এনবিআর বিলুপ্ত করে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহস্পতিবার(১৫-০৫-২০২৫) কলম বিরতি শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়, চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। সকাল ১০টায় অফিস যথারীতি শুরু হলেও সব ধরনের কার্যক্রম আসলে বন্ধ রয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলেই অফিস উপস্থিত রয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজ, কমলাপুরের আইসিটিতে অ্যাসেসমেন্ট বন্ধ রয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি কার্যক্রম এবং এনবিআরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতা বহির্ভূত রয়েছে। ১৭ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্তও একইভাবে কলমবিরতি কর্মসূচি চলবে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিকে দেশ, জনগণ ও সার্ভিসের স্বার্থরক্ষায় নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, মহাসচিব, ট্রেজারারসহ, যুগ্ম মহাসচিব, নির্বাহী সদস্যসহ ৩০ জনের বেশি নেতা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এসোসিয়েশনের কিছু ঊর্ধ্বতন নেতার এনবিআর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিপক্ষে কাজ করার প্রতিবাদে তারা গণহারে এই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের রাজস্ব ব্যবস্থার যুগোপযোগী ও টেকসই সংস্কারের দাবিতে এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছে। বর্তমান রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার প্রক্রিয়া সমন্বিত না হওয়া এবং কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতামত গ্রহণ না করেই সরকার কর্তৃক জারীকৃত অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে তা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। এ ধরনের সংস্কারের আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত নেওয়া এবং তা আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে এগোনো উচিত।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচিতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে করদাতা এবং সেবাপ্রার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে তারা। গত ১৩ মে আগারগাঁও এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কলম বিরতির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হলে ১৭ মে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও অবস্থান কর্মসূচিতে জানানো হয়।
এক সংবাদ বিবৃতিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের রাজস্ব ব্যবস্থার যুগোপযোগী ও টেকসই সংস্কারের দাবিতে এটি একটি স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ মনে করে, বর্তমান রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার প্রক্রিয়া সমন্বিত না হওয়া এবং কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতামত গ্রহণ না করেই সরকার কর্তৃক জারি করা অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে তা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। এ ধরনের সংস্কারের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া এবং তা আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে এগোনো উচিত।
কর্মসূচিতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করায় তারা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে সম্মানিত করদাতা এবং সেবাপ্রার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা। আগামী ১৫ ও ১৭ মে ২০২৫ (বৃহস্পতিবার ও শনিবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত একইভাবে কলম বিরতি কর্মসূচি চলবে। তবে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি কার্যক্রম এবং জাতীয় বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
গত ১৩ মে আগারগাঁও এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কলম বিরতির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হলে ১৭ মে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও অবস্থান কর্মসূচিতে জানানো হয়।
এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য ১২ মে রাতে রাতে অধ্যাদেশটি জারি করেছে সরকার। খসড়া অধ্যাদেশ জারির পর থেকেই আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু সরকার তাদের মতামত উপেক্ষা করেই প্রায় অপরিবর্তিত খসড়ার ভিত্তিতে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছে। নতুন অধ্যাদেশ জারির ফলে দীর্ঘদিনের রাজস্ব সংস্থা এনবিআর কার্যত বিলুপ্ত হলো। এখন থেকে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’- এই দুই ভাগে পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
এনবিআর বিলুপ্ত করে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহস্পতিবার(১৫-০৫-২০২৫) কলম বিরতি শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়, চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। সকাল ১০টায় অফিস যথারীতি শুরু হলেও সব ধরনের কার্যক্রম আসলে বন্ধ রয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলেই অফিস উপস্থিত রয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজ, কমলাপুরের আইসিটিতে অ্যাসেসমেন্ট বন্ধ রয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি কার্যক্রম এবং এনবিআরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতা বহির্ভূত রয়েছে। ১৭ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্তও একইভাবে কলমবিরতি কর্মসূচি চলবে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিকে দেশ, জনগণ ও সার্ভিসের স্বার্থরক্ষায় নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, মহাসচিব, ট্রেজারারসহ, যুগ্ম মহাসচিব, নির্বাহী সদস্যসহ ৩০ জনের বেশি নেতা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এসোসিয়েশনের কিছু ঊর্ধ্বতন নেতার এনবিআর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিপক্ষে কাজ করার প্রতিবাদে তারা গণহারে এই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের রাজস্ব ব্যবস্থার যুগোপযোগী ও টেকসই সংস্কারের দাবিতে এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছে। বর্তমান রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার প্রক্রিয়া সমন্বিত না হওয়া এবং কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতামত গ্রহণ না করেই সরকার কর্তৃক জারীকৃত অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে তা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। এ ধরনের সংস্কারের আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত নেওয়া এবং তা আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে এগোনো উচিত।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচিতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে করদাতা এবং সেবাপ্রার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে তারা। গত ১৩ মে আগারগাঁও এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কলম বিরতির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হলে ১৭ মে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও অবস্থান কর্মসূচিতে জানানো হয়।
এক সংবাদ বিবৃতিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের রাজস্ব ব্যবস্থার যুগোপযোগী ও টেকসই সংস্কারের দাবিতে এটি একটি স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ মনে করে, বর্তমান রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার প্রক্রিয়া সমন্বিত না হওয়া এবং কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতামত গ্রহণ না করেই সরকার কর্তৃক জারি করা অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে তা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। এ ধরনের সংস্কারের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া এবং তা আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে এগোনো উচিত।
কর্মসূচিতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করায় তারা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে সম্মানিত করদাতা এবং সেবাপ্রার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা। আগামী ১৫ ও ১৭ মে ২০২৫ (বৃহস্পতিবার ও শনিবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত একইভাবে কলম বিরতি কর্মসূচি চলবে। তবে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি কার্যক্রম এবং জাতীয় বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
গত ১৩ মে আগারগাঁও এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কলম বিরতির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হলে ১৭ মে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও অবস্থান কর্মসূচিতে জানানো হয়।
এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য ১২ মে রাতে রাতে অধ্যাদেশটি জারি করেছে সরকার। খসড়া অধ্যাদেশ জারির পর থেকেই আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু সরকার তাদের মতামত উপেক্ষা করেই প্রায় অপরিবর্তিত খসড়ার ভিত্তিতে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছে। নতুন অধ্যাদেশ জারির ফলে দীর্ঘদিনের রাজস্ব সংস্থা এনবিআর কার্যত বিলুপ্ত হলো। এখন থেকে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’- এই দুই ভাগে পরিচালিত হবে।