চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ হতে এখনো ১৫ দিন বাকি থাকলেও, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশি হয়েছে।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটিতে ১৫ জুন পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৯ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারকে একটি টিইইউএস ধরা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউএস। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের শেষ হওয়ার আগেই আগের বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৮৯ টিইইউএস বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউএস।
চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, দুই ঈদের দীর্ঘ ছুটি, কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলমবিরতি, পরিবহন ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কারণে কার্যক্রম দুই মাসের মতো ব্যাহত হলেও হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে, পুরো অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৩৩ লাখ টিইইউএস ছাড়াতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়ন, অটোমেশন সার্ভিস সুবিধা, ই-গেইট পাস চালু এবং কন্টেইনার অপারেটিং সিস্টেম আধুনিকায়নের কারণে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তা।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের দ্রুত পণ্য খালাসসহ নানা দিক থেকে সহযোগিতাও এই অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, “বিভিন্ন সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা চলতি অর্থবছরের ১৫ জুনের মধ্যে গত বছরের চেয়ে বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছি। এ বছর শেষ হতে আরও ১৫ দিন রয়েছে। এ সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড হবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “অতীতের প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে যে পর্যায়ে এসেছে সেটা শ্রমিক-কর্মচারী-বন্দর ব্যবহারকারীসহ সকলের সহযোগিতার ফল। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করি।”
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ হতে এখনো ১৫ দিন বাকি থাকলেও, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশি হয়েছে।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটিতে ১৫ জুন পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৯ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারকে একটি টিইইউএস ধরা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউএস। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের শেষ হওয়ার আগেই আগের বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৮৯ টিইইউএস বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউএস।
চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, দুই ঈদের দীর্ঘ ছুটি, কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলমবিরতি, পরিবহন ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কারণে কার্যক্রম দুই মাসের মতো ব্যাহত হলেও হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে, পুরো অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৩৩ লাখ টিইইউএস ছাড়াতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়ন, অটোমেশন সার্ভিস সুবিধা, ই-গেইট পাস চালু এবং কন্টেইনার অপারেটিং সিস্টেম আধুনিকায়নের কারণে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তা।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের দ্রুত পণ্য খালাসসহ নানা দিক থেকে সহযোগিতাও এই অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, “বিভিন্ন সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা চলতি অর্থবছরের ১৫ জুনের মধ্যে গত বছরের চেয়ে বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছি। এ বছর শেষ হতে আরও ১৫ দিন রয়েছে। এ সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড হবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “অতীতের প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে যে পর্যায়ে এসেছে সেটা শ্রমিক-কর্মচারী-বন্দর ব্যবহারকারীসহ সকলের সহযোগিতার ফল। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করি।”