এক মাসের ব্যবধানে আগস্টে আবার তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। ফলে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে সার্বিকভাবে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও শেষ মাস অর্থাৎ জুনে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৬ শতাংশ কমে যায়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। তবে দ্বিতীয় মাসে আগস্টে আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে রপ্তানি পৌনে ৫ শতাংশ কমেছে। এই মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩১৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ মঙ্গলবার পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে সব মিলিয়ে ৩৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের আগস্টের তুলনায় ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। গত বছরের আগস্টে রপ্তানি হয়েছিল ৪০৩ কোটি ডলারের পণ্য। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭১৩ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তবে কেবল আগস্টে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে পাল্টা শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। তার পরও গত মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। এ নিয়ে রপ্তানিকারকেরা বলছেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে কয়েক মাস ধরে দর-কষাকষি চলমান ছিল। সে কারণে মার্কিন ক্রয়াদেশ এসেছে কম। তাই গত মাসে রপ্তানি ছিল কম। তবে শুল্কহার চূড়ান্ত হওয়ায় আগস্ট থেকে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাড়তি ক্রয়াদেশ দিতে আলোচনা শুরু করেছে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ প্রত্যাশা করছেন রপ্তানিকারকেরা।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত আগস্টে তৈরি পোশাক ছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, চামড়াবিহীন জুতা এবং আসবাবের রপ্তানি কমেছে। তবে হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি পণ্য হলো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এই পণ্য রপ্তানি হয় ২৩ কোটি ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। যদিও গত আগস্টে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে প্রায় দেড় শতাংশ।
তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানি পণ্য হচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। গত জুলাই-আগস্টে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। যদিও গত আগস্টে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ৪ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল এখন চতুর্থ শীর্ষ রপ্তানি পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৪ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এক মাসের ব্যবধানে আগস্টে আবার তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। ফলে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে সার্বিকভাবে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও শেষ মাস অর্থাৎ জুনে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৬ শতাংশ কমে যায়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। তবে দ্বিতীয় মাসে আগস্টে আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে রপ্তানি পৌনে ৫ শতাংশ কমেছে। এই মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩১৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ মঙ্গলবার পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে সব মিলিয়ে ৩৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের আগস্টের তুলনায় ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। গত বছরের আগস্টে রপ্তানি হয়েছিল ৪০৩ কোটি ডলারের পণ্য। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭১৩ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তবে কেবল আগস্টে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে পাল্টা শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। তার পরও গত মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। এ নিয়ে রপ্তানিকারকেরা বলছেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে কয়েক মাস ধরে দর-কষাকষি চলমান ছিল। সে কারণে মার্কিন ক্রয়াদেশ এসেছে কম। তাই গত মাসে রপ্তানি ছিল কম। তবে শুল্কহার চূড়ান্ত হওয়ায় আগস্ট থেকে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাড়তি ক্রয়াদেশ দিতে আলোচনা শুরু করেছে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ প্রত্যাশা করছেন রপ্তানিকারকেরা।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত আগস্টে তৈরি পোশাক ছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, চামড়াবিহীন জুতা এবং আসবাবের রপ্তানি কমেছে। তবে হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি পণ্য হলো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এই পণ্য রপ্তানি হয় ২৩ কোটি ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। যদিও গত আগস্টে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে প্রায় দেড় শতাংশ।
তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানি পণ্য হচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। গত জুলাই-আগস্টে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। যদিও গত আগস্টে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ৪ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল এখন চতুর্থ শীর্ষ রপ্তানি পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৪ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।