বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতায় যেতে পারে বাংলাদেশ সরকার। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে এই সমঝোতা হতে পারে—এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
অর্থ পুনরুদ্ধারে বিকল্প কৌশল
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান মনসুর বলেন, “যদি আইন লঙ্ঘনের প্রকৃতি তুলনামূলকভাবে হালকা ধরনের হয়...তবে আমরা দেওয়ানি মামলা করব এবং সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আর্থিক সমঝোতার কথা বিবেচনা করা হবে।”
তবে কারা এ প্রক্রিয়ার আওতায় আসবেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ
সরকারি নির্দেশনায় তৈরি ও গত ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, “এটা চুরি হওয়া অর্থ। আইনগতভাবে এবং নৈতিকভাবেও যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত এই অর্থ শনাক্ত করতে আমাদের সহায়তা করা।”
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
আহসান মনসুর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বাধীন দল আন্তর্জাতিক মামলা পরিচালনায় ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে।
এ লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক লিটিগেশন ফান্ডার অমনি ব্রিজওয়ে ইতোমধ্যে ঢাকায় সফর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১৬টিরও বেশি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছে।
‘লিটিগেশন ফান্ডিংয়ে’ ইতিবাচক সাড়া
গভর্নর বলেন, “আমরা লিটিগেশন ফান্ডিংয়ের দিকে নজর দিচ্ছি এবং এ নিয়ে খুবই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আমরা চাই, যতটা সম্ভব অর্থ এ উৎস থেকে জোগাড় করা।”
এই ফান্ডিং ব্যবস্থায় অর্থ জোগানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো মামলা পরিচালনার খরচ বহন করে, এবং মামলা জিতে গেলে সমঝোতার ভিত্তিতে লাভের একটি অংশ নেয়।
রাজনৈতিক বিতর্ক
এদিকে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করছে, সরকারের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। দলটি দাবি করেছে, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও তদন্তের অগ্রগতি
অধ্যাপক ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক সরকারের মিত্রদের বিরুদ্ধে ১১টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক তদন্ত শুরু করেছে।
শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
---
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতায় যেতে পারে বাংলাদেশ সরকার। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে এই সমঝোতা হতে পারে—এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
অর্থ পুনরুদ্ধারে বিকল্প কৌশল
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান মনসুর বলেন, “যদি আইন লঙ্ঘনের প্রকৃতি তুলনামূলকভাবে হালকা ধরনের হয়...তবে আমরা দেওয়ানি মামলা করব এবং সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আর্থিক সমঝোতার কথা বিবেচনা করা হবে।”
তবে কারা এ প্রক্রিয়ার আওতায় আসবেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ
সরকারি নির্দেশনায় তৈরি ও গত ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, “এটা চুরি হওয়া অর্থ। আইনগতভাবে এবং নৈতিকভাবেও যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত এই অর্থ শনাক্ত করতে আমাদের সহায়তা করা।”
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
আহসান মনসুর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বাধীন দল আন্তর্জাতিক মামলা পরিচালনায় ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে।
এ লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক লিটিগেশন ফান্ডার অমনি ব্রিজওয়ে ইতোমধ্যে ঢাকায় সফর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১৬টিরও বেশি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছে।
‘লিটিগেশন ফান্ডিংয়ে’ ইতিবাচক সাড়া
গভর্নর বলেন, “আমরা লিটিগেশন ফান্ডিংয়ের দিকে নজর দিচ্ছি এবং এ নিয়ে খুবই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আমরা চাই, যতটা সম্ভব অর্থ এ উৎস থেকে জোগাড় করা।”
এই ফান্ডিং ব্যবস্থায় অর্থ জোগানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো মামলা পরিচালনার খরচ বহন করে, এবং মামলা জিতে গেলে সমঝোতার ভিত্তিতে লাভের একটি অংশ নেয়।
রাজনৈতিক বিতর্ক
এদিকে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করছে, সরকারের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। দলটি দাবি করেছে, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও তদন্তের অগ্রগতি
অধ্যাপক ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক সরকারের মিত্রদের বিরুদ্ধে ১১টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক তদন্ত শুরু করেছে।
শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
---