শ্রম আইন সংস্কারে ট্রেড ইউনিয়ন করার নতুন সুপারিশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ)। শুক্রবার, (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়। সংগঠনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অংশীজনেরা ত্রিপক্ষীয়ভাবে একমত হওয়ার পরও নতুন সুপারিশ আনা হয়েছে। এতে শ্রমবাজারের মূল অংশীজন মালিক ও শ্রমিককে প্রায় পাশ কাটানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের আকার যাই হোক না কেন মাত্র ২০ জন শ্রমিককে নিয়ে ইউনিয়ন গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এই প্রস্তাব শিল্পের বাইরের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি, কর্মক্ষেত্রের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে বলে মনে করে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন যা প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়ন শক্তিশালী করার পরিবর্তে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা ডেকে আনতে পারে। এটি শ্রমিক ও মালিক উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ) আরও বলছে, সংস্কার অবশ্যই বাংলাদেশের বাস্তবতা। তা শিল্প খাতের প্রেক্ষাপট ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ভিত্তিতে হতে হবে। কোনো আরোপিত বাহ্যিক চাপের ভিত্তিতে হলে তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে।
সংগঠনটি আরও বলছে, বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিষ্ঠান ও শ্রমশক্তির আইন কার্যকর করার সক্ষমতা নিশ্চিত করা। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ঘাটতি, দুর্বল শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা এবং অকার্যকর তদারকি ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সক্ষমতার অভাব। যদি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিদর্শন ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও সামাজিক অংশীজনদের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তবে শ্রম আইনের নতুন সংশোধনী বাস্তবে কোনো সুফল দেবে না।
সংগঠনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানায় যে তারা যেন ত্রিপক্ষীয় নীতি বজায় রাখেন এবং ভবিষ্যতে তাদের যেকোনো পর্যবেক্ষণ সরকার, শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে স্বচ্ছ আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে এই প্রক্রিয়াকে বাস্তবসম্মত, ভারসাম্যপূর্ণ ও পরামর্শের ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবাস্তব সংশোধনী হয়তো সাময়িকভাবে কিছু বাহ্যিক মহলকে সন্তুষ্ট করতে পারে। কিন্তু শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি টেকসইযোগ্যতা, শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা এবং লাখ লাখ শ্রমিকের জীবিকার নিরাপত্তাকে এর খেসারত দিতে হতে পারে।
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্রম আইন সংস্কারে ট্রেড ইউনিয়ন করার নতুন সুপারিশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ)। শুক্রবার, (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়। সংগঠনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অংশীজনেরা ত্রিপক্ষীয়ভাবে একমত হওয়ার পরও নতুন সুপারিশ আনা হয়েছে। এতে শ্রমবাজারের মূল অংশীজন মালিক ও শ্রমিককে প্রায় পাশ কাটানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের আকার যাই হোক না কেন মাত্র ২০ জন শ্রমিককে নিয়ে ইউনিয়ন গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এই প্রস্তাব শিল্পের বাইরের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি, কর্মক্ষেত্রের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে বলে মনে করে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন যা প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়ন শক্তিশালী করার পরিবর্তে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা ডেকে আনতে পারে। এটি শ্রমিক ও মালিক উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ) আরও বলছে, সংস্কার অবশ্যই বাংলাদেশের বাস্তবতা। তা শিল্প খাতের প্রেক্ষাপট ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ভিত্তিতে হতে হবে। কোনো আরোপিত বাহ্যিক চাপের ভিত্তিতে হলে তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে।
সংগঠনটি আরও বলছে, বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিষ্ঠান ও শ্রমশক্তির আইন কার্যকর করার সক্ষমতা নিশ্চিত করা। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ঘাটতি, দুর্বল শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা এবং অকার্যকর তদারকি ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সক্ষমতার অভাব। যদি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিদর্শন ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও সামাজিক অংশীজনদের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তবে শ্রম আইনের নতুন সংশোধনী বাস্তবে কোনো সুফল দেবে না।
সংগঠনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানায় যে তারা যেন ত্রিপক্ষীয় নীতি বজায় রাখেন এবং ভবিষ্যতে তাদের যেকোনো পর্যবেক্ষণ সরকার, শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে স্বচ্ছ আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে এই প্রক্রিয়াকে বাস্তবসম্মত, ভারসাম্যপূর্ণ ও পরামর্শের ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবাস্তব সংশোধনী হয়তো সাময়িকভাবে কিছু বাহ্যিক মহলকে সন্তুষ্ট করতে পারে। কিন্তু শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি টেকসইযোগ্যতা, শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা এবং লাখ লাখ শ্রমিকের জীবিকার নিরাপত্তাকে এর খেসারত দিতে হতে পারে।