দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। মঙ্গলবার, (২৯ এপ্রিল ২০২৫) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন হওয়ায় রাজধানীর মতিঝিলে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। এসব বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ ও তার দুর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধান করার দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবস অর্থাৎ টানা ৯ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে মূল্যসূচক। অবশ্য সিএসইতে পতনের ধারা অব্যাহত থাকে। গতকাল সোমবার ডিএসই ও সিএসই উভয় বাজারে দরপতন হয়।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য সূচক একটু ঊর্ধ্বমুখী হলেও শেষদিকে আবার দরপতনের পাল্লা ভারী হয়। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১১টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৩টি শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ১৩০টির দাম কমেছে। ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪৮টির দাম কমেছে এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ৯টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সার্বিকভাবে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯১ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বরের পর বাজারটিতে সবচেয়ে কম লেনদেন হলো।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৪ টাকার। ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং শাইনপুকুর সিরামিক।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ২২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। মঙ্গলবার, (২৯ এপ্রিল ২০২৫) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন হওয়ায় রাজধানীর মতিঝিলে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। এসব বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ ও তার দুর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধান করার দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবস অর্থাৎ টানা ৯ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে মূল্যসূচক। অবশ্য সিএসইতে পতনের ধারা অব্যাহত থাকে। গতকাল সোমবার ডিএসই ও সিএসই উভয় বাজারে দরপতন হয়।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য সূচক একটু ঊর্ধ্বমুখী হলেও শেষদিকে আবার দরপতনের পাল্লা ভারী হয়। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১১টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৩টি শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ১৩০টির দাম কমেছে। ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪৮টির দাম কমেছে এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ৯টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সার্বিকভাবে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯১ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বরের পর বাজারটিতে সবচেয়ে কম লেনদেন হলো।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৪ টাকার। ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং শাইনপুকুর সিরামিক।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ২২ লাখ টাকা।