alt

অর্থ-বাণিজ্য

দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশেই বেশি: বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশ : সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে পারলেও বাংলাদেশ এখনো পারছে না। বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতির তালিকায় বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে ‘লাল’ শ্রেণিতে রয়েছে। এখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশেই বেশি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ভারতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ৬ শতাংশের কম। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি এখন ‘মাইনাস’ (নেতিবাচক), অর্থাৎ খাদ্যপণ্যের দাম কমছে। শ্রীলঙ্কায়ও একই চিত্র। নেপাল ও মালদ্বীপে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কম। ভুটানের হিসাব পাওয়া যায়নি। সার্কভুক্ত দেশ আফগানিস্তানেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন মাইনাস।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্যনিরাপত্তার হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরে মূল্যস্ফীতি ধরে হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর এ চিত্র পাওয়া গেছে। সর্বশেষ হিসাব মূলত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের। বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতির তালিকায় বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে ‘লাল’ শ্রেণিতে রয়েছে। এখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশেই বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, মার্চ শেষে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক সর্বশেষ ১০ থেকে ১২ মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে থাকে। এর আগের টানা এক বছর বাংলাদেশ লাল শ্রেণির তালিকায় ছিল। প্রতি ছয় মাস পরপর এই চিত্র প্রকাশ করে থাকে সংস্থাটি। সেই অনুসারে, প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশ লাল তালিকায় অর্থাৎ অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি।

বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ১৪টি দেশ এক বছর ধরে লাল শ্রেণিতে আছে। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারতও আছে। অন্য দেশের মধ্যে রয়েছে কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, মাদাগাস্কার, ঘানা, লাওস, লেসেথো, তিউনিসিয়া, জাম্বিয়া, বেলারুশ ও রাশিয়া।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি কোন দেশে কত বেশি, তা বোঝাতে বিভিন্ন দেশকে চার শ্রেণিতে ভাগ করেছে বিশ্বব্যাংক। যেসব দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশ বা তার বেশি, সেসব দেশকে ‘বেগুনি’ শ্রেণিতে; ৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে যেসব দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি, তাদের ‘লাল’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে মূল্যস্ফীতির দেশগুলোকে ‘হলুদ’ ও ২ শতাংশের কম মূল্যস্ফীতির দেশগুলোকে ‘সবুজ’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৭২টি দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে সংস্থাটির প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ১৪টি দেশ এক বছর ধরে লাল শ্রেণিতে আছে। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারতও আছে। অন্য দেশের মধ্যে রয়েছে কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, মাদাগাস্কার, ঘানা, লাওস, লেসেথো, তিউনিসিয়া, জাম্বিয়া, বেলারুশ ও রাশিয়া।

২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। অনেক দেশ নিজেদের অর্থনীতি নিয়ে বিপদে পড়তে শুরু করে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি ছিল। বেশি বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। তারা এখন মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে পেরেছে। ভারতও চাপ সামলে নিয়েছে।

২০২২ সালে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশটি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি উঠেছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সেই অবস্থা থেকে এখন উত্তরণ হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কার খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে মাইনাস দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, শ্রীলঙ্কা এখন সবুজ তালিকায়। এক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। মূল্যস্ফীতি কমাতে জ্বালানি তেলসহ সরকারি পরিষেবার বিলের খরচ কমিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

একইভাবে বছর দুয়েক আগে পাকিস্তানও অর্থনীতি নিয়ে বিপদে পড়ে। পাকিস্তানেও মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশে পৌঁছায়। মূলত খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানও আইএমএফের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ নেয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের খাদ্য মূল্যস্ফীতি মাইনাস ৪ দশমিক ১ শতাংশ। সর্বশেষ ১০ মাসের মধ্যে পাঁচ মাসই খাদ্য মূল্যস্ফীতি মাইনাস ছিল। বিশ্বব্যাংকের সবুজ তালিকায় আছে পাকিস্তান।

