ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সফটওয়্যার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘এখন দৌড়াদৌড়ি কমে যাবে, ঘরে বসেই রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। আগামী বছর থেকে অনলাইনে করপোরেট করের রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। এখন কেউ বলতে পারবে না অনলাইনে তথ্য জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে হিসাবের ভুল হয়েছে। কেননা সিস্টেম থেকেই হিসাব বের হবে। এর মাধ্যমে অডিট বা নিরীক্ষাপ্রক্রিয়াও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে করা যাবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা কর আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সরকারকে অন্ধকারে রাখবেন না। ভালো করে সেবা দিয়ে সম্মানী নিলে সমস্যা নেই, কিন্তু সেবা গ্রহীতাদের ঘোরাবেন না। এতে হয়রানি হয়। ভালো সেবা পেলে কেউ মূল্য দিতে কার্পণ্য করে না। এমনিতে সেবা নিতে অনেক ঘুরতে হয়। এ ধরনের সফটওয়্যার আদায়কারী ও করদাতা—সবার জন্য সুবিধাজনক।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, এক্সপেক্ট করি, লইয়ার একটা ফ্যাক্ট ফিগার প্রকাশ করবে অথবা ডিফেন্ড করবে। কিন্তু একেবারে (যদি) জজ সাহেবকে আড়ালে রাখেন বা অন্ধকারে রাখেন তাহলে তো ডিফিকাল্ট। আপনারা লইয়ার, সরকারকে একটু অন্ধকারে রাইখেন না। আপনারা একটু সহায়তা করেন।’
উপদেষ্টা আইনজীবীদের বলেন, ‘আপনারা যদি ক্লায়েন্টকে বলেন আজকে আসো, কালকে আসো, পরশু আসো- এটা তো তার একটা হয়রানি হবে, তাই না? হ্যাঁ, যথাসময় যখন এসেই পড়বে, এই ইনসাফের আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল। কারণ এটা ভেরি ইম্পর্টেন্ট। আমি একটা গল্প বলি একজন লইয়ার সম্পর্কে। আমরা যখন সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং করি একাডেমিতে, তখন গভর্মেন ল কলেজে একজন এক্সিলেন্ট, বেস্ট লইয়ার ছিলেন। তিনি মিনিস্টার হয়েছেন। উনি গল্প করলেন, দেখ তোমরা তো ম্যাজিস্ট্রেসি করবে, তোমাদের জন্য একটু ডিফিকাল্ট হবে। দুই পক্ষের লইয়ার আসবে আসামি পক্ষের আর বাদি-বিবাদী। তোমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হবে সত্যতা বের করা। বাদী পক্ষে সেও মিথ্যা কথা বলবে বিবাদী পক্ষে সেও মিথ্যা কথা বলবে বা তথ্য গোপন রাখবে। কারণ তোমরা ম্যাজিস্ট্রেট, জাজেস।’
সে কারণে বিচারককে ‘অন্ধকারে’ না রাখতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “আমরা বলছি না আপনারা একেবারে টাকা পয়সা না নিয়ে সব করে দেবেন, সেটা সম্ভব না। আপনাদের চার্জ করতে হবে। চার্জ করতে পারবেন। যদি বেশি ভালো করে সার্ভিস দেন, কেউ মানা করবে না।’ নির্বাচন হলেই যে অন্তর্বর্তী সরকারকে চলে যেতে হবে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা এনবিআর চেয়ারম্যানকে বলেন, ‘আমি আশা করি, আমি একটু জিজ্ঞেস করি চেয়ারম্যান সাহেবকে, আমরা কি এর (টিআরএমএস সফটওয়্যার) সুফলটা দেখতে পাব? কারণ আমাদের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে চলে যেতে হব। এর আগে কিছু দেখে যাব কিনা।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সফটওয়্যার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘এখন দৌড়াদৌড়ি কমে যাবে, ঘরে বসেই রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। আগামী বছর থেকে অনলাইনে করপোরেট করের রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। এখন কেউ বলতে পারবে না অনলাইনে তথ্য জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে হিসাবের ভুল হয়েছে। কেননা সিস্টেম থেকেই হিসাব বের হবে। এর মাধ্যমে অডিট বা নিরীক্ষাপ্রক্রিয়াও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে করা যাবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা কর আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সরকারকে অন্ধকারে রাখবেন না। ভালো করে সেবা দিয়ে সম্মানী নিলে সমস্যা নেই, কিন্তু সেবা গ্রহীতাদের ঘোরাবেন না। এতে হয়রানি হয়। ভালো সেবা পেলে কেউ মূল্য দিতে কার্পণ্য করে না। এমনিতে সেবা নিতে অনেক ঘুরতে হয়। এ ধরনের সফটওয়্যার আদায়কারী ও করদাতা—সবার জন্য সুবিধাজনক।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, এক্সপেক্ট করি, লইয়ার একটা ফ্যাক্ট ফিগার প্রকাশ করবে অথবা ডিফেন্ড করবে। কিন্তু একেবারে (যদি) জজ সাহেবকে আড়ালে রাখেন বা অন্ধকারে রাখেন তাহলে তো ডিফিকাল্ট। আপনারা লইয়ার, সরকারকে একটু অন্ধকারে রাইখেন না। আপনারা একটু সহায়তা করেন।’
উপদেষ্টা আইনজীবীদের বলেন, ‘আপনারা যদি ক্লায়েন্টকে বলেন আজকে আসো, কালকে আসো, পরশু আসো- এটা তো তার একটা হয়রানি হবে, তাই না? হ্যাঁ, যথাসময় যখন এসেই পড়বে, এই ইনসাফের আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল। কারণ এটা ভেরি ইম্পর্টেন্ট। আমি একটা গল্প বলি একজন লইয়ার সম্পর্কে। আমরা যখন সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং করি একাডেমিতে, তখন গভর্মেন ল কলেজে একজন এক্সিলেন্ট, বেস্ট লইয়ার ছিলেন। তিনি মিনিস্টার হয়েছেন। উনি গল্প করলেন, দেখ তোমরা তো ম্যাজিস্ট্রেসি করবে, তোমাদের জন্য একটু ডিফিকাল্ট হবে। দুই পক্ষের লইয়ার আসবে আসামি পক্ষের আর বাদি-বিবাদী। তোমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হবে সত্যতা বের করা। বাদী পক্ষে সেও মিথ্যা কথা বলবে বিবাদী পক্ষে সেও মিথ্যা কথা বলবে বা তথ্য গোপন রাখবে। কারণ তোমরা ম্যাজিস্ট্রেট, জাজেস।’
সে কারণে বিচারককে ‘অন্ধকারে’ না রাখতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “আমরা বলছি না আপনারা একেবারে টাকা পয়সা না নিয়ে সব করে দেবেন, সেটা সম্ভব না। আপনাদের চার্জ করতে হবে। চার্জ করতে পারবেন। যদি বেশি ভালো করে সার্ভিস দেন, কেউ মানা করবে না।’ নির্বাচন হলেই যে অন্তর্বর্তী সরকারকে চলে যেতে হবে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা এনবিআর চেয়ারম্যানকে বলেন, ‘আমি আশা করি, আমি একটু জিজ্ঞেস করি চেয়ারম্যান সাহেবকে, আমরা কি এর (টিআরএমএস সফটওয়্যার) সুফলটা দেখতে পাব? কারণ আমাদের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে চলে যেতে হব। এর আগে কিছু দেখে যাব কিনা।’