alt

news » business

এক মাসে ৭৮১ বিদেশি বিও হিসাব বন্ধ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের দেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা থামেনি। প্রতিনিয়তি বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার ছাড়ছেন। গত এক মাসে তাদের ৭৮১টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে। বিদেশি ও প্রবাসীরা শেয়ারবাজার ছাড়লেও এ সময়ে বেড়েছে স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।

দীর্ঘদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে শেয়ারবাজার ছাড়তে থাকেন। যা অব্যাহত থাকে চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাবে কমে ৯ হাজার ১৭৬টি।

তবে ২০ মে থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বাড়তে দেখা যায়। এই সময়ের মধ্যে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বাড়ে ৭৪টি। তবে এরপর থেকে আবার তাদের বিও হিসাব কমতে শুরু করে। যা সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসজুড়েও অব্যাহত ছিল। অথচ আগস্ট মাসজুড়ে শেয়ারবাজার ছিল বেশি ইতিবাচক। এ সময়ে মূল্যসূচকে যেমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে, তেমনি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।

বিও হল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।

এই সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে (৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২১১টি। যা গত ৩১ জুলাই ছিল ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৮টি। এ হিসাবে গত এক মাসে শেয়ারবাজারে বিও হিসাব কমেছে ৩৭টি। এই বিও হিসাব কমার মূল কারণ বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার ছেড়ে চলে যাওয়া।

বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ৪৩ হাজার ৭৭২টি। গত ৩১ জুলাই বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৪৪ হাজার ৫৫৩টি। অর্থাৎ গত এক মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ৭৮১টি। বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা শুরু হয় ২০২৩ নভেম্বর থেকে। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এ হিসাবে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবরের পর দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ১১ হাজার ৭৪০টি।

বিদেশি ও প্রবাসীরা দেশের শেয়ারবাজার ছাড়লেও স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৭টি, যা গত ৩১ জুলাই ছিল ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২০০টি। অর্থাৎ গত এক মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৬৮৭টি।

এখন শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও এর আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। ২০২৪ সালের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২১১টি। অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪০টি।

এদিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫টি। গত ৩১ জুলাই এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৩৭ হাজার ১৫টি। অর্থাৎ গত এক মাসে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ৩৫০টি। অন্যদিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ২৯৪টি। গত ৩১ জুলাই এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৩৮টি। এ হিসাবে গত এক মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ৪৪৪টি।

পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি গত এক মাসে কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৫৫২টি।

গত ৩১ জুলাই এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৯৫টি। এ হিসাবে এক মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ৫৭টি। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৩টি, যা গত ৩১ জুলাই ছিল ১১ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৭টি। অর্থাৎ গত এক মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ১ হাজার ৭১৬টি। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৭৬টি। গত ৩১ জুলাই যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬টি। অর্থাৎ গত এক মাসে যৌথ বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৮১০টি।

ছবি

এক বছরে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে

ছবি

মাথাপিছু জিডিপিতে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম

ছবি

এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি

খেলাপি ঋণে এশিয়ায় শীর্ষে এখন বাংলাদেশ

ছবি

বাণিজ্য সুবিধা আদায়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিশালী নয়: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ

ছবি

চলতি বছর ৩৯ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ হবে

ছবি

প্লাস্টিক ব্যবহার কমানোর ব্যবসায়িক ধারণা দিলেই পুরস্কার ১ লাখ টাকা

ছবি

ট্রেড ইউনিয়নের সুপারিশ নিয়ে উদ্বেগ বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের

ছবি

ডিমের ডজন ১৫০ টাকা ছাড়ালেই আমদানির অনুমতি

ছবি

ডিএসইর বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

ছবি

একীভূত হতে সম্মতি তিন ব্যাংকের, দুটি সময় চায়

ছবি

নতুন টেলিকম নীতিমালা অনুমোদন: একক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে সুলভ ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্য

ছবি

ছাদে সৌরবিদ্যুৎ সম্প্রসারণে বড় বাধা অর্থায়ন

ছবি

বাংলাদেশের আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৪৯তম ধনী

ছবি

ব্যাংক মার্জার : আরও ২ ব্যাংকের বক্তব্য শুনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ওয়ালটন হাই-টেকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক

ছবি

১০টির বেশি সিম নয়: বাড়তি থাকলে ছাড়তে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে

