ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাইয়ের ধারাবাহিকতায় আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জুলাইয়ে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭১৫ কোটি টাকায়। আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৮৮৯ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৬৯। বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ২৩ হাজার ৮৯ দশমিক ৩৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল।
গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্টে) ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
এনবিআরের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। এসময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা ও ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ভ্যাট থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা ও আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
একই সময়ে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। শুল্কে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ২১ কোটি টাকা, আয়করে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ভ্যাট থেকে ৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, আয়করে ২০ দশমিক ০৯ ও শুল্কে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে।
অন্যদিকে আগস্ট মাসে ১০ হাজার ৬১ কোটি টাকার শুল্কের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৪ শতাংশ। ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আগস্টে, আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আদায় হয়েছে ৮ হাজার ৪৪২ কোটি টাকার আয়কর। আয়করে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময় থেকেই এনবিআরে আন্দোলন চলে আসছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির ওই আন্দোলন ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। কলমবিরতি গিয়ে পৌঁছায় কমপ্লিট শাটডাউনে। এতে কাস্টমস এর কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। এর প্রভাব পড়ে রাজস্ব আদায়েও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসা বাণিজ্য ও এনবিআরের সংশ্লিষ্ট অস্থিরতা রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি আতঙ্ক এখনও বিরাজ করছে। গত কয়েকমাসে প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক রদবদল ঘটেছে। বেশ কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও কয়েক হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাইয়ের ধারাবাহিকতায় আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জুলাইয়ে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭১৫ কোটি টাকায়। আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৮৮৯ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৬৯। বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ২৩ হাজার ৮৯ দশমিক ৩৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল।
গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্টে) ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
এনবিআরের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। এসময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা ও ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ভ্যাট থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা ও আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
একই সময়ে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। শুল্কে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ২১ কোটি টাকা, আয়করে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ভ্যাট থেকে ৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, আয়করে ২০ দশমিক ০৯ ও শুল্কে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে।
অন্যদিকে আগস্ট মাসে ১০ হাজার ৬১ কোটি টাকার শুল্কের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৪ শতাংশ। ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আগস্টে, আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আদায় হয়েছে ৮ হাজার ৪৪২ কোটি টাকার আয়কর। আয়করে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময় থেকেই এনবিআরে আন্দোলন চলে আসছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির ওই আন্দোলন ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। কলমবিরতি গিয়ে পৌঁছায় কমপ্লিট শাটডাউনে। এতে কাস্টমস এর কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। এর প্রভাব পড়ে রাজস্ব আদায়েও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসা বাণিজ্য ও এনবিআরের সংশ্লিষ্ট অস্থিরতা রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি আতঙ্ক এখনও বিরাজ করছে। গত কয়েকমাসে প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক রদবদল ঘটেছে। বেশ কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও কয়েক হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে।