বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, নেগিটিভ ইক্যুইটি পুঁজিবাজারের জন্য বিগেস্ট ক্যানসার। এটা নিয়ে আমরা সিরিয়াসলি কাজ করছি।
তবে নেগিটিভ ইক্যুইটি সাথে নিয়ে আমাদের চলতে হবে আরও ৪ থেকে ৫ বছর। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে নেগিটিভ ইক্যুইটি নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করছি। এটার নানা অপশনগুলো নিয়ে কাজ করছি। এখন ব্যাংকগুলোর যে অবস্থা সেখানে সরকারের পার্টিসিপেসন লাগছে। সুতরাং নেগিটিভ ইক্যুইটিতেও সরকারের একটিভ পার্টিসিপেসন লাগবে। নেগিটিভ ইক্যুইটি নিয়ে আমরা একটা স্টেপ এগিয়েছি। আমরা প্রত্যেক কোম্পানিকে বলেছি তাদের সিচ্যুয়েশন বুঝে একটা প্ল্যান দিতে। এটা একটা বিগেস্ট ক্যানসার এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য। এটাকে যতদিন আমরা চিহ্নিত না করবো ততদিন ভালোভাবে ক্যাপিটাল মার্কেটকে এগিয়ে নিতে পারবো না। সুতরাং নেগিটিভ ইক্যুইটি সাথে নিয়ে আমাদের চলতে হবে আরও ৪ থেকে ৫ বছর। কিন্তু আমরা কিভাবে চলবো সেই রোডম্যাপটা আমাকে ঠিক করে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইপিও রুলস, মার্জিন রুলস এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড রুলস এই তিনটা আইনি প্রক্রিয়াটা যখন শেষ হয়ে যাবে আমরা বলতে পারবো যে আমাদের মার্কেটের রিফর্মের কাজ ৬০-৭০ শতাংশ হয়েছে। রিফর্মগুলো আনা গেলে আমরা একটা শক্তিশালী এবং মজবুত জায়গায় যাবো। যেখানে আমরা একটা বিনিয়োগকারীদের প্রটেকশন দিতে পারবো।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে গেছে। তবে এটা রিকভারি করতে কাজ করছি। আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি সূচক ওঠা-নামানো আমাদের কাজ না।
আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, জাং শেয়ার দিয়ে বাজার বাড়লেও এটা স্থায়ী হয় না, ভালো শেয়ার পুঁজিবাজারে আনতে হবে। ভালো কোম্পানিকে অফ লোড করতে হবে। সরকারের উচ্চ মহল জানে এটা এভাবে হবে না এটাকে বড় করতে হবে। এদেশের অর্থনীতির জন্য স্টক মার্কেট দরকার। এটার এখন লো প্রেসার চলছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, বাজেটে আমাদের কিছু প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের কোম্পানিগুলোর ফাইনান্সিয়াল এস্টেটমেন্ট যদি স্বচ্ছ না হয় তাহলে কোনো কিছুতেই বাজার ভালো হবে না।
ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, কোনটা বিনিয়োগ আর কোনটা ব্যবসা আমরা বুঝতে না পারি তাহলে হবে না। মার্কেটকে মার্কেটের মতো চলতে দিতে হবে।
ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার, ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, নেগিটিভ ইক্যুইটি পুঁজিবাজারের জন্য বিগেস্ট ক্যানসার। এটা নিয়ে আমরা সিরিয়াসলি কাজ করছি।
তবে নেগিটিভ ইক্যুইটি সাথে নিয়ে আমাদের চলতে হবে আরও ৪ থেকে ৫ বছর। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে নেগিটিভ ইক্যুইটি নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করছি। এটার নানা অপশনগুলো নিয়ে কাজ করছি। এখন ব্যাংকগুলোর যে অবস্থা সেখানে সরকারের পার্টিসিপেসন লাগছে। সুতরাং নেগিটিভ ইক্যুইটিতেও সরকারের একটিভ পার্টিসিপেসন লাগবে। নেগিটিভ ইক্যুইটি নিয়ে আমরা একটা স্টেপ এগিয়েছি। আমরা প্রত্যেক কোম্পানিকে বলেছি তাদের সিচ্যুয়েশন বুঝে একটা প্ল্যান দিতে। এটা একটা বিগেস্ট ক্যানসার এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য। এটাকে যতদিন আমরা চিহ্নিত না করবো ততদিন ভালোভাবে ক্যাপিটাল মার্কেটকে এগিয়ে নিতে পারবো না। সুতরাং নেগিটিভ ইক্যুইটি সাথে নিয়ে আমাদের চলতে হবে আরও ৪ থেকে ৫ বছর। কিন্তু আমরা কিভাবে চলবো সেই রোডম্যাপটা আমাকে ঠিক করে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইপিও রুলস, মার্জিন রুলস এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড রুলস এই তিনটা আইনি প্রক্রিয়াটা যখন শেষ হয়ে যাবে আমরা বলতে পারবো যে আমাদের মার্কেটের রিফর্মের কাজ ৬০-৭০ শতাংশ হয়েছে। রিফর্মগুলো আনা গেলে আমরা একটা শক্তিশালী এবং মজবুত জায়গায় যাবো। যেখানে আমরা একটা বিনিয়োগকারীদের প্রটেকশন দিতে পারবো।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে গেছে। তবে এটা রিকভারি করতে কাজ করছি। আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি সূচক ওঠা-নামানো আমাদের কাজ না।
আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, জাং শেয়ার দিয়ে বাজার বাড়লেও এটা স্থায়ী হয় না, ভালো শেয়ার পুঁজিবাজারে আনতে হবে। ভালো কোম্পানিকে অফ লোড করতে হবে। সরকারের উচ্চ মহল জানে এটা এভাবে হবে না এটাকে বড় করতে হবে। এদেশের অর্থনীতির জন্য স্টক মার্কেট দরকার। এটার এখন লো প্রেসার চলছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, বাজেটে আমাদের কিছু প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের কোম্পানিগুলোর ফাইনান্সিয়াল এস্টেটমেন্ট যদি স্বচ্ছ না হয় তাহলে কোনো কিছুতেই বাজার ভালো হবে না।
ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, কোনটা বিনিয়োগ আর কোনটা ব্যবসা আমরা বুঝতে না পারি তাহলে হবে না। মার্কেটকে মার্কেটের মতো চলতে দিতে হবে।
ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার, ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন প্রমুখ।