দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সবগুলো মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ মাস পর ৫ হাজার ৬০০ পয়েন্টের ঘর অতিক্রম করেছে। ডিএসইতে যে কয়টি শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, তার চেয়ে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যকের। লেনদেনেও গতি বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৩শ’ কোটি টাকার বেশি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬২১ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এক্সচেঞ্জটির এই সূচকটি ৫ হাজার ৬০০ পয়েন্টের উপরে ছিল। ওইদিন সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৬২৪ পয়েন্টে।

ডিএসইর বাছাই করা শেয়ারের সূচক ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এই সূচকটির অবস্থান ছিল ২ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। মঙ্গলবার যা ছিল ১ হাজার ২২৫ পয়েন্টে।

মঙ্গলবার ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২২০টির। বিপরীতে কমেছে ১৩১টির। আর ৪৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ডিএসইতে মঙ্গলবার মোট ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬ লাখ টাকা সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। আগের দিন এই লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার ঢাকার বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিটি ব্যাংক পিএলসির শেয়ার। ব্যাংকটির মোট ৪৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। সোমবার ২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ডিএসইতে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছিল তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির শেয়ার।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মঙ্গলবার মূল্য সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটির সার্বিক সূচক বাড়লেও কমেছে অন্য সূচকগুলো। আর সার্বিকভাবে লেনদেনও কমেছে। তবে বেড়েছে অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর।

মঙ্গলবার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের দিন সূচকটির অবস্থান ছিল ১৫ হাজার ৬০৭ পয়েন্টে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৭টির দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৭১টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ। আগের দিন এক্সচেঞ্জটিতে ২৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।