বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ তিন বছর পেছানোর চেষ্টা করছে সরকার। তবে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম। কারণ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বন্ধুরাষ্ট্র এটির বিরোধিতা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান র্যাপিড আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ও এলডিসি উত্তরণবিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে। তবে দেশের ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতির অভাব আছে এমন কারণ দেখিয়ে এলডিসি উত্তরণ আরও ৫-৬ বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছেন। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের ওপর নির্ভর করে। আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোই এটির বিরোধিতা করছে। যেমন জাপান, তুরস্ক, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে আপনি কীভাবে পেছানোর বিষয়টি অনুমোদন করাবেন? ফলে তাদের কাছ থেকে আমরা কারিগরি সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ তিন বছর পেছাতে আমরা কাজ করছি। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছি। চেষ্টার কোনো ত্রুটি করব না। মূলত বাণিজ্য সুবিধা আরও কিছুদিন অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে। তবে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম। আবার একেবারে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
কর্মশালায় একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন র?্যাপিড চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘পাল্টা শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আগামী এক বছরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমতে পারে। একইভাবে এই বাজারে প্রতিযোগী দেশগুলোর পণ্য রপ্তানি কমবে। তার মধ্যে চীনের ৫৮ শতাংশ, ভারতের ৪৮, ভিয়েতনামের ২৮ ও ইন্দোনেশিয়ার ২৭ শতাংশ পণ্য রপ্তানি কমতে পারে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক এম আবু ইউসুফ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি দৌলত আকতার।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৮ সালে। চূড়ান্তভাবে উত্তরণের জন্য প্রস্তুতির সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। কিন্তু কোভিড মহামারীর কারণে অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায় দুই বছর। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপের রপ্তানি বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়ে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে ২০২৬ সালের পর সেই সুবিধা আর থাকবে না।
সে কারণে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সময় এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দেয়ার জোরালো দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। গত ২৪ আগস্ট দেশের শীর্ষ ১৬টি বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা উত্তরণ তিন থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হারানো, ওষুধ ও তৈরি পোশাক শিল্পের সংকট মোকাবিলা এবং বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার প্রস্তুতির জন্য এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন বলে তারা দাবি পেশ করে। এরপর সরকারও সময় পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করে।
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ তিন বছর পেছানোর চেষ্টা করছে সরকার। তবে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম। কারণ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বন্ধুরাষ্ট্র এটির বিরোধিতা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান র্যাপিড আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ও এলডিসি উত্তরণবিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে। তবে দেশের ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতির অভাব আছে এমন কারণ দেখিয়ে এলডিসি উত্তরণ আরও ৫-৬ বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছেন। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ পেছানোর বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের ওপর নির্ভর করে। আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোই এটির বিরোধিতা করছে। যেমন জাপান, তুরস্ক, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে আপনি কীভাবে পেছানোর বিষয়টি অনুমোদন করাবেন? ফলে তাদের কাছ থেকে আমরা কারিগরি সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ তিন বছর পেছাতে আমরা কাজ করছি। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছি। চেষ্টার কোনো ত্রুটি করব না। মূলত বাণিজ্য সুবিধা আরও কিছুদিন অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে। তবে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম। আবার একেবারে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
কর্মশালায় একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন র?্যাপিড চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘পাল্টা শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আগামী এক বছরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমতে পারে। একইভাবে এই বাজারে প্রতিযোগী দেশগুলোর পণ্য রপ্তানি কমবে। তার মধ্যে চীনের ৫৮ শতাংশ, ভারতের ৪৮, ভিয়েতনামের ২৮ ও ইন্দোনেশিয়ার ২৭ শতাংশ পণ্য রপ্তানি কমতে পারে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক এম আবু ইউসুফ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি দৌলত আকতার।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৮ সালে। চূড়ান্তভাবে উত্তরণের জন্য প্রস্তুতির সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। কিন্তু কোভিড মহামারীর কারণে অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায় দুই বছর। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপের রপ্তানি বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়ে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে ২০২৬ সালের পর সেই সুবিধা আর থাকবে না।
সে কারণে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সময় এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দেয়ার জোরালো দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। গত ২৪ আগস্ট দেশের শীর্ষ ১৬টি বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা উত্তরণ তিন থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হারানো, ওষুধ ও তৈরি পোশাক শিল্পের সংকট মোকাবিলা এবং বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার প্রস্তুতির জন্য এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন বলে তারা দাবি পেশ করে। এরপর সরকারও সময় পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করে।