২০২২ সালে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশটি।

কয়েক বছর ধরে অর্থনীতি নিয়ে ভারতও চাপে পড়ে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি না থাকলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ে চাপে ছিল দেশটি। কিন্তু দেশটির মূল্যস্ফীতি কয়েক মাস ধরে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, গত জানুয়ারি মাসে ভারতের খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। যদিও ভারত এখনো বিশ্বব্যাংকের ‘লাল’ তালিকায় আছে। তবে বাংলাদেশের মতো খাদ্য মূল্যস্ফীতি এত বাড়েনি ভারতে।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

ছবি

চলতি এপ্রিলের ২৬ দিনে রেমিটেন্স এসেছে ২২৭ কোটি ডলার

ছবি

স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের

টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশ, নিয়মিত আয় না থাকলে মিলবে না মার্জিন ঋণ

ভিয়েতনাম থেকে এলো আরও ২০ হাজার টন চাল

দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি চায় এডিবি

ছবি

রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১০ মাস না পেরুতেই ছাড়ালো ২৪ বিলিয়ন

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট, প্রতিদিন থাকছে প্রায় ৪০ হাজার

ছবি

চামড়া খাতে আয় কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার

কাগজ আমদানিতে ৫ শতাংশ কর কমানোর দাবি

শেয়ারবাজারে সামান্য উত্থান হলেও সূচক পাঁচ হাজারের নিচে

ছবি

ইউরোপে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সুবাতাস

ছবি

খাদ্য মূল্যস্ফীতি চরমে, বিশ্বব্যাংকের ‘লাল’ তালিকায় বাংলাদেশ

ছবি

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ১,০১৪ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

ছবি

ইউগ্রিন, কিউডি ও মাইক্রোল্যাব ব্র্যান্ডের পণ্যে ডিসকাউন্ট

ছবি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্যামসাং পণ্যে বিশেষ অফার

ওয়ালটনের নতুন স্মার্টওয়াচ ‘টিক এএমএক্স১৩’

সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে বিক্রি বেশি

ছবি

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে এলপিজি আমদানির সিদ্ধান্ত

ছবি

হাইব্রিড গাড়ির সম্পুরক শুল্ক কমানোর দাবি বারভিডার

সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির উন্নতি চায় ব্যবসায়ীরা

ছবি

সপ্তাহজুড়ে ঢালাও দরপতনে বাজার মূলধন হারালো ৭ হাজার কোটি টাকা

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে প্রাইম ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৯ শতাংশ

নতুন নিরীক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্বেগ টিআইবির

ছবি

ঋণাত্মক ঋণ হিসাবের নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের সময় বাড়ল

ছবি

প্রয়োজনীয় সংস্কারেই দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

আইএমএফ এর ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী হলেও শর্তের বেড়াজাল রয়েছে

ট্রাম্পের কারণে বৈশ্বিক আর্থিক খাতের ঝুঁকি বেড়ে গেছে: আইএমএফ

ছবি

সিটি ব্যাংকে পদোন্নতি পেয়ে ডিএমডি হলেন দুই কর্মকর্তা

বিজিএমইএ নির্বাচনে ফোরাম চট্টগ্রাম-এর প্যানেল ঘোষণা

ছবি

ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো চালুসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

পরপর ৯দিন শেয়ারবাজারে পতন, সূচক নামলো ৫ হাজারের নিচে

ছবি

২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের সরবরাহ ১.৫% বৃদ্ধি : শীর্ষে স্যামসাং

ছবি

চরম দারিদ্র্য বাড়ার শঙ্কা, প্রবৃদ্ধিতেও ধস: বিশ্বব্যাংকের সতর্ক বার্তা

ছবি

দুবাইয়ে সম্পত্তি কেনায় নাফিজ সরাফতসহ ৭৮ জনের তথ্য চেয়েছে দুদক

ছবি

একদিনের ব্যবধানে কমলো স্বর্ণের দাম

tab

অর্থ-বাণিজ্য

দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশেই বেশি: বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশ

সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে পারলেও বাংলাদেশ এখনো পারছে না। বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতির তালিকায় বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে ‘লাল’ শ্রেণিতে রয়েছে। এখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশেই বেশি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ভারতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ৬ শতাংশের কম। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি এখন ‘মাইনাস’ (নেতিবাচক), অর্থাৎ খাদ্যপণ্যের দাম কমছে। শ্রীলঙ্কায়ও একই চিত্র। নেপাল ও মালদ্বীপে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কম। ভুটানের হিসাব পাওয়া যায়নি। সার্কভুক্ত দেশ আফগানিস্তানেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন মাইনাস।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্যনিরাপত্তার হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরে মূল্যস্ফীতি ধরে হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর এ চিত্র পাওয়া গেছে। সর্বশেষ হিসাব মূলত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের। বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতির তালিকায় বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে ‘লাল’ শ্রেণিতে রয়েছে। এখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশেই বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, মার্চ শেষে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক সর্বশেষ ১০ থেকে ১২ মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যনিরাপত্তা-বিষয়ক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে থাকে। এর আগের টানা এক বছর বাংলাদেশ লাল শ্রেণির তালিকায় ছিল। প্রতি ছয় মাস পরপর এই চিত্র প্রকাশ করে থাকে সংস্থাটি। সেই অনুসারে, প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশ লাল তালিকায় অর্থাৎ অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি।

বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ১৪টি দেশ এক বছর ধরে লাল শ্রেণিতে আছে। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারতও আছে। অন্য দেশের মধ্যে রয়েছে কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, মাদাগাস্কার, ঘানা, লাওস, লেসেথো, তিউনিসিয়া, জাম্বিয়া, বেলারুশ ও রাশিয়া।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি কোন দেশে কত বেশি, তা বোঝাতে বিভিন্ন দেশকে চার শ্রেণিতে ভাগ করেছে বিশ্বব্যাংক। যেসব দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশ বা তার বেশি, সেসব দেশকে ‘বেগুনি’ শ্রেণিতে; ৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে যেসব দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি, তাদের ‘লাল’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে মূল্যস্ফীতির দেশগুলোকে ‘হলুদ’ ও ২ শতাংশের কম মূল্যস্ফীতির দেশগুলোকে ‘সবুজ’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৭২টি দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে সংস্থাটির প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ১৪টি দেশ এক বছর ধরে লাল শ্রেণিতে আছে। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারতও আছে। অন্য দেশের মধ্যে রয়েছে কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, মাদাগাস্কার, ঘানা, লাওস, লেসেথো, তিউনিসিয়া, জাম্বিয়া, বেলারুশ ও রাশিয়া।

২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। অনেক দেশ নিজেদের অর্থনীতি নিয়ে বিপদে পড়তে শুরু করে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি ছিল। বেশি বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। তারা এখন মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে পেরেছে। ভারতও চাপ সামলে নিয়েছে।

২০২২ সালে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশটি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি উঠেছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সেই অবস্থা থেকে এখন উত্তরণ হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কার খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে মাইনাস দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, শ্রীলঙ্কা এখন সবুজ তালিকায়। এক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। মূল্যস্ফীতি কমাতে জ্বালানি তেলসহ সরকারি পরিষেবার বিলের খরচ কমিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

একইভাবে বছর দুয়েক আগে পাকিস্তানও অর্থনীতি নিয়ে বিপদে পড়ে। পাকিস্তানেও মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশে পৌঁছায়। মূলত খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানও আইএমএফের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ নেয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের খাদ্য মূল্যস্ফীতি মাইনাস ৪ দশমিক ১ শতাংশ। সর্বশেষ ১০ মাসের মধ্যে পাঁচ মাসই খাদ্য মূল্যস্ফীতি মাইনাস ছিল। বিশ্বব্যাংকের সবুজ তালিকায় আছে পাকিস্তান।

২০২২ সালে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশটি।

কয়েক বছর ধরে অর্থনীতি নিয়ে ভারতও চাপে পড়ে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি না থাকলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ে চাপে ছিল দেশটি। কিন্তু দেশটির মূল্যস্ফীতি কয়েক মাস ধরে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, গত জানুয়ারি মাসে ভারতের খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। যদিও ভারত এখনো বিশ্বব্যাংকের ‘লাল’ তালিকায় আছে। তবে বাংলাদেশের মতো খাদ্য মূল্যস্ফীতি এত বাড়েনি ভারতে।

back to top