ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে কাজের অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) এখন থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় নেওয়া যাবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টাল ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী বা বিদেশি কর্মীরা নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন ও প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে পারবেন। এরপর অনলাইনেই তাদের ছাড়পত্রের অনুমোদন দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিডা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আন্তসংস্থা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথির বিষয়টি যৌক্তিকীকরণ করা হয়েছে, যেন প্রক্রিয়াটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। নতুন নিয়মে নির্ধারিত সব নথিসহ আবেদন যথাযথভাবে দাখিল করার পরও নিরাপত্তা সংস্থা ২১ কর্মদিবসের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী) মধ্যে যাচাই শেষ না করলে আবেদনটি ‘নিরাপত্তা আপত্তি নেই’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া বিদেশি কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের ভিসা নবায়ন ও ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াও ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এসব সেবা নিতে আর সশরীর আবেদন করতে হবে না।
সভায় আরও জানানো হয়, শিগগিরই নতুন বিনিয়োগবান্ধব ভিসা নীতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভিসা অন অ্যারাইভাল ফিও অনলাইনে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে একটি আন্তসংস্থাগত ইন্টার-অপারেবল তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ) তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান, বিদেশিদের আগমন, অবস্থান পর্যবেক্ষণ ও আন্তসংস্থা সমন্বয় আরও কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র ডিজিটাল হওয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সীমিত সময়ের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কর্মানুমতি ও ভিসা-সম্পর্কিত আরও কিছু সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব হবে।’
আশিক চৌধুরী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিডা নিয়মিত মাসিক সমন্বয় সভা করে থাকে। একইভাবে নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও কর্মানুমতি-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এখন থেকে মাসিক সভা করবে বিডা; গুরুত্বপূর্ণ এই সেবায় কোনো অনিশ্চয়তা যেন না থাকে, সে কারণে।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এবং এর প্রক্রিয়া আরও সহজ ও কার্যকর করতে বিডার সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় ও সহযোগিতার কথা জানান।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে কাজের অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) এখন থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় নেওয়া যাবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টাল ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী বা বিদেশি কর্মীরা নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন ও প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে পারবেন। এরপর অনলাইনেই তাদের ছাড়পত্রের অনুমোদন দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিডা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আন্তসংস্থা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথির বিষয়টি যৌক্তিকীকরণ করা হয়েছে, যেন প্রক্রিয়াটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। নতুন নিয়মে নির্ধারিত সব নথিসহ আবেদন যথাযথভাবে দাখিল করার পরও নিরাপত্তা সংস্থা ২১ কর্মদিবসের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী) মধ্যে যাচাই শেষ না করলে আবেদনটি ‘নিরাপত্তা আপত্তি নেই’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া বিদেশি কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের ভিসা নবায়ন ও ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াও ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এসব সেবা নিতে আর সশরীর আবেদন করতে হবে না।
সভায় আরও জানানো হয়, শিগগিরই নতুন বিনিয়োগবান্ধব ভিসা নীতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভিসা অন অ্যারাইভাল ফিও অনলাইনে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে একটি আন্তসংস্থাগত ইন্টার-অপারেবল তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ) তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান, বিদেশিদের আগমন, অবস্থান পর্যবেক্ষণ ও আন্তসংস্থা সমন্বয় আরও কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র ডিজিটাল হওয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সীমিত সময়ের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কর্মানুমতি ও ভিসা-সম্পর্কিত আরও কিছু সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব হবে।’
আশিক চৌধুরী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিডা নিয়মিত মাসিক সমন্বয় সভা করে থাকে। একইভাবে নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও কর্মানুমতি-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এখন থেকে মাসিক সভা করবে বিডা; গুরুত্বপূর্ণ এই সেবায় কোনো অনিশ্চয়তা যেন না থাকে, সে কারণে।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এবং এর প্রক্রিয়া আরও সহজ ও কার্যকর করতে বিডার সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় ও সহযোগিতার কথা জানান।