গাড়ির বডি এনে চাকা, নাট আর বল্টু বসিয়ে নতুন গাড়ি বানানোর বাহবা নেওয়া হচ্ছে বলে তুলে ধরেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
গতকাল বুধবার অটোমোবাইল খাতের নীতিমালা বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমি দেখেছি অনেক জায়গায়, যে জাস্ট গাড়ির বডিটা আলাদা নিয়ে এসে চারটা চাকা, নাট-বোল্ট লাগায় দিলাম এবং আমরা বলে ফেললাম যে আমরা গাড়ি বানাচ্ছি।“
এমন প্রেক্ষাপটে নীতির পরিবর্তন জরুরি বলেও মন্তব্য করে তিনি।
অর্থনীতি বিষয়ক বিটের প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত ’অটোমোবাইল পলিসি ফর গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড কম্পিটিটিভ ইকোনোমি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে এ কর্মশালায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিষয়ক সেবা ‘লজিস্টিক’ এর চাহিদা ৯ গুণ বাড়বে। এজন্য ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা ‘গঞ্জ’ শহরগুলোকে নতুনভাবে লজিস্টিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
নদীভিত্তিক গুদাম, পাইপলাইনসহ বিকল্প লজিস্টিক ব্যবস্থার মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের সমুদ্রগামী জাহাজ কম থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বিপুল লাভ হতে পারে।
বিগত সরকারের দুর্বৃত্তায়ন থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নীতি পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
কর্ণফুরী টানেলের মত ‘ভ্রান্ত দর্শনের’ বিনিয়োগ করা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “গ্রিনের নামে আমরা মেট্রোরেল করতে গিয়ে এক টাকার জিনিস ২০ টাকায় করে, আমরা তো পরিবেশের আরো বড় ক্ষতি করে ফেলেছি। কারণ যে পরিমাণ অর্থনৈতিক দায় তৈরি করেছি, যার বিনিময়ে আজকে আমাদের জাতীয় ব্যয়ের সর্ববৃহৎ ব্যয় হচ্ছে আমাদের দায় পরিশোধের জন্য–স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দায় পরিশোধ।”
দেশে বিনিয়োগ না আসার পেছনে নিজেদের থাকা ভুলগুলো খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “অন্য দেশ যদি পারে, আমরা কেন পারছি না, সেই প্রশ্ন আমাদের করতেই হবে।”
বাংলাদেশের লজিস্টিক (পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা) ব্যয় অনেক বেশি তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে পলিসি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী মাশরুর রিয়াজ বলেন, “এখন আমাদের লজিস্টিক ব্যয় অন্তত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি। এই অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে পারলে যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা তৈরি হবে তাতেই ২০ শতাংশ রপ্তানি বাড়বে।
”এই লজিস্টিকের অন্যতম উপাদান হচ্ছে উন্নত সড়ক এবং উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা। পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি গাড়ি আমদানি করতে হবে।”
এক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই গাড়ি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ইআরএফের সংগঠনের সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে কর্মলাশায় বক্তব্য রাখেন বারভিডার সভাপতি মো. আব্দুল হক, বিসিআইর সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, উত্তরা মোটরসের মতিউর রহমান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
গাড়ির বডি এনে চাকা, নাট আর বল্টু বসিয়ে নতুন গাড়ি বানানোর বাহবা নেওয়া হচ্ছে বলে তুলে ধরেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
গতকাল বুধবার অটোমোবাইল খাতের নীতিমালা বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমি দেখেছি অনেক জায়গায়, যে জাস্ট গাড়ির বডিটা আলাদা নিয়ে এসে চারটা চাকা, নাট-বোল্ট লাগায় দিলাম এবং আমরা বলে ফেললাম যে আমরা গাড়ি বানাচ্ছি।“
এমন প্রেক্ষাপটে নীতির পরিবর্তন জরুরি বলেও মন্তব্য করে তিনি।
অর্থনীতি বিষয়ক বিটের প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত ’অটোমোবাইল পলিসি ফর গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড কম্পিটিটিভ ইকোনোমি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে এ কর্মশালায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিষয়ক সেবা ‘লজিস্টিক’ এর চাহিদা ৯ গুণ বাড়বে। এজন্য ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা ‘গঞ্জ’ শহরগুলোকে নতুনভাবে লজিস্টিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
নদীভিত্তিক গুদাম, পাইপলাইনসহ বিকল্প লজিস্টিক ব্যবস্থার মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের সমুদ্রগামী জাহাজ কম থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বিপুল লাভ হতে পারে।
বিগত সরকারের দুর্বৃত্তায়ন থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নীতি পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
কর্ণফুরী টানেলের মত ‘ভ্রান্ত দর্শনের’ বিনিয়োগ করা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “গ্রিনের নামে আমরা মেট্রোরেল করতে গিয়ে এক টাকার জিনিস ২০ টাকায় করে, আমরা তো পরিবেশের আরো বড় ক্ষতি করে ফেলেছি। কারণ যে পরিমাণ অর্থনৈতিক দায় তৈরি করেছি, যার বিনিময়ে আজকে আমাদের জাতীয় ব্যয়ের সর্ববৃহৎ ব্যয় হচ্ছে আমাদের দায় পরিশোধের জন্য–স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দায় পরিশোধ।”
দেশে বিনিয়োগ না আসার পেছনে নিজেদের থাকা ভুলগুলো খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “অন্য দেশ যদি পারে, আমরা কেন পারছি না, সেই প্রশ্ন আমাদের করতেই হবে।”
বাংলাদেশের লজিস্টিক (পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা) ব্যয় অনেক বেশি তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে পলিসি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী মাশরুর রিয়াজ বলেন, “এখন আমাদের লজিস্টিক ব্যয় অন্তত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি। এই অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে পারলে যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা তৈরি হবে তাতেই ২০ শতাংশ রপ্তানি বাড়বে।
”এই লজিস্টিকের অন্যতম উপাদান হচ্ছে উন্নত সড়ক এবং উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা। পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি গাড়ি আমদানি করতে হবে।”
এক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই গাড়ি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ইআরএফের সংগঠনের সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে কর্মলাশায় বক্তব্য রাখেন বারভিডার সভাপতি মো. আব্দুল হক, বিসিআইর সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, উত্তরা মোটরসের মতিউর রহমান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।