ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বর্তমানে ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমলে দেশটি বাংলাদেশি পণ্যে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এ মুহূর্তে চুক্তি হচ্ছে না, তবে আলোচনা চলছে
বাণিজ্য ঘাটতি ছাড়া অন্য কোনো আলোচনার ইস্যু রোববার ছিল না
বোয়িং আমদানি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, ২০৩২ সালের
আগে দিতে পারবে না
রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি।
এ বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে দেশটি থেকে যেসব পণ্য কেনা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, এগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত কৃষি ও জ্বালানি পণ্যের পাশাপাশি বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কেনাকাটার বিষয়েও ভালো অগ্রগতি হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে চুক্তি করার কথা ছিল সেটা কবে হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে চুক্তি হচ্ছে না। তবে সেই চুক্তির জন্যই এই আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা যে প্রেক্ষাপটে যে পণ্য সম্ভার নিয়ে আলোচনা করেছি, সেই পণ্যগুলোর অগ্রগতির পর্যালোচনা করেছি। আপনারা জানেন যে, আমাদের কতগুলো ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি ছিল যেমন- বিমান কেনাসহ অন্যান্য পণ্য কেনার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অগ্রগতির পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, আমদানি বাড়ছে এবং যে পর্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে না পৌঁছাবে সে পর্যন্ত শুল্ক হ্রাস হবে না। এতে করে উভয় দেশেরই সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকটি পণ্যের ওপর ভিত্তি করে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চেষ্টা করছি। এরমধ্যে কৃষিপণ্য ও জ্বালানি পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা কিনতে পারছি। এছাড়া এর বাইরেও আমাদের বিমান কেনা, এলএনজির বিষয় রয়েছে। সুতরাং অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে মনে করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল কী বলে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে আমাদের। ফলে আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের তুলার ওপরে নির্ভর করে পোশাক শিল্পের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছি। আজকের আলোচনার অন্যতম লক্ষ্য ছিল সেক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি আছে। আমাদের যে তুলা উৎপাদন হয় তা আমাদের মোট চাহিদার দুই শতাংশ। আমাদের ৯৮ শতাংশ তুলা আমদানি করতে হয়। তাই আমাদের আগ্রহ ছিল এটার ওপর ভিত্তি করে শুল্ক হ্রাস করা। আমরা যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে পারি তাহলে আমাদের শুল্কহ্রাসের আরও সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমদানিকারকদের কোনো সুবিধা দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি পর্যায়ে কোনো পণ্যের দাম বেশি হলে সেটা আমদানি করতে সরকার বাধ্য করতে পারবে না। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি পণ্য তুলনামুলকভাবে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমার জানা মতে বেসরকারি খাতে গত দুই মাসে সয়াবিন বীজ আমদানি করেছে। কারণ তারা সেখানে উপযুক্ত মূল্যে পাচ্ছে। সেখানে যে তেলবীজটা পাওয়া যায় সেটা অত্যন্ত উন্নতমানের ও তেল বেশি হয়। ফলে আপাতত দৃষ্টিতে দাম বেশি পড়লেও প্রকৃতপক্ষে সস্তাই পড়বে।
বাণিজ্য ঘটতি ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন কি? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে বাণিজ্য ঘাটতি ছাড়া অন্য কোনো ইস্যু ছিল না।’ লেবার ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, লেবার ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
কী অগ্রগতি হয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো বাণিজ্য ঘাটতি আছে। এজন্য তাদের থেকে সয়াবিন আমদানি করছি। সেটাও আমাদের প্রতিশ্রুতির একটা অংশ, আমরা সেসব বিষয় তাদের জানিয়েছি। গত অর্থবছরে আমরা তাদের থেকে তুলা কিনেছি ৬ মিলিয়ন ডলার আর এ বছর দুই মাসেই ২৭৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। এভাবেই আমাদের আমদানি বেড়েছে।’
আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে যে চুক্তিটা হবে সেখানে শুল্ক কমানোর বিষয় থাকবে কিনা, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের ওপর।’
বোয়িং আমদানির কোনো পরিকল্পনা কি দিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা যে দুই কোম্পানি থেকে বোয়িং আনবো, তারা ২০৩২ সালের আগে দিতে পারবে না। প্রতি বছর তারা নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি বোয়িং উৎপাদন করতে পারবে না। আমি আজকে অর্ডার দিলাম, সামনের বছর পেয়ে যাবো এ রকম কোনো বিষয় না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও বৈঠক করবে।
গত ৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কহার কমিয়ে ২০ শতাংশ কার্যকর করেছে। তবে দেশটির সঙ্গে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি। পাল্টা শুল্ক অন্তত ১৫ শতাংশে নামিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় ঢাকা। এ কারণে আলোচনার জন্য ইউএসটিআরের কাছে সময় চেয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে সাড়া দিয়ে ঢাকা সফরে এসেছে সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব তার ওপর।
