ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
করদাতার সুবিধার জন্যই অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংক হিসাবের সংযোগের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এতে কর্মকর্তারা কোনো গ্রাহকের তথ্য দেখতে পাবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবন অফিসে ‘মিট দ্যা বিজনেস’ শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সুবিধা করদাতার জন্য। এতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহে কিংবা করদাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। করদাতার যাতে হিসাব বিবরণী বারবার আনতে না হয়, সে কারণে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।’
এর আগে গত ১৪ আগস্ট এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, করদাতাদের অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে করদাতার অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স, সুদের আয় এবং কর্তন করা উৎসে কর রিয়েল-টাইমে (সঙ্গে সঙ্গেই) জানা যাবে। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে কথা ওঠে, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তাতে ব্যাংকের আমানত কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে।
করপোরেট কর প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করপোরেট কর কমতে কমতে আগের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগে নেমে এসেছে। আগামীতেও করপোরেট করের রিটার্নও অনলাইনে দাখিল করা যাবে। আমাদের লক্ষ্য- ব্যবসায়ীরা যাতে কষ্ট না পায়, বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ করদাতা রিটার্ন দেন না। টিআইএনধারীদের নোটিশ দেয়াকে হয়রানি বলা ঠিক না। রিটার্ন জমা দিলেই সমস্যার সমাধান। এখন অটোমেশন করা হয়েছে। আমরা র্যানডম বেসিসে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনভাবে অডিট হবে, যাতে তিনটির মধ্যে অন্তত একটি নতুন ফাইল হয়।’
ভ্যাট হার বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভ্যাট রেট নিয়ে অনেক আপত্তি দেখলাম। প্রয়োজনে ভ্যাট রেট কমাবো। ভ্যাট রেট হবে
একক রেট। আমরা চাই ডিজিটালাইজেশন। আমরা সফটওয়্যার করতে চাই।’
টোব্যাকো খাতে ৮৩ শতাংশ ভ্যাট থাকলেও আদায় হয় না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘টোব্যাকো খাতে বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি হয়। গত এক বছরে ৩ হাজার অডিট হয়েছে। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ভ্যাট পাই না। আমরা কিউআর কোডকেন্দ্রিক সিস্টেম করতে চাচ্ছি। যাতে অটোমেটিকভাবে ভ্যাট জমা হয়।’ এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
করদাতার সুবিধার জন্যই অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংক হিসাবের সংযোগের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এতে কর্মকর্তারা কোনো গ্রাহকের তথ্য দেখতে পাবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবন অফিসে ‘মিট দ্যা বিজনেস’ শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সুবিধা করদাতার জন্য। এতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহে কিংবা করদাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। করদাতার যাতে হিসাব বিবরণী বারবার আনতে না হয়, সে কারণে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।’
এর আগে গত ১৪ আগস্ট এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, করদাতাদের অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে করদাতার অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স, সুদের আয় এবং কর্তন করা উৎসে কর রিয়েল-টাইমে (সঙ্গে সঙ্গেই) জানা যাবে। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে কথা ওঠে, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তাতে ব্যাংকের আমানত কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে।
করপোরেট কর প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করপোরেট কর কমতে কমতে আগের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগে নেমে এসেছে। আগামীতেও করপোরেট করের রিটার্নও অনলাইনে দাখিল করা যাবে। আমাদের লক্ষ্য- ব্যবসায়ীরা যাতে কষ্ট না পায়, বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ করদাতা রিটার্ন দেন না। টিআইএনধারীদের নোটিশ দেয়াকে হয়রানি বলা ঠিক না। রিটার্ন জমা দিলেই সমস্যার সমাধান। এখন অটোমেশন করা হয়েছে। আমরা র্যানডম বেসিসে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনভাবে অডিট হবে, যাতে তিনটির মধ্যে অন্তত একটি নতুন ফাইল হয়।’
ভ্যাট হার বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভ্যাট রেট নিয়ে অনেক আপত্তি দেখলাম। প্রয়োজনে ভ্যাট রেট কমাবো। ভ্যাট রেট হবে
একক রেট। আমরা চাই ডিজিটালাইজেশন। আমরা সফটওয়্যার করতে চাই।’
টোব্যাকো খাতে ৮৩ শতাংশ ভ্যাট থাকলেও আদায় হয় না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘টোব্যাকো খাতে বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি হয়। গত এক বছরে ৩ হাজার অডিট হয়েছে। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ভ্যাট পাই না। আমরা কিউআর কোডকেন্দ্রিক সিস্টেম করতে চাচ্ছি। যাতে অটোমেটিকভাবে ভ্যাট জমা হয়।’ এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।