ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পরিবেশের সুরক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। যৌথভাবে এ আয়োজন করছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো), বাংলাদেশ।
প্রতিযোগিতার আওতায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক উদ্যোগের ধারণা দিলে একজন উদ্যোক্তা ১ লাখ টাকা পুরস্কার পাবেন। এতে সহায়তা দিচ্ছে নরওয়ে দূতাবাস। নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্যোক্তারা অংশ নিতে পারবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইউনিডো, বাংলাদেশের এ উদ্যোগে সহায়তা দেবে নরওয়ে দূতাবাস।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সারাদেশ থেকে আবেদনকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে নারী, শিক্ষার্থী, গবেষক, বেসরকারি সংস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে ২৫ জনকে নির্বাচিত করে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
নির্বাচিত ২৫ জন উদ্যোক্তা মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণ শেষে ইউনিডো বাংলাদেশ, অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ডের কাছে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। সেখান থেকে ৭ জনকে পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এরপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন পাবেন তিন লাখ টাকা করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাবে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের প্রতিবেদন বলছে, দেশে বছরে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় শতকরা মাত্র ৩১ ভাগ। শুধু ঢাকায়ই প্রতিদিন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় সারাদেশের শতকরা ১০ ভাগ বা ৬৪৬ টন। পুনর্ব্যবহার হয় শতকরা মাত্র ৩৭ ভাগ।’ জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদশেকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রযুক্তি উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আব্দুস সালাম সরদার।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পরিবেশের সুরক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। যৌথভাবে এ আয়োজন করছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো), বাংলাদেশ।
প্রতিযোগিতার আওতায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক উদ্যোগের ধারণা দিলে একজন উদ্যোক্তা ১ লাখ টাকা পুরস্কার পাবেন। এতে সহায়তা দিচ্ছে নরওয়ে দূতাবাস। নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্যোক্তারা অংশ নিতে পারবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইউনিডো, বাংলাদেশের এ উদ্যোগে সহায়তা দেবে নরওয়ে দূতাবাস।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সারাদেশ থেকে আবেদনকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে নারী, শিক্ষার্থী, গবেষক, বেসরকারি সংস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে ২৫ জনকে নির্বাচিত করে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
নির্বাচিত ২৫ জন উদ্যোক্তা মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণ শেষে ইউনিডো বাংলাদেশ, অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ডের কাছে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। সেখান থেকে ৭ জনকে পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এরপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন পাবেন তিন লাখ টাকা করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাবে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের প্রতিবেদন বলছে, দেশে বছরে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় শতকরা মাত্র ৩১ ভাগ। শুধু ঢাকায়ই প্রতিদিন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় সারাদেশের শতকরা ১০ ভাগ বা ৬৪৬ টন। পুনর্ব্যবহার হয় শতকরা মাত্র ৩৭ ভাগ।’ জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদশেকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রযুক্তি উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আব্দুস সালাম সরদার।