ছবি

ঢাকায় টোয়াবের পর্যটন মেলা এবার বড় পরিসরে

ছবি

সুলভ মূল্য নয়, ন্যায্য দামে টেকসই শিল্প চায় বিজিএমইএ

ছবি

স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ছাড়ালো

ছবি

১০ দফায় ১ বিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ফান্ডামেন্টালের সঙ্গে কৌশল ও টুলস জানতে হবে’: মিনহাজ মান্নান

ছবি

চলতি বছরে প্রথমবার ১৩শ’ কোটি টাকার লেনদেন

ছবি

আগস্টে তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে

ছবি

বিদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখন অনলাইনে পাওয়া যাবে

ছবি

শেয়ারবাজারে বিও হিসাবের রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল কমলো ৩০০ টাকা

ছবি

স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিল

ছবি

প্রতি মাসে ‘মিট দ্যা বিজনেস’ আয়োজন করবে এনবিআর

ছবি

আরও ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

এশিয়ান প্রফেশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫

ছবি

পারিবারিক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে যোগ্যতার ভিত্তিতেই নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে: এমসিসিআই

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড গড়লো ড্রাই ডক

ছবি

বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিসহ চুক্তি বাস্তবায়নে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ: ডিসিসিআই

ছবি

দেশের প্রথম ফি ছাড়া ক্রেডিট কার্ড চালু করলো প্রাইম ব্যাংক

ছবি

১১ মাসে সর্বোচ্চ অবস্থানে ডিএসই সূচক, বেড়েছে লেনদেনও

tab

news » business

এক মাসে ৭৮১ বিদেশি বিও হিসাব বন্ধ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের দেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা থামেনি। প্রতিনিয়তি বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার ছাড়ছেন। গত এক মাসে তাদের ৭৮১টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে। বিদেশি ও প্রবাসীরা শেয়ারবাজার ছাড়লেও এ সময়ে বেড়েছে স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।

দীর্ঘদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে শেয়ারবাজার ছাড়তে থাকেন। যা অব্যাহত থাকে চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাবে কমে ৯ হাজার ১৭৬টি।

তবে ২০ মে থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বাড়তে দেখা যায়। এই সময়ের মধ্যে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বাড়ে ৭৪টি। তবে এরপর থেকে আবার তাদের বিও হিসাব কমতে শুরু করে। যা সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসজুড়েও অব্যাহত ছিল। অথচ আগস্ট মাসজুড়ে শেয়ারবাজার ছিল বেশি ইতিবাচক। এ সময়ে মূল্যসূচকে যেমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে, তেমনি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।

বিও হল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।

এই সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে (৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২১১টি। যা গত ৩১ জুলাই ছিল ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৮টি। এ হিসাবে গত এক মাসে শেয়ারবাজারে বিও হিসাব কমেছে ৩৭টি। এই বিও হিসাব কমার মূল কারণ বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার ছেড়ে চলে যাওয়া।

বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ৪৩ হাজার ৭৭২টি। গত ৩১ জুলাই বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৪৪ হাজার ৫৫৩টি। অর্থাৎ গত এক মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ৭৮১টি। বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা শুরু হয় ২০২৩ নভেম্বর থেকে। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এ হিসাবে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবরের পর দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ১১ হাজার ৭৪০টি।

বিদেশি ও প্রবাসীরা দেশের শেয়ারবাজার ছাড়লেও স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৭টি, যা গত ৩১ জুলাই ছিল ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২০০টি। অর্থাৎ গত এক মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৬৮৭টি।

এখন শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও এর আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। ২০২৪ সালের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২১১টি। অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪০টি।

এদিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫টি। গত ৩১ জুলাই এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৩৭ হাজার ১৫টি। অর্থাৎ গত এক মাসে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ৩৫০টি। অন্যদিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ২৯৪টি। গত ৩১ জুলাই এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৩৮টি। এ হিসাবে গত এক মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ৪৪৪টি।

পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি গত এক মাসে কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৫৫২টি।

গত ৩১ জুলাই এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৯৫টি। এ হিসাবে এক মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ৫৭টি। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৩টি, যা গত ৩১ জুলাই ছিল ১১ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৭টি। অর্থাৎ গত এক মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ১ হাজার ৭১৬টি। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৭৬টি। গত ৩১ জুলাই যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬টি। অর্থাৎ গত এক মাসে যৌথ বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৮১০টি।

back to top