দুবাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মেয়ে মেহরিন সারা মনসুরের নামে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হলে, বিষয়টি স্বীকার করেছেন গভর্নর নিজেই। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, মেয়ে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে, এর সঙ্গে তার কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আমার মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক, তার বয়স ৪০, সে বিবাহিত। স্বামীর ব্যবসার কারণে দুবাইয়ে থাকে। সে নিজেই এমন একটা ফ্ল্যাট কিনতে পারে। সে একজন মার্কিন নাগরিক। তার আর্থিক বিষয়ে আমি কেন ইনভলভ হব?”
ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে গভর্নর হওয়ার আগেই
গভর্নর জানান, তার মেয়ে মেহরিন ২০২৩ সালে দুবাইয়ে ফ্ল্যাটটি কেনেন। তখন তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গভর্নরের দায়িত্ব নেন আহসান মনসুর।
তিনি বলেন, “আমার মেয়ের পরিবার ওই ফ্ল্যাটেই আগেই থাকত। মালিক ছিলেন একজন ভারতীয়। তিনি বিক্রি করতে চাইলে আমার মেয়ে সেটি কিনে নেয়। লেনদেনের ৮০ শতাংশ ব্যাংক মর্টগেজ, বাকিটা সে নিজেই দিয়েছে।”
‘তিন বছরে মেয়েকে একটা কাপড় দিয়েছি’
সামাজিক মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “তিন বছরে আমি আমার মেয়েকে একটা কাপড় দিয়েছি, আর কিছু দিইনি।”
এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের একটি ফেইসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে দাবি করা হয়, মেহরিনের নামে দুবাইয়ে ১৩.৫ মিলিয়ন দিরহামের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা) একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সেই পোস্ট শেয়ার করলে আলোচনা আরও তীব্র হয়।
গভর্নরের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখানো হয়নি
ওই পোস্টে গভর্নরের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তোলা হলেও, তা প্রমাণে কোনো কাগজপত্র বা সূত্র প্রকাশ করা হয়নি।
অন্যদিকে গভর্নর আহসান মনসুর দাবি করেছেন, “ফ্ল্যাট কেনার কোনো অর্থ আমি দিইনি, সম্পূর্ণরূপে আমার মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয় এটি।”
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
দুবাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মেয়ে মেহরিন সারা মনসুরের নামে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হলে, বিষয়টি স্বীকার করেছেন গভর্নর নিজেই। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, মেয়ে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে, এর সঙ্গে তার কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আমার মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক, তার বয়স ৪০, সে বিবাহিত। স্বামীর ব্যবসার কারণে দুবাইয়ে থাকে। সে নিজেই এমন একটা ফ্ল্যাট কিনতে পারে। সে একজন মার্কিন নাগরিক। তার আর্থিক বিষয়ে আমি কেন ইনভলভ হব?”
ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে গভর্নর হওয়ার আগেই
গভর্নর জানান, তার মেয়ে মেহরিন ২০২৩ সালে দুবাইয়ে ফ্ল্যাটটি কেনেন। তখন তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গভর্নরের দায়িত্ব নেন আহসান মনসুর।
তিনি বলেন, “আমার মেয়ের পরিবার ওই ফ্ল্যাটেই আগেই থাকত। মালিক ছিলেন একজন ভারতীয়। তিনি বিক্রি করতে চাইলে আমার মেয়ে সেটি কিনে নেয়। লেনদেনের ৮০ শতাংশ ব্যাংক মর্টগেজ, বাকিটা সে নিজেই দিয়েছে।”
‘তিন বছরে মেয়েকে একটা কাপড় দিয়েছি’
সামাজিক মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “তিন বছরে আমি আমার মেয়েকে একটা কাপড় দিয়েছি, আর কিছু দিইনি।”
এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের একটি ফেইসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে দাবি করা হয়, মেহরিনের নামে দুবাইয়ে ১৩.৫ মিলিয়ন দিরহামের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা) একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সেই পোস্ট শেয়ার করলে আলোচনা আরও তীব্র হয়।
গভর্নরের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখানো হয়নি
ওই পোস্টে গভর্নরের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তোলা হলেও, তা প্রমাণে কোনো কাগজপত্র বা সূত্র প্রকাশ করা হয়নি।
অন্যদিকে গভর্নর আহসান মনসুর দাবি করেছেন, “ফ্ল্যাট কেনার কোনো অর্থ আমি দিইনি, সম্পূর্ণরূপে আমার মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয় এটি।”