জানা গেছে, ইউএসটিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে দর-কষাকষিতে দুই পক্ষ একমত হলে খসড়ায় সংশোধন এনে তা চূড়ান্ত করা হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বর্তমানে ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমলে দেশটি বাংলাদেশি পণ্যে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এ মুহূর্তে চুক্তি হচ্ছে না, তবে আলোচনা চলছে
বাণিজ্য ঘাটতি ছাড়া অন্য কোনো আলোচনার ইস্যু রোববার ছিল না
বোয়িং আমদানি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, ২০৩২ সালের
আগে দিতে পারবে না
রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি।
এ বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে দেশটি থেকে যেসব পণ্য কেনা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, এগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত কৃষি ও জ্বালানি পণ্যের পাশাপাশি বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কেনাকাটার বিষয়েও ভালো অগ্রগতি হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে চুক্তি করার কথা ছিল সেটা কবে হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে চুক্তি হচ্ছে না। তবে সেই চুক্তির জন্যই এই আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা যে প্রেক্ষাপটে যে পণ্য সম্ভার নিয়ে আলোচনা করেছি, সেই পণ্যগুলোর অগ্রগতির পর্যালোচনা করেছি। আপনারা জানেন যে, আমাদের কতগুলো ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি ছিল যেমন- বিমান কেনাসহ অন্যান্য পণ্য কেনার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অগ্রগতির পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, আমদানি বাড়ছে এবং যে পর্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে না পৌঁছাবে সে পর্যন্ত শুল্ক হ্রাস হবে না। এতে করে উভয় দেশেরই সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকটি পণ্যের ওপর ভিত্তি করে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চেষ্টা করছি। এরমধ্যে কৃষিপণ্য ও জ্বালানি পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা কিনতে পারছি। এছাড়া এর বাইরেও আমাদের বিমান কেনা, এলএনজির বিষয় রয়েছে। সুতরাং অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে মনে করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল কী বলে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে আমাদের। ফলে আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের তুলার ওপরে নির্ভর করে পোশাক শিল্পের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছি। আজকের আলোচনার অন্যতম লক্ষ্য ছিল সেক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি আছে। আমাদের যে তুলা উৎপাদন হয় তা আমাদের মোট চাহিদার দুই শতাংশ। আমাদের ৯৮ শতাংশ তুলা আমদানি করতে হয়। তাই আমাদের আগ্রহ ছিল এটার ওপর ভিত্তি করে শুল্ক হ্রাস করা। আমরা যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে পারি তাহলে আমাদের শুল্কহ্রাসের আরও সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমদানিকারকদের কোনো সুবিধা দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি পর্যায়ে কোনো পণ্যের দাম বেশি হলে সেটা আমদানি করতে সরকার বাধ্য করতে পারবে না। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি পণ্য তুলনামুলকভাবে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমার জানা মতে বেসরকারি খাতে গত দুই মাসে সয়াবিন বীজ আমদানি করেছে। কারণ তারা সেখানে উপযুক্ত মূল্যে পাচ্ছে। সেখানে যে তেলবীজটা পাওয়া যায় সেটা অত্যন্ত উন্নতমানের ও তেল বেশি হয়। ফলে আপাতত দৃষ্টিতে দাম বেশি পড়লেও প্রকৃতপক্ষে সস্তাই পড়বে।
বাণিজ্য ঘটতি ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন কি? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে বাণিজ্য ঘাটতি ছাড়া অন্য কোনো ইস্যু ছিল না।’ লেবার ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, লেবার ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
কী অগ্রগতি হয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো বাণিজ্য ঘাটতি আছে। এজন্য তাদের থেকে সয়াবিন আমদানি করছি। সেটাও আমাদের প্রতিশ্রুতির একটা অংশ, আমরা সেসব বিষয় তাদের জানিয়েছি। গত অর্থবছরে আমরা তাদের থেকে তুলা কিনেছি ৬ মিলিয়ন ডলার আর এ বছর দুই মাসেই ২৭৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। এভাবেই আমাদের আমদানি বেড়েছে।’
আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে যে চুক্তিটা হবে সেখানে শুল্ক কমানোর বিষয় থাকবে কিনা, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের ওপর।’
বোয়িং আমদানির কোনো পরিকল্পনা কি দিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা যে দুই কোম্পানি থেকে বোয়িং আনবো, তারা ২০৩২ সালের আগে দিতে পারবে না। প্রতি বছর তারা নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি বোয়িং উৎপাদন করতে পারবে না। আমি আজকে অর্ডার দিলাম, সামনের বছর পেয়ে যাবো এ রকম কোনো বিষয় না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও বৈঠক করবে।
গত ৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কহার কমিয়ে ২০ শতাংশ কার্যকর করেছে। তবে দেশটির সঙ্গে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি। পাল্টা শুল্ক অন্তত ১৫ শতাংশে নামিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় ঢাকা। এ কারণে আলোচনার জন্য ইউএসটিআরের কাছে সময় চেয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে সাড়া দিয়ে ঢাকা সফরে এসেছে সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব তার ওপর।
জানা গেছে, ইউএসটিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে দর-কষাকষিতে দুই পক্ষ একমত হলে খসড়ায় সংশোধন এনে তা চূড়ান্ত করা হবে।