ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক মাশুল কমেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে নতুন মাশুল নির্ধারণ করেছে। চলতি অর্থবছর থেকে এই মাশুল হবে ১৫০ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিএসইসি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছর থেকে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি বা মাশুল হবে ১৫০ টাকা। আর এই অর্থ তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমভাবে বণ্টন হবে। শেয়ারবাজারে বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ বা সিডিবিএল, ব্রোকারেজ হাউস বা ডিপোজিটরি অংশীদার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রত্যেকে বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল থেকে ৫০ টাকা করে পাবে।
গত জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ জন্য চলতি অর্থবছরের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায়ের সময়সীমা ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিএসইসি আরও জানিয়েছে, গত জুলাই থেকে নতুন মাশুল কার্যকর হলেও গত অর্থবছরের জন্য বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল হবে ৪৫০ টাকা। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছর থেকে প্রতি বিও হিসাবের জন্য বিনিয়োগকারীদের রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল ৩০০ টাকা করে কমছে। সাধারণত অর্থবছরের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব থেকে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায় করে ব্রোকারেজ হাউস বা ডিপোজিটরি অংশীদারেরা।
এদিকে, বিও হিসাবের রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল কমানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর থেকে বিনিয়োগকারীরা এই বাজার থেকে খুব বেশি লাভের মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী লোকসান গুনেছেন। তারপরও বিনিয়োগকারীদের বছর বছর বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল দিতে হয়েছে। এখন মাশুল কিছুটা কমানোর ফলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন।
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে বর্তমানে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫০টি। এসব বিও হিসাব থেকে চলতি অর্থবছরের জন্য ১৫০ টাকা করে রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায় করা হলে তাতে মোট মাশুল আদায় হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক মাশুল কমেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে নতুন মাশুল নির্ধারণ করেছে। চলতি অর্থবছর থেকে এই মাশুল হবে ১৫০ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিএসইসি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছর থেকে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি বা মাশুল হবে ১৫০ টাকা। আর এই অর্থ তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমভাবে বণ্টন হবে। শেয়ারবাজারে বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ বা সিডিবিএল, ব্রোকারেজ হাউস বা ডিপোজিটরি অংশীদার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রত্যেকে বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল থেকে ৫০ টাকা করে পাবে।
গত জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ জন্য চলতি অর্থবছরের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায়ের সময়সীমা ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিএসইসি আরও জানিয়েছে, গত জুলাই থেকে নতুন মাশুল কার্যকর হলেও গত অর্থবছরের জন্য বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল হবে ৪৫০ টাকা। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছর থেকে প্রতি বিও হিসাবের জন্য বিনিয়োগকারীদের রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল ৩০০ টাকা করে কমছে। সাধারণত অর্থবছরের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব থেকে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায় করে ব্রোকারেজ হাউস বা ডিপোজিটরি অংশীদারেরা।
এদিকে, বিও হিসাবের রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল কমানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর থেকে বিনিয়োগকারীরা এই বাজার থেকে খুব বেশি লাভের মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী লোকসান গুনেছেন। তারপরও বিনিয়োগকারীদের বছর বছর বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল দিতে হয়েছে। এখন মাশুল কিছুটা কমানোর ফলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন।
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে বর্তমানে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫০টি। এসব বিও হিসাব থেকে চলতি অর্থবছরের জন্য ১৫০ টাকা করে রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায় করা হলে তাতে মোট মাশুল আদায় হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।