দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল সবগুলো মূল্যসূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটির সবগুলো সূচক ১ শতাংশের বেশি কমেছে। আগের দিন সবগুলো সূচক দুই শতাংশের কাছাকাছি কমেছিল। গতকাল এক্সচেঞ্জটির লেনদেন টানা ৯ কার্যদিবস পর হাজার কোটির নিচে নেমেছে। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, মাত্র দুই দিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে নেমেছে। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে যা প্রায় ৯০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে ছিল। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে নেমেছে। গতকাল যা ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ২০৪ পয়েন্টে ছিল।
গত মঙ্গলবারের মতো গতকালও তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকে। মাত্র ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত এই সূচকটি কমেছে ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গতকাল লেনদেন শেষে সূচকটি ২ হাজার ১৩০ পয়েন্টে নেমেছে। আগের দিন ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে সূচকটি ২ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে ছিল।
সূচকটিতে এত বড় পতন হওয়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন বাছাই করা ওই ৩০ কোম্পানির মধ্যে ২৪ কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হয়েছে, বেড়েছে ২টির, আর ২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর সার্বিক সূচকে ওই ৩০ কোম্পানির ভূমিকা অনেক বেশি হওয়ায় এই পতন সার্বিকভাবে বাজারকে বড় হোঁচট দিয়েছে। গতকালকের বাজারকে এতটা টেনে নামাতে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক অবদান রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, রবি, বিএটিবিসি, ডেল্টা লাইফ, ওয়ালটন, ইউনিট হোটেল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশ এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ার।
গতকাল ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে যে কয়টির দর বেড়েছে, তার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৭ গুণ সংখ্যকের দর কমেছে। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির। বিপরীতে কমেছে ৩১৩টির। আর ৪১টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
ডিএসইতে গতকাল মোট ৯৪৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এক্সচেঞ্জটিতে টানা ৯ কার্যদিবস পর হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হলো। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট হাজার কোটির নিচে লেনদেন হয়েছিল এক্সচেঞ্জটিতে। ওইদিনের লেনদেন পরিমাণ ছিল ৯৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ১৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
গতকাল ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ৪২ কোটি ৪২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গতকাল ৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়ে লেনদেন তালিকায় শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৮৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে যা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাত্র দুই দিনেই এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৬৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে গতকাল কমেছে ৫ হাজার ১০৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল সবগুলো মূল্যসূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটির সবগুলো সূচক ১ শতাংশের বেশি কমেছে। আগের দিন সবগুলো সূচক দুই শতাংশের কাছাকাছি কমেছিল। গতকাল এক্সচেঞ্জটির লেনদেন টানা ৯ কার্যদিবস পর হাজার কোটির নিচে নেমেছে। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, মাত্র দুই দিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে নেমেছে। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে যা প্রায় ৯০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে ছিল। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে নেমেছে। গতকাল যা ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ২০৪ পয়েন্টে ছিল।
গত মঙ্গলবারের মতো গতকালও তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকে। মাত্র ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত এই সূচকটি কমেছে ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গতকাল লেনদেন শেষে সূচকটি ২ হাজার ১৩০ পয়েন্টে নেমেছে। আগের দিন ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে সূচকটি ২ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে ছিল।
সূচকটিতে এত বড় পতন হওয়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন বাছাই করা ওই ৩০ কোম্পানির মধ্যে ২৪ কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হয়েছে, বেড়েছে ২টির, আর ২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর সার্বিক সূচকে ওই ৩০ কোম্পানির ভূমিকা অনেক বেশি হওয়ায় এই পতন সার্বিকভাবে বাজারকে বড় হোঁচট দিয়েছে। গতকালকের বাজারকে এতটা টেনে নামাতে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক অবদান রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, রবি, বিএটিবিসি, ডেল্টা লাইফ, ওয়ালটন, ইউনিট হোটেল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশ এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ার।
গতকাল ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে যে কয়টির দর বেড়েছে, তার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৭ গুণ সংখ্যকের দর কমেছে। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির। বিপরীতে কমেছে ৩১৩টির। আর ৪১টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
ডিএসইতে গতকাল মোট ৯৪৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এক্সচেঞ্জটিতে টানা ৯ কার্যদিবস পর হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হলো। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট হাজার কোটির নিচে লেনদেন হয়েছিল এক্সচেঞ্জটিতে। ওইদিনের লেনদেন পরিমাণ ছিল ৯৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ১৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
গতকাল ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ৪২ কোটি ৪২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গতকাল ৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়ে লেনদেন তালিকায় শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৮৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে যা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাত্র দুই দিনেই এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৬৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে গতকাল কমেছে ৫ হাজার ১০৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।