ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের (৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ৩ দিনেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আলোচিত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বাজারদর বেড়েছে। এর কারণে সার্বিক বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। লেনদেনেও গতি বেড়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে ৯৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহের ২ হাজার ১৫৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে সূচকটি ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আর শরীয়াহ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসইএস ১ হাজার ২০৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৩০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। তালিকাভুক্ত আরও ২২টি সিকিউরিটিজের সপ্তাহজুড়ে কোনো লেনদেন হয়নি। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৩টির। কমেছে ১২৬টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টির। গত সপ্তাহে সূচক ও অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরবৃদ্ধির পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন আরো বেড়েছে। পুরো সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই এক্সচেঞ্জটির লেনদেন হাজার কোটি টাকার উপরে ছিল। আলোচিত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জটিতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ৭২৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের। প্রতিদিন গড়ে এই খাত থেকে ১৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন এসেছে ব্যাংক খাতে, প্রতিদিন গড়ে যা ছিল ১৪৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল বস্ত্র খাতে, প্রতিদিন গড়ে যার পরিমাণ ছিল ১৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এছাড়া প্রকৌশল খাত এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে যথাক্রমে প্রতিদিন গড়ে ১২৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং ৯৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ডিএসইতে অবদান রেখেছে।
লেনদেন ও সূচকে চাঙ্গাভাবের পাশাপাশি গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধনেও চমক দেখা গেছে। পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকায়, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক মুনাফা চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে, যা ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই খাতে তালিকাভুক্ত ১১টি কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে গত সপ্তাহে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে জীবন বীমা খাতে, যার হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এই খাতে তালিকভুক্ত ১৫টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১টির। ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ রিটার্ন নিয়েছে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। এই খাতে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১টির। এছাড়া পাট খাত, প্রকৌশল খাত, মুদ্রন ও কাগজ খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত এবং চামড়া খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে গত সপ্তাহে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সিমেন্ট খাতে, যার হার ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এই খাতের বহুজাতিক দুই কোম্পানির দরপতন খাতটিকে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্নের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে করপোরেট বন্ড খাতে, এই হার দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া ভ্রমণ ও অবকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, মিউচুয়াল ফান্ড, বস্ত্র এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে গত সপ্তাহে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
এদিকে সপ্তাহে ব্যবধানে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবগুলো মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে। তবে এক্সচেঞ্জটির লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক দুটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৫ হাজার ৭০২ পয়েন্টে এবং ৯ হাজার ৬৫০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৯২ পয়েন্টে এবং ১৩ হাজার ৮২৬ পয়েন্টে। আর সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৯০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ২৩ লাখ টাকা যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ১২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে এক্সচেঞ্জটিতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৬টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের (৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ৩ দিনেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আলোচিত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বাজারদর বেড়েছে। এর কারণে সার্বিক বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। লেনদেনেও গতি বেড়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে ৯৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহের ২ হাজার ১৫৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে সূচকটি ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আর শরীয়াহ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসইএস ১ হাজার ২০৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৩০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। তালিকাভুক্ত আরও ২২টি সিকিউরিটিজের সপ্তাহজুড়ে কোনো লেনদেন হয়নি। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৩টির। কমেছে ১২৬টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টির। গত সপ্তাহে সূচক ও অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরবৃদ্ধির পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন আরো বেড়েছে। পুরো সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই এক্সচেঞ্জটির লেনদেন হাজার কোটি টাকার উপরে ছিল। আলোচিত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জটিতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ৭২৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের। প্রতিদিন গড়ে এই খাত থেকে ১৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন এসেছে ব্যাংক খাতে, প্রতিদিন গড়ে যা ছিল ১৪৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল বস্ত্র খাতে, প্রতিদিন গড়ে যার পরিমাণ ছিল ১৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এছাড়া প্রকৌশল খাত এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে যথাক্রমে প্রতিদিন গড়ে ১২৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং ৯৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ডিএসইতে অবদান রেখেছে।
লেনদেন ও সূচকে চাঙ্গাভাবের পাশাপাশি গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধনেও চমক দেখা গেছে। পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকায়, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক মুনাফা চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে, যা ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই খাতে তালিকাভুক্ত ১১টি কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে গত সপ্তাহে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে জীবন বীমা খাতে, যার হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এই খাতে তালিকভুক্ত ১৫টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১টির। ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ রিটার্ন নিয়েছে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। এই খাতে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১টির। এছাড়া পাট খাত, প্রকৌশল খাত, মুদ্রন ও কাগজ খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত এবং চামড়া খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে গত সপ্তাহে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সিমেন্ট খাতে, যার হার ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এই খাতের বহুজাতিক দুই কোম্পানির দরপতন খাতটিকে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্নের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে করপোরেট বন্ড খাতে, এই হার দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া ভ্রমণ ও অবকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, মিউচুয়াল ফান্ড, বস্ত্র এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে গত সপ্তাহে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
এদিকে সপ্তাহে ব্যবধানে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবগুলো মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে। তবে এক্সচেঞ্জটির লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক দুটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৫ হাজার ৭০২ পয়েন্টে এবং ৯ হাজার ৬৫০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৯২ পয়েন্টে এবং ১৩ হাজার ৮২৬ পয়েন্টে। আর সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৯০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ২৩ লাখ টাকা যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ১২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে এক্সচেঞ্জটিতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৬টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।