ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কাস্টমস বন্ড সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করা এবং নীতি সহায়তা দেওয়ার জন্য কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটকে (ঢাকা-দক্ষিণ) অনুরোধ জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার বিজিএমইএ এর পরিচালক ফয়সাল সামাদের নেতৃত্বে বিজিএমইএ এর একটি প্রতিনিধিদল, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করে এ অনুরোধ জানান। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বিজিএমইএ এর পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম ও পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান। সাক্ষাৎকালে বিজিএমইর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের পক্ষ থেকে কমিশনার, বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) ও কমিশনার, বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-উত্তর)-কে পোশাক শিল্পের কাস্টমস বন্ড সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সহজীকরণ এবং নীতি সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে লেখা একটি পত্র (বিজিএমইএ সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত) কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলীকে হস্তান্তর করেন। এছাড়াও উপরোক্ত চিঠির আলোকে পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করা নিয়ে আলোচনা করেন। বিজিএমইর পরিচালকরা পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক নিরীক্ষা কার্যক্রম সহজীকরণ, ৩০/০৬/২০২২ তারিখের মধ্যে সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ইউডি বহির্ভূত ব্যাক টু ব্যাক এল/সি-গুলো দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা, সিবিএমএস (ঈইগঝ) সফটওয়্যারের মাধ্যমে বন্ড রেজিষ্ট্রার সংরক্ষণ, উপযুক্ত কারণ ব্যতিরেকে শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে কাটিং তদারকির শর্ত আরোপ না করা, বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজনের কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য পদক্ষেপ নিতে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর কমিশনারকে অনুরোধ জানান। বিজিএমইএর পরিচালকরা শিল্পে কিছু নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে এফওসি (ঋঙঈ) ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির প্রক্রিয়া সহজীকরণ, পোশাক রপ্তানিকারক বন্ডেড প্রতিষ্ঠান থেকে নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে (ওয়াশিং, প্রিন্টিং, ডাইং ও এমব্রয়ডারিসহ) বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ভ্যাট নিয়ে হয়রানি না করা (যেহেতু ভ্যাট অব্যাহতি বিষযে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে একটি আদেশ জারীর কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে), বন্ডেড প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে নন-বন্ডেড প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পণ্য ও সেবা সরবরাহ জটিলতামুক্ত রাখা, সাব কন্ট্রাক্ট কার্যক্রম সহজীকরণ করা প্রভৃতি।
সভায় পোশাকশিল্পের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পূর্বের মতো সব কাস্টমস হাউজ, বন্ড কমিশনারেট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রতিনিধিসহ সব স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিজিএমইএ নেতারা কমিশনার মহোদয়কে অনুরোধ জানান।
সভায় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলী বলেন, ‘একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুত ও সহজতর করতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বিজিএমইএ নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন যে, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) ও বিজিএমইএ এর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো উদ্ভূত সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান ও কার্যক্রম সহজীকরণ করে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ সময় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কাস্টমস বন্ড সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করা এবং নীতি সহায়তা দেওয়ার জন্য কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটকে (ঢাকা-দক্ষিণ) অনুরোধ জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার বিজিএমইএ এর পরিচালক ফয়সাল সামাদের নেতৃত্বে বিজিএমইএ এর একটি প্রতিনিধিদল, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করে এ অনুরোধ জানান। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বিজিএমইএ এর পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম ও পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান। সাক্ষাৎকালে বিজিএমইর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের পক্ষ থেকে কমিশনার, বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) ও কমিশনার, বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-উত্তর)-কে পোশাক শিল্পের কাস্টমস বন্ড সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সহজীকরণ এবং নীতি সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে লেখা একটি পত্র (বিজিএমইএ সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত) কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলীকে হস্তান্তর করেন। এছাড়াও উপরোক্ত চিঠির আলোকে পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করা নিয়ে আলোচনা করেন। বিজিএমইর পরিচালকরা পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক নিরীক্ষা কার্যক্রম সহজীকরণ, ৩০/০৬/২০২২ তারিখের মধ্যে সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ইউডি বহির্ভূত ব্যাক টু ব্যাক এল/সি-গুলো দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা, সিবিএমএস (ঈইগঝ) সফটওয়্যারের মাধ্যমে বন্ড রেজিষ্ট্রার সংরক্ষণ, উপযুক্ত কারণ ব্যতিরেকে শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে কাটিং তদারকির শর্ত আরোপ না করা, বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজনের কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য পদক্ষেপ নিতে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর কমিশনারকে অনুরোধ জানান। বিজিএমইএর পরিচালকরা শিল্পে কিছু নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে এফওসি (ঋঙঈ) ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির প্রক্রিয়া সহজীকরণ, পোশাক রপ্তানিকারক বন্ডেড প্রতিষ্ঠান থেকে নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে (ওয়াশিং, প্রিন্টিং, ডাইং ও এমব্রয়ডারিসহ) বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ভ্যাট নিয়ে হয়রানি না করা (যেহেতু ভ্যাট অব্যাহতি বিষযে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে একটি আদেশ জারীর কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে), বন্ডেড প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে নন-বন্ডেড প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পণ্য ও সেবা সরবরাহ জটিলতামুক্ত রাখা, সাব কন্ট্রাক্ট কার্যক্রম সহজীকরণ করা প্রভৃতি।
সভায় পোশাকশিল্পের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পূর্বের মতো সব কাস্টমস হাউজ, বন্ড কমিশনারেট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রতিনিধিসহ সব স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিজিএমইএ নেতারা কমিশনার মহোদয়কে অনুরোধ জানান।
সভায় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলী বলেন, ‘একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুত ও সহজতর করতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বিজিএমইএ নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন যে, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) ও বিজিএমইএ এর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো উদ্ভূত সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান ও কার্যক্রম সহজীকরণ করে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ সময় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট (ঢাকা-দক্ষিণ) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।