। তবে, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাধীন চলাচলের জন্য সহায়ক উপকরণগুলো সহজলভ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে তা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যা ব্যয়বহুল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ৫০টি অতি জরুরি সহায়ক উপকরণের তালিকা প্রকাশ করেছে, যা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইন সরকার শুল্কছাড় ও আমদানি প্রক্রিয়া সহজীকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বি-স্ক্যান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বার্থে ১১ দফা দাবি এনবিআর এর কাছে তুলে ধরেছে। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো-
* বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রদত্ত ৫০টি সহায়ক উপকরণের ওপর শুল্কছাড় এবং আমদানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ। * ২০২৫-২৬ জাতীয় বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা প্রতিবন্ধিতার মাত্রার ভিত্তিতে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ করা। * প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬ লাখ টাকায় উন্নীত করা। * প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা ভাতা করছাড়ের সুযোগ পুনর্বহাল করা। * প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা করছাড়ের বিধান করা। * প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তাদের নারী উদ্যোক্তাদের মতো ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের সুবিধা প্রদান করা। * কর্মক্ষম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বেকারবীমা চালু করা। * প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, ডিপিএসের উপর ভ্যাট, কর ও সার্চ চার্জ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা। * লিফট ও এর কাঁচামালকে জরুরি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা।
* প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশগম্য গণপরিবহন আমদানি উৎসাহিত করতে কর মওকুফ করা। * প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কর ও শুল্কমুক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি আমদানি সুবিধা দেয়া।
অর্থ-বাণিজ্য: অধিকাংশ শেয়ারে দাম বাড়লেও পতন থামেনি শেয়ারবাজারে
সারাদেশ: শিমের বেগুনি ফুলেই কৃষাণীর স্বপ্ন
সারাদেশ: মহানন্দা নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